ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

কুলাউড়ায় ‘কানিহাটি’ ধানে কৃষকের সম্ভাবনা 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
কুলাউড়ায় ‘কানিহাটি’ ধানে কৃষকের সম্ভাবনা  কৃষকরা কাটছেন কানিহাটি ধান। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে কানিহাটি জাতের আমন ধান ঘিরে কৃষকদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় কৃষকরা নতুন জাতের এই আমন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন।

 

কানিহাটি গ্রামের জিন বিজ্ঞানী ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত কানিহাটি-১ থেকে ১৬ আমন ধান আগাম কাটা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত নতুন জাতের চারা রোপণ করে। পরে নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস আগে ধান কাটা শুরু হয়।  

আরো জানা যায়, জিন বিজ্ঞানী ও ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরীর নিয়োগকৃত একজন কৃষক উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করছেন। ৩০ শতক (১ বিঘা) জমিতে প্রদর্শনী হিসেবে কানিহাটি-১ থেকে কানিহাটি-১৬ ধান চাষ করা হয়েছে। জিন বিজ্ঞানীর নিজ গ্রামের নামে নতুন জাতের ধানের নাম রাখেন কানিহাটি। সাধারণত আমন ধানের বীজতলা তৈরি থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৪ মাস। এরপর আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে হয়। আর অগ্রহায়ণ মাসেই আমন ধান কাটা হয়। তবে, ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত আমন ধান চাষাবাদে কম সময়ের এক মাস আগে আশ্বিন মাসেই এ ধান কেটে ঘরে তুলেছেন।

নতুন জাতের কানিহাটি-১ থেকে কানিহাটি-১৬ ধানের চাষ করা কৃষক রাসেল জানান, এ বছর আমন প্রদর্শনী মাঠে ৩০ শতক জমিতে ১৪ মণ ধান হয়েছে। এ ধানে চিটা নেই। এলাকার কৃষকরা এ আমন ধানের ফলন দেখে আগামীতে চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। কম সময়ে ভালো মানের উৎপাদন বলে তিনি দাবি করেন।

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী জানান, উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধানের নাম তার গ্রামের নামে কানিহাটি ১ থেকে ১৬ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আউশের সময় এক জমিতে ধান রোপণে ৩ বার ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। প্রথমবার চাষের পর আর পরবর্তীতে কোনো ধরনের চাষ দিতে হয়নি। সঠিক পরিচর্যায় ও সামান্য সার প্রয়োগে তিনবার ফসল কেটে ঘরে তোলা যায়। সে জমিতে এখন চতুর্থবারের মতো ফসল এসেছে। এ পদ্ধতিতে সারা বছর ধান চাষ করে ফলন ভালো হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন বলেন, এবারই ধানটি প্রায় ২ বিঘা জমিতে প্রথম করেছে। যেহেতু এর পুরোপুরি সফলতা নিশ্চিত করতে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। এই ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য উনারা যেটা বলেছেন ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যাবে। এটি শর্ট ডিওরেশনের (স্বল্প সময়) একটি জাত।

এর চাল যে খুব ছোট তা নয়। আমাদের সুগন্ধি যে চালগুলো আছে পোলাও বা বিরুন এর থেকে এর চাল মোটা। এর উৎপাদন বিঘাপ্রতি ১৩ থেকে ১৫ মণ। এটা যে খুবই সম্ভাবনাময় এটা আমি বলতে পারছি না বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।