ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বাড়ির আঙিনায় পুষ্টি বাগান: মিটছে চাহিদা, সঙ্গে বাড়তি আয়

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
বাড়ির আঙিনায় পুষ্টি বাগান: মিটছে চাহিদা, সঙ্গে বাড়তি আয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা। চলতি মৌসুমে নতুন করে ১৬৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে।

বাড়ির আঙিনায় দেড় শতক জায়গায় রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এ বাগান স্থাপন করা হয়। পুষ্টি বাগানে হরেক রকমের গ্রীম্ম ও শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। যা দিয়ে একটি পরিবারের এক বছরের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়িত আয়ও হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় প্রথম পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ সময় জেলায় ৩ হাজার ৪০টি পুষ্টি বাগান স্থাপিত হয়। এরপর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নতুন আরও ১৬৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাগান স্থাপনে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি জেলায় ১০ সহস্রাধিক বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।

কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লাল শাক, পুঁই শাক, কলমি শাক, পালং শাক, ডাটা শাক ইত্যাদি। আর শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।

কৃষক আব্দুস ছালেক বাংলানিউজকে বলেন, পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ, বেত, বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারা বছরের সবজির চাহিদা মিটছে।

কৃষক রমজান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দ্রব্য মূল্যের ঊধ্বগতিতে এমনিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সবজির বাজারেও সব কিছু দাম বেশি। তাই বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটাতে পেরে আমরা ভাল আছি। উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বছরের ৩০/৩৫ হাজার টাকা আয়ও হচ্ছে।

নারী কৃষক রহিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সবাই মিলে বাড়ির আঙিনায় লাউ, ঢেঁড়শ, টমেটো, ঝিঙে, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।

বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. হাদিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বাংলানিউজকে বলেন, বাগান স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সারা বছর যাতে একজন কৃষক সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য সার, বীজ, বেড়াসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২/১ বছরের মধ্যেই ১০ হাজার বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।