লালমনিরহাট: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুল ও বাঁধাকপির ফলন ভালো হওয়ায় স্বপ্ন বুনছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, বীজ বপন থেকে ৭০/৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারজাত করা সম্ভব।
আগাম জাতের ফুলকপি আর বাঁধাকপি চাষের জন্য তুলনামূলক উঁচু জমি নির্বাচন করতে হয়। পানি জমে না এমন জমি আগাম সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। চারা রোপণ করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক ও সেচ দিয়ে পরিচর্যা করলে ৭০/৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি আর বাঁধাকপি ঘরে তোলা সম্ভব।
আগাম সবজি হিসেবে সারাদেশের বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপির চাহিদা প্রচুর। লালমনিরহাটের চাষিদের উৎপাদিত সবজি প্রতিদিন ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বড় বড় সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাহিদা থাকায় বিক্রি করতেও ঝামেলা নেই চাষিদের। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই এসব সবজি ক্রয় করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। অনেক সময় পাইকাররা কৃষকদের ক্ষেত নগদ টাকায় কিনে শ্রমিক দিয়ে সংগ্রহ করে বাজারজাত করছেন। সব মিলিয়ে মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি জেলার চাষিরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে চার হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩/৫শ গ্রাম ওজনের হয়েছে। প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৮/২০ টাকা। বর্তমানে ৫৫/৬০ টাকা কেজি দরে ক্ষেতেই বিক্রি করছি। আশা করছি খরচ বাদে ৬০/৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।
একই উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। বিক্রিও শুরু করেছি। এরই মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পেয়েছি। বাজার ভালো থাকলে আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রির স্বপ্ন আছে।
আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের কৃষক গোপাল রায় বলেন, কিছুটা দেরিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। ২৭ শতক জমিতে সাড়ে ৪ হাজার চারা রোপণ করেছি। প্রতিটি চারার পেছনে খরচ হবে ২টাকা। কপি প্রতি ১০ টাকা বাজার ধরতে পারলেও মুনাফা হবে। আশা করছি ভালো বাজার পাব এবং মুনাফাও আসবে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে কৃষকরা আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেন। এবার আবহাওয়া ও বাজার দু'টোয় ভাল থাকায় সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির বেশ চাহিদা বাজারে। বিক্রিতেও ঝামেলা নেই চাষিদের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
আরএ