আমিরাত: আন্তর্জাতিক অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে যেসব অভিবাসীর কাছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্ড থাকবে না, তারা অবৈধ বলে গণ্য হবেন। তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের দেশে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এই নির্দেশনা অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত ৯ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দিতে কাজ করে যাচ্ছে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস, দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইরিশ।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের ভাইস কনসাল কৃতি চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরির ক্ষেত্রে আবুধাবি দূতাবাস এবং দুবাই কনস্যুলেট কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে দুবাই কনস্যুলেট আবুধাবি দূতাবাসের রীতি-নীতি অনুসরণ করে।
তিনি জানান, আমিরাতে প্রায় ৯ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। যার মধ্যে দুবাই কনস্যুলেট এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার জনকে এমআরপি কার্ড দিয়েছে।
তিনি বলেন, দুবাই কনস্যুলেট থেকে প্রতি শুক্রবার আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে শ্রমিকদের এমআরপি সম্পর্কে অবগত করা হয়। ইতোমধ্যে দেশটির ফুজিরাহ, রাস আল খাইমা, উম্মুল কুইন, আজমান এলাকায় গিয়ে এমআরপি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
কৃতি চাকমা বলেন, আবুধাবি দূতাবাস মিলিয়ে আমিরাতে প্রায় ৬ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আমরা তৈরি করেছি। মালয়েশিয়াভিত্তিক আইরিশ প্রতিষ্ঠানটি আমিরাতের স্থানীয় কম্পানি জিটিআর’র মাধ্যমেও এমআরপি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির এমআরপি এখনও বাকি রয়েছে।
আগামী নভেম্বরের আগে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলেও জানান কৃতি চাকমা।
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমিরাতে প্রায় ৯ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। আবুধাবি দূতাবাস এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪শ’ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্ড ইস্যু করেছে।
তিনি বলেন, আবুধাবি ও আল আইন মিলে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির এমআরপি বাকি রয়েছে। দূতাবাস থেকে প্রতিদিন আমিরাতের আবুধাবির আওতাভুক্ত এলাকায় গিয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
আইরিশ প্রতিষ্ঠানটি আমিরাতের স্থানীয় কম্পানি জিটিআর’র মাধ্যমে আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি-মুসাফফাহ, শারজাহ, রাস আল খাইমা ও আল আইন শাখায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৫
টিআই