এদের মধ্যে দুই নারীসহ মোট ২৪জন বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ক্ষমাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ১০ জন মাদক ও গাঁজা সেবন, পরিবহন ও বাণিজ্য অপরাধে গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছিলেন।
চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা ও কাগজপত্র জাল এবং চেক জালিয়াতি সম্পর্কিত অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন ১০জন। অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগে আটক ছিলেন দুজন নারী। কাতারে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অপরাধে একজন এবং ব্যবিচারের অপরাধে আরও একজন বাংলাদেশি সাজা ভোগ করছিলেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, কাতারের কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট ১৪৬ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আছেন। তারা বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার হয়ে নানা মেয়াদের সাজা ভোগ করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি মাদক সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
মারিজুয়ানা, ইয়াবা, ট্রামডলসহ নানা নেশা জাতীয় দ্রব্য আমদানি, বিক্রি, সেবন ও পরিবহন করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে কাতারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর কাতারের আমির বিভিন্ন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষমা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবছরও বাংলাদেশি ২৪জন আসামি ক্ষমার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তবে জীবিকা অর্জনের জন্য কাতারে এসে অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় আমাদের ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। বিশেষ করে মাদকের সমস্যা বিস্তার লাভ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
বিএস