দেশে চলছে নিম্নচাপ, শহরজুড়ে সারাদিন বৃষ্টি। লোকজন নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় মাসব্যাপী প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বায়নের তীব্র প্রতিযোগিতার এ সময়ে আমাদের দেশের মহান ঐতিহ্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার এক কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সময়ের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের শিল্প ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কোন অনাচার-অবিচার, বৈষম্য-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের শিল্পী সমাজকে বরাবরই সোচ্চার ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে দেখি। দেশ ও জাতির সংকটের সময় তাদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞার সঙ্গে স্মরণ করে। ’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিপ্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, সংস্কৃতি সচিব হেদায়েতুল আল-মামুন, জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুন্নবী ও শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী।
এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের ১শ ৪৪ জন শিল্পীর ৩শ শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এদের মধ্যে ৪২ জন বাংলাদেশি শিল্পী। অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে বাহরাইন, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, জর্দান, কাজাখস্তান, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, পাকিস্তান, প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তান।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে থেকে ৯ জনকে পুরস্কৃত হয়। আনন্দের খবর হলো, চতুর্দশ এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর ৯টি পুরস্কারের মধ্যে ১টি গ্র্যান্ড প্রাইজসহ ৫টি পুরস্কারই পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। তিনটি গ্র্যান্ড প্রাইজের মধ্যে বাংলাদেশের মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান পেয়েছেন একটি। বাকি দুটির একটি পেয়েছেন কোরিয়ার শিল্পী জিলো লি এবং বাকি গ্রান্ড প্রাইজটি পেয়েছেন জাপানের কোহেই নাওয়া।
এদিকে ৬টি বিশেষ সম্মান সূচক পুরস্কারের ৪টি পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এই চার শিল্পী হলেন, মিহির মশিউর রহমান, নিলুফার চামান, মাহবুবুর রহমান ও তাসাদ্দুক হোসেন দুলু।
সম্মানসূচক পুরস্কার পাওয়া বাকি দুই শিল্পী হলেন, কাতারের ইউসুফ আহমেদ আল হোময়েদ ও ফিলিপাইনের জোয়াকিন গাজগুনাই প্যালেন্সিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
১৪তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী চলছে শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারি, ওসমানী মিলনায়তন গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে। এর মধ্যে জাতীয় জাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে বাংলাদেশের তিন পথিকৃৎ শিল্পী জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান ও এস এম সুলতানের শতাধিক শিল্পকর্ম নিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ৮ অক্টোবর বিকেলে বরেণ্য চিত্রকর কাইয়ূম চৌধুরী এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।
প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ৬ নভেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৩০, অক্টোবর ০৮, ২০১০