ঢাকা: শরতের হিমেল সন্ধ্যায় সুরের মূর্ছনায় ভেসে বেড়িয়েছিল শচীন দেববর্মণের গান। সঙ্গে ছিল নূপুরের ঝংকার।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আইএফআইসি ব্যাংকের সহযোগিতায় ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হয় এ উৎসব।
সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী দিনের আয়োজন শুরু হয় বহ্নিশিখার নৃত্যশিল্পীদের নৃত্যের মধ্য দিয়ে। দলটি- মধু বৃন্দাবনে, মন দিল না, মালাখানি ছিল হাতে ও প্রেম যমুনায় গানের সঙ্গে মনোমুগ্ধকর নৃত্য প্রযোজনা মন দিল না বধূ পরিবেশন করে। সংগীত পরিচালনা করেন সাহিদা রহমান সুরভী, আবিদা রহমান সেতু। এ ছাড়া ছন্দে ছন্দে, হালিশহর কলকাতার নৃত্যশিল্পীরা ‘তুমি শুধু তুমি’ নৃত্য পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সুমিতা ভট্টাচার্য।
একক কণ্ঠে আবিদা রহমান সেতু গেয়ে শোনান- ও কালো মেঘ বলতে পারো ও রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলারে। অনিমা মুক্তি গোমেজ শোনান- তুই যে শ্যামের বাঁশিরে ও ফুলের বনে থাকে ভ্রমর। কিরণ চন্দ্র রায়, সুমন চৌধুরী, শাহানা আকতার পাপিয়া শোনান- ঝন ঝন ঝন ঝন মঞ্জির বাজে, জানি ভ্রমরা কেন কথা কয় না, কেন সে যে বলল না কথা, শ্রাবণী গুহ রায় শোনান-তেরে মেরে মিলান কি এ নায়না ও আঁখি দুটি ঝরে হায়। আসিফ ইকবাল সৌরভ পরিবেশন করেন- কালো সাপে দংশিল আমায়, ঘাটে লাগাইয়া ডিঙা গান।
আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী। ভারতের ত্রিপুরা থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেন তনুজা দেববর্মন, রাকেশ দেববর্মণ, জয়দ্বীপ দেববর্মণ, দিনেশ কুমার মিশ্র ও নারায়ণ বিশ্বাস। ভারতের আসাম থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেন মঞ্জুশ্রী দাস, বিধান লস্কর, পরিমল দাস। তারা শচীন দেববর্মনের লোক, আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গান গেয়ে শোনান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এইচএমএস/আরএইচ