কবি বেলাল চৌধুরীর স্মৃতিচারণের প্রতি পাঠকের রয়েছে আলাদা এক কৌতূহল। তার অভিজ্ঞতার ঝোলাটি বেশ বড়।
তিনি আবার ওই বইটিকেই নতুনভাবে লেখায় ব্যস্ত রয়েছেন। তার মতে, বইটিকে আত্মজীবনী বলা যায় না, কেবল স্মৃতিচারণের বই বলা যায়। ওখানে ধারাবাহিকভাবে কোনো কিছু আসেনি, এসেছে বিচ্ছিন্নভাবে। বাদ গিয়েছে অনেক ঘটনাই।
কী প্রসঙ্গ বাদ গেছে জানতে চাইলে বেলাল চৌধুরী বলেন ‘নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়’ বইটিতে আমার বাল্যকাল, আমার শৈশব, যৌবন, নারীবিষয়ক অনেক ঘটনাই ঠিকমতো আসেনি। অনেক নারীর সাথে আমার সম্পর্ক ছিল, সম্পর্ক ছিল ফিল্মের অনেক লোকের সাথে, সেসব কিছুই এখানে লেখা হয়নি। তাছাড়া কুমিল্লা পর্ব, সন্দ্বীপ পর্ব, ঢাকার অনেক ঘটনা এবং আমার সামুদ্রিক মাছব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গও বইটতে পরিপূর্ণভাবে আসেনি। এবার আমি এসবই আরও বিশদভাবে, ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ’
নতুন করে লেখা স্মৃতিকথাটির নাম কি আগের মতো ‘নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়’ থাকবে, নাকি বদলে যাবে? জানালেন, এটা এখনও ঠিক করেননি। লেখা শেষ হলে বলতে পারবেন নাম বদল হবে নাকি আগের নামই থাকবে।
বইটি প্রকাশ করবে শুদ্ধস্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩১৫, অক্টোবর ১৭, ২০১০