লাতিন আমেরিকান কথাসাহিত্যের অন্যতম কণ্ঠস্বর মারিও ভার্গাস য়োসা। বহুদিন ধরে নোবেলের শীর্ষ তালিকায় তার নাম থাকলেও এ বছর পেলেন সেই বহুকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার।
এর আগে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় য়োসার শেষ উপন্যাস ‘দ্য ব্যাড গার্ল’। নোবেল পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে চাহিদা বেড়ে গেছে তার বইয়ের। ফলে আসন্ন বইটিকে কেন্দ্র করে প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে রয়েছে আলাদা আগ্রহ।
সদ্য নোবেল পাওয়া য়োসার সাহিত্যাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৫৭ সালে ছোটগল্পের বই The Leaders প্রকাশের মধ্য দিয়ে। তবে তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হচ্ছে The Time of the Hero। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। এ পর্যন্ত তিনি লিখেছেন ৩০টির বেশি উপন্যাস। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে The City and the Dogs, The Feast of the Goat, The Bad Girl, Conversation in the Cathedral, The Way to Paradise প্রভৃতি। এছাড়া রয়েছে তার কয়েকটি নন-ফিকশন বই এবং আত্মজীবনীমূলক রচনা।
য়োসার আসন্ন ‘এল সুয়েনো দ্য কেল্ট’ উপন্যাসটি লেখা হয়েছে আইরিশ জাতীয়বাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও আন্দোলনকারী নেতা রজার কেইসমেন্টের জীবনের ওপর ভিত্তি করে। রজার কেইসমেন্ট হচ্ছেন প্রথম ইউরোপিয়ান যিনি কলোনিয়ালিজমের নির্মমতা তুলে ধরেন।
উপন্যাসটি শুরু হয়েছে রজার কেইসমেন্টের ১৯০৩ সালের কঙ্গোর ওপর ঔপনেবিশক কার্যক্রমের গবেষণাকে কেন্দ্র করে। গবেষণা শেষে ১৯০৪ সালে কেইসমেন্ট দেখান তৎকালীন বেলজিয়ান রাজা কঙ্গোতে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। ১৯১৬ সালে রজার কেইসমেন্টকে রাজনৈতিক প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়।
উপন্যাসটি ৫ লাখ কপি বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে ২০১২ সালে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩৪০, অক্টোবর ১৮, ২০১০