১৯৮৮ সালে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ লিখে যিনি বিতর্কিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি সালমান রুশদি। ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানের ধর্মীয় নেতা ইমাম খোমেনি ফতোয়া জারি করে তার ওই বইটিকে নিষিদ্ধ করেন।
রুশদির বিরুদ্ধে জারিকৃত এ ফতোয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত হাজার খানেক প্রবন্ধ লেখা হলেও তিনি তেমন কিছু লেখেননি। এ বছরই জুলাই মাসে রুশদি ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৯৮৯ থেকে `৯৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরের ডায়েরি দেখতে দেখতে তার মনে হয়েছে এখন অনেকটা উপন্যাস লেখার দৃষ্টিতেই তাকাতে পারেন ওইগুলির দিকে। ফলে এই বিষয়গুলি নিয়ে তিনি লিখবেন আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস।
২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, সালমান রুশদির এই আত্মজীবনী প্রকাশিত হবে ২০১২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা র্যানডম হাউস ওয়ার্ল্ডওয়াইড আত্মজীবনীটি প্রকাশের দায়িত্ব পেয়েছে।
আত্মজীবনীতে সালমান রুশদি তাঁর চতুর্থ স্ত্রী পদ্মলক্ষ্মীর কথা তুলে ধরবেন কি না, তা নিয়ে এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। পদ্মলক্ষ্মী অ্যামি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া অভিনেত্রী। ২০০৪ সালে তারা বিয়ে করেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন এই অভিনেত্রীর ইচ্ছাতেই ২০০৭ সালে ২ জুলাই তারা আলাদা হয়ে যান।
আত্মজীবনীটির প্রকাশনা সংস্থা র্যানডম হাউস ওয়ার্ল্ডওয়াইডের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বামী ও বাবা হিসেবে রুশদি কেমন, সেই দিকটি বইটিতে স্থান পাবে। তবে রুশদির এ স্মৃতিকথায় পদ্মলক্ষ্মীর প্রসঙ্গ আছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
রুশদি বইটির বিষয় প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশের পরবর্তী ১০-১২ বছরের কাহিনীই বইটিতে তুলে ধরা হবে। তা ছাড়া এ উপন্যাস নিয়ে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে যেসব ঘটনা ঘটেছিল, তা তুলে ধরা হবে। আমি মনে করি, এসব ঘটনা হবে খুবই মজাদার। তাছাড়া এসব আমি মানুষকে জানাতেও চাই। ’
সালমান রুশদির এ বইটি হার্ডকভার, পেপারব্যাক, অডিও ও ই-বুক আকারে ইংরেজি, জার্মান ও স্প্যানিশ ভাষায় একসাথে প্রকাশ করা হবে। বইটি প্রকাশিত হবে ২০১২ সালে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫০৫, অক্টোবর ২৬, ২০১০