বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতার একটি বাৎসরিক প্রকাশনা ‘বৈশাখী’। গত সাত বছর ধরে প্রতি বাংলা নববর্ষের সূচনালগ্নে এটি প্রকাশিত হয়।
এ বছরও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে ‘বৈশাখী’। বর্তমান সংখ্যাটিতে শুরুতেই ছাপা হয়েছে সেলিনা হোসেনের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস নিয়ে একটি বক্তৃতা। সেলিনা হোসেন এই বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন ২৯ জানুয়ারি ২০১০-এ কলকাতা বইমেলায়। সেদিন ছিল কলকাতা বইমেলায় ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে নির্ধারিত। এখানে সেলিনা হোসেন দেখানোর চেষ্টা করেছেন মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কী ধরনের উপন্যাস রচিত হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি এ পর্যন্ত প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর গল্প নির্বাচনকে স্মরণ করেন এবং বিশ্লেষণ করেন কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাবকে।
আশির দশকের ছোটগল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখেছেন সোহরাব হাসান। প্রাচীন যুগের ফিলিপিনো সাহিত্য নিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ লিখেছেন মাসুদ খোন্দকার। এ প্রবন্ধটি পাঠে আমরা জানতে পারি সাতশোরও বেশি দ্বীপারাশির দেশ ফিলিপিনে রয়েছে শতাধিক ভাষা, সাহিত্যের ধারাবাহিক প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রবাদ-প্রবচন, গান, কবিতা, মহাকাব্যসহ এখানকার রূপকথা ও উপকথা বিষয়ে। এছাড়া এখানে বাংলাদেশের যাত্রাগান নিয়ে লিখেছেন ড. তপন বাগচী, বাংলাদেশ-ত্রিপুরার সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন সুভাষ দাস, বাংলাদেশের ষাট দশকের কবিতা বিষয়ে লিখেছেন ড. প্রথমা রায়ম-ল, শিল্পীর সামাজিক দায় নিয়ে লিখেছেন কবি সৈকত হাবিব।
এছাড়া আরও বিচিত্র বিষয় নিয়ে গদ্য লিখেছেন অমিতাভ রায়, ড. চিত্ত ম-ল, রঙ্গনকান্তি জানা, শহিদ কবির, দিলীপকুমার সিংহ, নিসার হোসেন, অমৃত মাইতি, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, ড. মোঃ ওমর ফারুক, ইন্দ্রণী সাধুখাঁ, এম. এম. ময়েজউদ্দীন, দিলীপ ব্যানার্জী।
এ সংখ্যায় গল্প লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ১২ জন গল্পকার। লেখকরা হলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, কিন্নর রায়, অমিয় কুমার মুখোপাধ্যায়, ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, শচীন দাশ, মনি হায়দার, অর্ধেন্দুশেখর গোস্বামী, মাজেদা রফিকুন নেছা।
কবিতা লিখেছেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কামাল চৌধুরী, মাকিদ হয়দার, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, অনিল সরকার, বিমল গুহ, শ্যামলকান্তি দাশ, করুণাসিন্ধু দাস, ইকবাল হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, উৎপল ঝা, জ্যোতির্ময় দাশ, আশিস সান্যাল, হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সালিক লখনউভি, শংকর চক্রবর্তী, মালিপাখি, মৃণাল বসুচৌধুরী, আঁখি বৈরাগী, গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, কমারুল হাসান, জাহাঙ্গীল মোহাম্মদ, মনোরঞ্জন পুরকাইত, শামস আল মমীন, নাসির আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, আশিস চক্রবর্তী, শ্যামাপসাদ ঘোষ, মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ, মাসুদ খান ও আবু মকসুদ।
এছাড়াও সংখ্যাটিতে রয়েছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান নিয়ে তথ্য। রয়েছে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় উৎসব উদযাপনের আলোকচিত্র।
সব মিলিয়ে নানা বিষয়ে একটি ঋদ্ধ আয়োজন করেছে ‘বৈশাখী’ সংকলনটি।
বৈশাখী
সম্পাদক : সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার
প্রচ্ছদ : হাশেম খান [উপ-হাইকমিশনের সংগৃহীত তৈলচিত্র অবলম্বনে]
প্রকাশক : বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা
প্রকাশকাল : ১ বৈশাখ ১৪১৭
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০৩০, নভেম্বর ০১, ২০১০