মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ-তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে ২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধোধন করা হলো ঢাকা আর্ট সেন্টারে ‘মুক্তি’ শীর্ষক চিত্রকর্মের প্রদর্শনী। এখানে স্থান পেয়েছে কাইয়ুম চৌধুরী, মুস্তাফা মনোয়ার, মনিরুল ইসলাম, হামিদুজ্জামান খান, শহিদ কবীরসহ পঞ্চাশাধিক দেশবরেণ্য ও প্রতিশ্রুতিশীল নবীনদের আঁকা ছবি।
প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিল্পী ভূপতিনাথ চক্রবর্তীর দুটি বিরল চিত্রকর্ম। ছবিগুলির রঙের কাজ ও তুলির সুক্ষ্ম আচড় উপস্থিত দর্শক ও অতিথিদের বিস্মিত করে। চিত্রকর্ম দুটি সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে প্রদান করেছেন তার পুত্র মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী।
ভূপতিনাথ ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার গাঙ্গাটিয়া এলাকার জমিদার। চল্লিশের দশকে কলকাতা আর্ট কলেজ থেকে তিনি চিত্রকলা উপর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একজন প্রিয় শিষ্য। ধ্রুপদি সঙ্গীতের সমঝদার এই মানুষটি যন্ত্রবাদনে ছিলেন দক্ষ। তিনি বেশ কিছু গান রচনা করে তাতে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকবাহিনী কিশোরগঞ্জে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কলীম শরাফির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি রবিউল হুসাইন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা আর্ট সেন্টারের চেয়ারপারসন রামেন্দু মজুমদার, মফিদুল হক, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও শহীদ ভূপতিনাথ চক্রবর্তী চৌধুরীরর পুত্র মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী।
এ প্রদর্শনীর চিত্রকর্ম বিক্রয়লব্ধ অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে ব্যয় হবে। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ১৪ নভেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯৪০ নভেম্বর ২, ২০১০