শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির উন্মুক্ত চত্বরে ৩ নভেম্বর বুধবার বিকেলে উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে ৩য় হেমন্তের বইমেলা। ১০ দিনব্যাপি এ মেলায় অংশ নিয়েছে ১৮টি প্রকাশনী ।
প্রকাশনীগুলি হচ্ছে- পাঠক সমাবেশ, জাগৃতি , সন্দেশ, প্যাপিরাস, ঘাস ফুল নদী, পলল, ম্যাগনাম ওপাস, ভাষাচিত্র, উৎস প্রকাশন, শুদ্ধস্বর, কথাপ্রকাশ, প্রথমা, জনান্তিক, মুক্তচিন্তা প্রকাশনা, অ্যাডর্ন, জ্যোতি প্রকাশ, স্বরাজ প্রকাশনী ও নিমফিয়া পাবলিকেশন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকেল ৫টায় ‘বিশ্বায়নে সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন খান মাহবুব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এছাড়া ফয়সল আরেফিন দীপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সংস্কৃতি সচিব সুরাইয়া বেগম ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার।
খান মাহবুব তার প্রবন্ধে বিশ্ববাজারে বাংলা ভাষায় রচিত বইয়ের অবস্থান, সম্ভাবনা ও প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যা, সংকট রয়েছে তা বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের বইয়ের বিশ্বায়নে আমাদের জন্য যে বড় সম্ভাবনা রয়েছে তা হচ্ছে : বাংলাদেশের বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরামসহ এশিয়া মাইনর পর্যন্ত বাংলাভাষী প্রায় ১৫ কোটি মানুষ রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক বাংলাভাষী মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সব মিলিয়ে বিশ্বে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলে। এতো বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকলেও আমরা এখনো কলকাতার বইপাড়া কলেজ স্ট্রিটে একটি বিক্রয় কেন্দ্র খুলতে পারিনি। ’
সেমিনার শেষে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং মেলা পরিদর্শন করেন। হেমন্তের বইমেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ১২ নভেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯১২, নভেম্বর ৩, ২০১০