জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো আনিস চৌধুরীর বারোটি নাটকের সংকলন ‘আনিস চৌধুরী : নাটক সংগ্রহ’-এর প্রকাশনা উৎসব। বইটি প্রকাশ করেছে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ।
পঞ্চাশের দশকের সৃজনশীল মানুষ আনিস চৌধুরী। পেশাগত জীবনে সাংবাদপত্র ও বেতারের সাংবাদিক, সাহিত্যের তিনটি শাখাতে সক্রিয় ছিলেন। উপন্যাস ও ছোটগল্পে তার ছিল উজ্জ্বল উপস্থিতি। তবে তিনি সমধিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নাটক রচনায়।
নাটকের জন্য ১৯৬৮ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। মঞ্চ, টেলিভিশন ও বেতার নাটকে তিনি এ দেশের মধ্যবিত্ত জীবনের নানা অনুষঙ্গকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তুলে ধরেছিলেন। ১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া কথাসাহিত্যক আনিস চৌধুরী প্রয়াত হন ১৯৯০ সালের ৩ নভেম্বর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনিস চৌধুরীর কন্যা লুভা নাহিদ চৌধুরী। বুলবুল ইসলামের কন্ঠে নিবেদিত রবীন্দ্রনাথের দুটো গান [মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে, কান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু] দিয়ে আয়োজনের সূচনা হয়। এরপর লেখককে নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে [১৩ মিনিটের] তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিশিষ্ট অতিথিরা আনুষ্ঠানিকভাবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং পর পর অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, জামিল চৌধুরী [আনিস চৌধুরীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা] ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা প্রায় প্রত্যেকে আনিস চৌধুরীর সাথে তাদের ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারণের পাশাপাশি, লেখক হিসেবে তার সৃজন ভুবনের নানান অনুষঙ্গ তুলে ধরেন। আলোচনা করেন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক হিসেবে আনিস চৌধুরীর দীর্ঘ কর্মময় জীবন নিয়ে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ২০১৫, নভেম্বর ৫, ২০১০