মণিহারা
হারামণি, কোথায় মিলালে?
মাংসপেশীর ভাঁজে-ভাঁজে
কিলবিল কিরার আঙুল-
আমি খুলে যাই মণিহারা।
হারামণি, কোথায় মিলালে?
এ তরল-মাটিতে সাঁতার,
না কঠিন জলে নিমজ্জন?
চুপসে যায় শরীর, শরীরে।
হারামণি, কোথায় মিলালে?
আমি জেগে পড়ব কি এখন,
না ঘুমিয়ে উঠব? লাল বালি
অতীতের থেকে ঝ’রে পড়ে।
মুখপানে অমার ওলান,
গর্ভের গভীরে চাওয়া-চোখ,
শত গাঁইতি চলে শতধারে-
হারামণি, কোথায় মিলালে?
আমি খুলে যাই মণিহারা।
৪.৫.২০১০
রুদ্ধশ্বাস
সোনালি ফ্রেমের মধ্যে চতুষ্কোণ চাঁদ
ত্রিভুজ শশক তার অঙ্কে-
ও ঈশ্বর, তুমি চেয়ে আছ!
আমার জ্যামিতি-জুড়ে কোনো বৃত্ত নাই,
নাই কোনো অগস্ত্যপ্রস্থান।
সঙ্কটের দু’পারে খাড়াই
মিশেছে নোতুন এক নিরেট দিগন্তে,
আমার খমধ্যে ছিদ্র নাই।
অঢেল ঢেউয়ের ফলা, কাচের হাওয়ার
কলায়-কলায় ঝোলে চাঁদের ফলক
বর্গাকার;
রুপালি- রুপার চেয়ে, অপেক্ষার চেয়ে-
ও ঈশ্বর, তুমি চেয়ে আছ :
আমার আকাশে নাই কোনো নির্গমন।
বাবা তুমি মা আমার, বোন তুমি ভাই,
আমার আপন কেহ নাই।
৪.৫.২০১০
বর্ণনাতীত
এমন তিলকশ্যাম বাজালেন রবিশঙ্কর
হাঁটু মুড়ে গোল হ’য়ে ব’সে গেল তারা
প্রায় মুছে গিয়েছিল যাদের চেহারা
কবিতার, গণিতের, দর্শনের বইয়ের ভিতর-
কাউকে কনিআঙুলের কাটা দেখে চিনি,
কারো ছোট্ট ঘেমো-নাক, কারো হয়তো গালিব-বন্দিত
জুলফের ঝলক, কেউ ঠাকুরের বর্ষণমন্দ্রিত
ডাগর চাউনিটা নিয়ে ভিজছে একাকিনী-
তারপর হঠাৎ তারা, একইসাথে, ঝালা-র সময়,
তড়াক দাঁড়িয়ে গেল- আবছা-হস্ত-পদ
শত-শত শিশু উমা হাসল- “বধো! বধো!”
আমি কৃতাঞ্জলি বলি- “তমসো মা জ্যোতির্গময়। ”
এবং তারের থেকে তারা ছিটকে চলে,
একের পর এক বিশ্ব ভেসে যায় জলে।
২২.০৬.২০১০