কঙ্করটিলা
হারানো সুবাস পেলে পাথরেও গন্ধরাজ স্লেটভর্তি ফোটে, কঙ্করটিলা আবহ সাজায় ফুলশয্যার, এদিকে আমার যাত্রা সমকাল চুপসে রেখে স্প্রিং বলের মতো আছাড়ি পিছাড়ি—
মনে হতো দূর গোলার্ধে অবিনাশ পাখা মেলে আছে, সেলাইকলে মিলিয়ে গেছে চাঁদের ফাটল, বন্ধু, মালাই চায়ের ধোঁয়া কেমন বেলুন বেলুন ভ্রমরঙে ওড়ে, ওখানে নেইলকাটারের ছন্দে অবিরাম বজ্রপাত।
দ্যাখ তো, তোকে ডাকতে না ডাকতেই দুধের সর মাছি ক্যারি করে ভাসছে।
ক্রুশ কাঠের দেশে
অল্প রোদে হাট খোলা রোদে প্রতীকী ধূলায়— ত্রিভূজ বন্দরখানি এখন ধুলায় শয্যা, হাঁটি প্রতিপিপাসার গন্তব্যে কার্তুজে হাঁটি।
পাঠের বেদনা চোখে চোখে দেখি ক্রন্দসীর, ছানি পড়া চোখ যেন নিরুদ্দেশে ডাকে জটা চুলে ডাকে অফোঁটা কোরক।
বিমান এখানে মেঘ ও মেঘের রক্তযুঁথী আত্মীয় কোনো, পাবে দূর ক্রুশ কাঠে জাতিবিগ্রহের গুলি, খোসা ভরা।
করতল আন্দাজ করে
নাকফুলে রোদ ওড়ে, আমি ভেবে মরি এত হীরে কে দিল তোমায়—
এত এত কুচফল পাতাসী মাছের পোনা কোথায় পেলে নারী, পরাহত নাবিক দাঁড়িয়ে মাস্তুল দেখে টেখে নেয়!
শহরের উচ্চতম মিনার দেখা যায়, করতল আন্দাজ করে পাখ পাখালের আসা যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪