শ্যেনানডোয়া
কাদায় দাগ কাটছে
ট্রেইলে—
বনের ভিতর একটা নির্জন শিশু
শব্দ পেয়ে ঘাড় ঘুরালো
ঠাণ্ডা চোখে দেখলো আমাদের
যেখানে কাদাগুলি নদীতে গিয়ে পড়ে
**
স্টারি নাইট কিন্তু একটা নীল
কাঠের তক্তা
একেকটা তারার গিঁট— কাছের ডালগুলি দ্রুত মরে গিয়ে
এমন দাগ ফ্যালে
আমরা দুপুরের মেয়েটার কথা ভুলতে পারি না
প্রায় প্রায় মনে আসে
শব্দে
সেলুলোসে— টিলার উপর কাঠের রেলিং
এত এত তারা ফুটেছে যে
কোথায় কী দেখবো
ভাবলে গা ছম ছম করে
ওড টু সূর্যমুখী
অনেকদিন ভালোবাসার পর সমকোণে
সূর্যমুখী নিয়ে ভাবলাম
একপাশে এত আবিষ্কার
অন্যপাশে রঙ নাই কেন?
এই যে মনে হয়, চিত্রকর ক্যামনে
কেন এমন গোঁড়া— এটা কিন্তু অনেক দিন ভালোবাসার পর
সমকোণে
তার ক্যানভাসের একপাশ দেখতে পাচ্ছি
তাই
তখনো ভাবছি বলে
চলে যাওয়ার সময় ঠিকমত খেয়াল করবো
ঢোকার মুখে যেমন দেখলাম— মেঝেতে জায়গায় জায়গায় চল্টা উঠে গেছে
বোঝা যায়
মানুষ মোটামোটি এই এই দিকে হাঁটে
পাতা উড়ছে
পাতা উড়ছে
গড়াচ্ছে
হরিণের পালের মতো
গ্যালো
গ্যালো না
চক্রাকারে ঘোরে
যেন কেন্দ্র
কংক্রিটে
পলিথিন ব্যাগের পাশে
কংক্রিট ভরা লবণের দাগ
ডালের ছায়ায়
ছায়ার কঙ্কাল অপেক্ষা করে
ওরা জানে, তাই লাফায়
শব্দ হয়
মাত্র একটা টয়োটা এসে থামলো
টয়োটা চলে গ্যালো
আবার শব্দ— পলিথিনে ছায়ার কঙ্কাল
নতুন প্রতীক আসছে
এখনো খুব ছোট, ছায়াহীন— দুইটা কালোপাতা
তার নিচে গড়ায়
লাফায়, চক্রাকারে
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ২৪, ২০১৪
শিল্প-সাহিত্য
তিনটি কবিতা | মেসবা আলম অর্ঘ্য
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।