ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঈদ ও পূজার বিশেষ আয়োজন

মঞ্জুরী | তানজীনা নূর-ই সিদ্দিকী

দেশি-বিদেশি গল্প / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪
মঞ্জুরী | তানজীনা নূর-ই সিদ্দিকী অলঙ্করণ: খেয়া মেজবা

ইট-সুড়কির রাস্তা। তার দু’পাশ জুড়ে ঘন দেবদারু গাছের সারি।

শীতের বার্তা নিয়ে ছোট ছোট পাখি, সূর্যের আলো এসেছে, জানান দেয় কিচির মিচির সুরে। টুং-টাং শব্দ, দু’একটা রিক্সার। ‘ওই মোয়া, মুড়ির মোয়া’—দূর থেকে হাঁক শোনা যায়। ঘণ্টা আধেক পরে একটা রিক্সা গলির মোড়ে সবচেয়ে পুরনো সাদা বাড়িটার নিচতলার বারান্দা ঘেঁষে চলে গেল। আর মুড়ির মোয়ার ঝুড়ি মাথায় যে হাঁক ছেড়ে ডাকছিল, তার গলার স্বরও আর শোনা গেল না।

আজ শুক্রবার। এস.এস.সি পরীক্ষার বাকি আছে আর দুই মাস। মঞ্জুরীর রাত জাগা চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। শীতের মিষ্টি হাওয়ায় ভোর হলে এলাকার কেউ কেউ হাঁটতে বেরোয়। ওদের ভাড়া করা বাড়িটার গা বেয়ে চলে যায় নদীর কাছাকাছি। ওখানে শ্মশানঘাট, লাল রঙের মাটি, মাইল দু’এক হেঁটে সেখানে কাছের গ্রামগুলো থেকে কুমার মাটির বাসন নিয়ে আসে প্রতি শুক্রবার। বিকেল পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। ছোটদের জন্য পুতুলও নিয়ে আসে তারা। মঞ্জুরীর পুতুল কেনার লোভ হয় ভীষণ। ওরকম মাটির পুতুল দিয়ে পুরো ঘর ভরে ফেলতে ইচ্ছে করে তার। ওদের বাসার পাশে টেইলার কাকু বসেন, ওখান থেকে মঞ্জুরী চাইলেই আনতে পারে, ঝুট কাপড়। লাল, মেজেন্টা, হলুদ। কিন্তু মঞ্জুরীর পুতুল কেনা হয় না। পরানো হয় না লাল শাড়ি।

মঞ্জুরীর খুব ইচ্ছে করে, শিল্পকলা একাডেমিতে যেতে। চারটায় বাচ্চু দাদা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম দেন। মঞ্জুরীর খুব ভালো লাগে, তবলার বোল, হারমোনিয়াম আর তানপুরাতে সুরেলা দুপুর। ইচ্ছে করে, উপল দা’র হাত ধরে রাজবাড়ির পুরোটা ছাদ হেঁটে বেড়াতে সাদা রাজহাঁসের মত। পুরো পৃথিবী তার কাছে তখন স্থির একেবারে, শুধু গাছের পাতার মৃদু হাওয়া তাদের শরীরে দোল খায়।
- মঞ্জুরী, ওই মঞ্জুরী!
মঞ্জুরী তার স্থির হয়ে থাকা পৃথিবী আর উপল দা’র হাত ছেড়ে বর্তমানে ফিরে আসে। বাবার ডাকের সাড়া দিয়েও দিতে ইচ্ছে করে না। কিচ্ছু ইচ্ছে করে না ওর। পড়তে ইচ্ছে করে না, পরীক্ষা দিতে ইচ্ছে করে না, মা চলে যাওয়ার পর, বাবা যে নতুন নারীকে নিয়ে এলেন—তাকে মা বলে ডাকতে ইচ্ছে করে না।

মঞ্জুরী আর সঞ্চিতা, ওরা দুই বোন, পিঠাপিঠি বড় হয়েছে। সরকারি ব্যাংকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বাবা, অফিস শেষ করে মদের বোতল নিয়ে বাড়ি ফিরতো। গভীর রাত অব্দি চলত তার মদপান। মদ্যপ অবস্থায়, কুৎসিত গালি দিতে দিতে প্রতি রাতে মাকে শারীরিক নির্যাতন করতো বাবা। সকালে মঞ্জুরী আর সঞ্চিতা হোমওয়ার্ক শেষ করে, স্নান সেরে যখন দুই বেণি আর স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রান্নাঘরে যেত, মা তখন শুকনো রুটি আর আলু ভাজি এগিয়ে দিত হাসি মুখে। রুটি বেলতে গিয়ে মা’র ঘোমটা মাঝে মাঝে খুলে যেত। ওরা দু’বোন আড়চোখে দেখতো মা’র গলার পাশে গোল হয়ে বসে আছে দাঁতের চিহ্ন। রক্ত জমাট বেঁধে আছে, মা তাড়াতাড়ি আঁচল মাথায় টেনে নিত। মঞ্জুরীর গলার কাছে কী যেন কী জমাট বাঁধতো। ও আর খেতে পারতো না কিছু। জল মুখে পুরে, মাকে বলতো— ‘আসছি মা। ’

ওদের বাসা থেকে স্কুল ছিল পনেরো মিনিটের হাঁটাপথ। দুই বোন স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়াতো আর স্পোর্টস মিস বেত হাতে ওদের চার পায়ে বসিয়ে দিতেন চার ঘা। কারণ, ওদের সাদা কাপড়ের স্কুল জুতো ছিল না। চার, পাঁচ মাস বেতন জমে গেলে কান ধরিয়ে হাইবেঞ্চে দাঁড় করিয়ে রাখতো ক্লাস টিচার। পরীক্ষার আগে ভাগে বাবা বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে করতে বলতেন, ‘তোদের পড়াইয়া আমার হইবো টা কী? মাগী তো একটা পোলাও দিতে পারলো না। ’

ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে, এক বিকেলে মঞ্জুরী তার সহপাঠী অদিতির বাসায় গল্প করছিল। অদিতিকে মঞ্জুরী ভীষণ ভালোবাসতো। এই মেয়েটিকে সে তার মনের সব কথা খুলে বলতো। অদিতি মঞ্জুরীকে তার পুতুলগুলো থেকে একটা পুতুল দিয়ে বলেছিল, ‘তোমার যখন ইচ্ছে হবে, আমার কাছে এসো। ’ মঞ্জুরী অদিতির কাছে থেকে কিশোর থ্রিলার, সমরেশ, সুনীলের বই নিয়ে পড়তো, ওর কথা শুনেই গার্ল গাইডসে নাম লিখিয়েছিল, শিল্পকলায় ভর্তি হয়েছিল। ওদের দুই রুমের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে যেন আলোর পরশ পেতে শুরু করেছিল সে,  অদিতির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠার পর।

মঞ্জুরী অদিতিকে সেদিনই বলেছিল, ‘দেখো, উপল দা’কে আমি সাতপাকে বাঁধবো। ’ অদিতি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিল মঞ্জুরীর দিকে। মঞ্জুরীর পুরো মুখে সোনালি বিকেলের রোদমাখা আলো এসে পড়েছিল। অদিতির একদম ইচ্ছে করছিল না মঞ্জুরীর মুখ থেকে সেই আলো সরাতে। তাই সে ওকে বলেনি, উপল দা’ শিল্পকলায় যেমন সুমি আপুকে উত্যক্ত করতো, তেমনি অদিতিকেও চিরকূট দিতে ছাড়েনি। মঞ্জুরীর মুখে সেই আভা যেন মিলিয়ে না যায়, সেই যত্নকে সমাদর করে অদিতি বলেনি, উপল দা’র মা ব্রাহ্মণ ঘর ছাড়া ছেলেকে বিয়েই করাবেন না। সে শুধু বন্ধুকে সাহস দিয়ে বলেছিল, ‘তোমার কিছু লাগলে আমাকে জানিও। ’ এরপর দু’একবার মঞ্জুরী অদিতির ঈদে কেনা স্কার্টটা নিয়ে পরেছিল। আর একবার ওর প্রথম সালোয়ার কামিজটা। সাদা পাড় লাল শাড়ি পরে উপল দা’র সঙ্গে থানা কাউন্সিল পেরিয়ে, তার এক ব্যাচেলর বন্ধুর বাসায়, বৈশাখের প্রথম দিনে, বন্ধ দরজার ওপাশে কৈশোর বিসর্জন দিয়ে এসেছিল মঞ্জুরী। কেবল এই কথাটাই সে অদিতিকে তখনো বলেনি। এভাবে আরো দু-চারবার, উপল দা’কে বর মেনে মঞ্জুরী গেছে তার সাথে।

মঞ্জুরীর মনে হয়, তার বাবার মতো মদ্যপ আর মমতাহীন পৃথিবীর সব ছেলে নয়। উপল দা’ ওকে কত্ত ভালোবাসে। লাল চুড়ি কিনে দেয়। আইসক্রিম খাওয়ায়। খোলা গলায় রিক্সার পাশে বসিয়ে গান গায় একসাথে। উপল দা’ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স পাশ করেছে, মাস্টার্স করতে ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে। সেখান থেকে ফিরে এলেই ওরা বিয়ে করবে। উলুধ্বনি আর শঙ্খ বাজবে। মা লাল শাড়ি পরে মঞ্জুরীকে হাসিমুখে সঁপবে উপল দা’র হাতে। মঞ্জুরী সেই স্বপ্ন চোখে রাতে ঘুমাতে পারে না। সে মনে মনে ভাবে, এই কথা সে অদিতিকে জানাবে। তার প্রিয় বন্ধুকে সে কী করে বলেনি এতদিন একান্ত কথাগুলো!

এস.এস.সি টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্টের দিন বিকেলে, অদিতিকে মঞ্জুরী বলতে গিয়েছিল সেই কথা। কিন্তু পুরো মহল্লার মানুষের সমাগমে আর বলা হয়নি সে  কথা মুখ ফুটে। পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে মাসীমা মঞ্জুরীকে বললেন, ‘মঞ্জুরী, তোমার মাকে বাঁচাও। চলো, তোমাদের বাসায় চলো ...’

মঞ্জুরী মহল্লার সকল মানুষকে ছাপিয়ে মা’র বদ্ধ ঘরে পৌঁছানোরও বহু আগে সিলিংয়ে ঝুলছিল মা’র শবদেহ। মা’র চোখ দু’টো বিস্ফোরিত হয়ে যেন মঞ্জুরীকেই ডাকছিল। পাশের মাঠ থেকে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট ছুঁড়ে দৌড়ে এসেছিল সঞ্চিতা। মঞ্জুরীর পেছনে পেছনে হাঁপাতে হাঁপাতে এসেছে অদিতি, অদিতির মা, টেইলার কাকু, তার বউ। অদিতি মঞ্জুরীর কাঁধে হাত রাখতেই মঞ্জুরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল মেঝেয়।

তার সপ্তাহ দুয়েক পরই ঘরে এসেছিল নতুন মা। সঞ্চিতা আর মঞ্জুরী যখন পাশের ঘরে ফুঁপিয়ে কাঁদতো রাতে, বাবার ঘর থেকে তখন খাটের খটখট শব্দ, কামুক হাসির মিলিত শব্দ শুনে গা গুলিয়ে বমি আসতো মঞ্জুরীর। ওর মনে হতো, বাবাকে সে খুন করে সেই রক্তে স্নান করবে।

কিন্তু পরের সকালেই নিজেকে তার অতি ক্ষুদ্র আর অসহায় মনে হয়। নতুন মা ঘরে এসেই রান্নাঘর তুলে দিয়েছে ওদের হাতে। ভোরে উঠেই দুই বোনের শুরু হয় বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, নাস্তা বানানোর কাজ। বাবার সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। সে রুটিন মাফিক মদের বোতল নিয়ে বসে যায় প্রতি সন্ধ্যায়। চুলে কলপ লাগিয়ে গায়ে মাখে সুগন্ধী। নতুন মাকে নিয়ে রাতে ঘরে ঢোকে। এ ঘরে খাটের খটমট, কটকট আওয়াজ আর গা গোলানো হাসির শব্দে, মঞ্জুরী সঞ্চিতা কান বন্ধ করে বাঁচতে চায় প্রাণপণ।

আজ শুক্রবার। বাবা ডেকেই চলেছে, ‘মঞ্জুরী, ওই মঞ্জুরী। ’ মঞ্জুরী কানে তোলে না। সে মায়ের বিয়ের লাল শাড়িটা যত্ন করে আলমারি থেকে বের করে। কুচি দিয়ে সেই শাড়ি পরে নেয় সে। চুল আঁচড়ায়। তারপর ঘর থেকে হনহন করে বেরিয়ে হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে সে শিল্পকলায় পৌঁছে যায়। পুরনো রাজবাড়ির ছাদময় পায়চারি করে। নাটমন্দিরে নেমে কল থেকে জল নিয়ে চোখ মুখ ভেজায়। পান করে। রিক্সা করে সারাটা শহর ঘোরে সে।

পরদিন সকালে অদিতি বারান্দায় রোদের ওম গায়ে মেখে পড়তে পড়তে ভাবছিল, দুর্গাপূজার আজ দশমী। দেবীকে বিদায় জানানোর দিন। অদিতি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতে ভাবেইনি, এবার মণ্ডপ দেখা হয়নি। সে ভাবে, পড়া শেষ করেই, মঞ্জুরীর বাসায় যাবে। মঞ্জুরী আর সঞ্চিতাকে নিয়ে মাধববাড়ি যাবে মা দুর্গাকে দেখতে। পূজামণ্ডপে প্রসাদ আর নারকেলের নাড়ু অদিতির খুব প্রিয়। এবার পূজায় নাড়ুও তো খাওয়া হয়নি তার! সময় বেশি নাই।

অদিতি মাকে বলেই বেরিয়ে পড়ে তাড়াহুড়ো করে। কয়েক কদম হেঁটে পৌঁছে যায় মঞ্জুরীদের বাড়ি। কিন্তু অনেকবার কড়া নাড়ার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে অগত্যা একাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পা বাড়ায় সে। মঞ্জুরীদের গলির শেষ মাথার সাদা রংয়ের বাড়িটা কেমন সুনসান, নীরব লাগে তার। সে রিক্সাওয়ালাকে ডাকে।
- মামা, মাধববাড়ি যাবেন?
- উডেন।
- কত নিবেন?
- দিয়েন, দশ ট্যাকা।
অদিতি শীতের হাওয়ায় রোদ পোহাতে পোহাতে পৌঁছে যায় মাধববাড়ি, পূজামণ্ডপে। দেবীকে তোলা হচ্ছে। হুলুস্থুল অবস্থা, কান্নার মাতম কোথাও বা। অদিতি বিস্ময় নিয়ে মা দুর্গার চোখ দেখে। ‘বাহ! কি সুন্দর দেখতে হয়েছে এবারের প্রতিমাটা!’ সে কী মনে করে ওদের সঙ্গে ভ্যানে উঠে বসে। শ্মশানের দিকে ছুটছে সবাই দেবী দুর্গাকে শ্মশানের পাশের নদীতে ভাসাবে তাই। কিন্তু যতই শ্মশান এগিয়ে আসে, অদিতি দেখতে পায়, আগুনের শিখা। আরো একটু এগিয়ে যেতেই সে সঞ্চিতাকে দেখে। অদিতির বুকটা কেমন মোচড় দিয়ে ওঠে। কার চিতা জ্বলছে? সঞ্চিতা এখানে কেন? ওদের বাসা খালি কেন? মানুষের গুঞ্জন কানে আসে তার। এলোমেলো কথা।
- ‘মেয়েটা ভালো ছিল, আহারে! মায় গেল, মেয়েও গেল। কি কপাল! হায়রে অভাগা!’
অদিতি’র রক্ত হিম করা অনুভূতি হয়। না, সে আর এগোবে না। পেছন থেকে বাচ্চু দা’ অদিতিকে থামায়।  
- অদিতি!
সম্বিৎ ফেরে অদিতির। পেছনে তাকায়। বলে, ‘বাচ্চু দা, নমস্কার। কে মরলো দাদা?’ কাঁপা কণ্ঠে জানতে চায় সে।
- ঘর থেকে বেরিয়েছিল সকালে, একটা লাল বেনারশী পড়ে। সারাদিন শহরে ঘুরেছে একা। সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরেছে, তখন কানাই দা খুব বকেছিল, শুনেছি। বলেছিল, পড়াশোনা না করে খালি ঘুরে বেড়ায়, ফেইল করলে বাড়ি থেকে বের করে দিবে। চুপচাপ শুনে গেছে ও। তারপর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে খুব করে সেজেছে। একেবারে লাল টুকটুকে পুতুল বউ। রাতের খাবার শেষে, বাসন মেজে, রান্নাঘর থেকে সঞ্চিতা যখন ঘুমাবে করে দরজায় টোকা দিচ্ছিল, ও ঘর থেকে কোনো সাড়া পায়নি। অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর প্রধান দরজা খুলে বাইরে গিয়ে জানালা থেকে সঞ্চিতা দেখেছিল, মঞ্জুরী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। ওর কপালে সিঁদুর ছিল, জিহ্বা বের হয়ে এসেছিল, ...’ বাপ্পী দা’র একটানা আক্ষেপের সুরে বলা কথাগুলো থামিয়ে দেয় অদিতি, আর শুনতে পারছে না সে।

শিল্পকলা’র আরেক ছাত্র শিপন পাশে থেকে বললো, রাজবাড়ির দেয়ালে সে লেখা দেখেছে ‘ভালো থেকো, উপল!’



বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।