ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঈদ ও পূজার বিশেষ আয়োজন

অযথা ঘামের দিনে | সালাহ উদ্দিন শুভ্র

দেশি-বিদেশি গল্প / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪
অযথা ঘামের দিনে | সালাহ উদ্দিন শুভ্র অলঙ্করণ: খেয়া মেজবা

ভাদ্রে খুব চুল পড়ে দিবার। লম্বা লম্বা চুলগুলো কেমন ঘোট পাকিয়ে ঘরের কোণায়, দরজার আড়ে, খাটের তলায়, বাথরুমের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে।

উড়ে উড়ে বেড়ায়। এত চুল নিজের মাথায় তা বোধহয় ঝরে না পড়লে বুঝতে পারতো না দিবা। ভাদ্রের এমন ওমদা গরমে মাথায় খুব ময়লাও হয়, তারপর চুলার আঁচ, ভাতের ভাপ, তরকারির ঝাঁঝ সব আর কোথায় গিয়ে জমা হবে? ওই মাথায়। মাথায় এত গলি-ঘুপচি থাকে— তাজ্জব লাগে মাঝে মাঝে। এই চুলের চিন্তা ফলে ভাদ্রের গরমে এক নতুন অনুষঙ্গ হয়ে উঠলো বলতে গেলে। এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাবে না ভাবলো। কিন্তু চুলগুলোই তো পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়। ওজন নাই, শব্দ নাই তবুও তাদের থাকায় মাঝে মাঝে নাকাল হতে হয়। এর মধ্যে কোনো দিন ভাতে বা তরকারিতে চুল পাওয়া গেল তো সব শেষ। সারাদিনের সকল অর্জন সব বৃথা। তরকারি যতই স্বাদ করে রাঁধুক না কেন, একটা লম্বা চুলে সকলই জলাঞ্জলি। এমন চুলব্যাকুল দিনে সেদিন কলংবেল ডেকে উঠলো।

কোকিলে না হোক কলিংবেলে তো ডেকে উঠলো দিবার কানে। ভাদ্রে কোকিল না ডাকলেও কলিংবেল ঠিক ঠিক ডাকবে। কলির যুগে একটা কাঁঠাল গাছের আড়ে কোকিল না থাকুক, ঘুলঘুলি বরাবর একটা কলিংবেল ঠিক থাকবে। এর ডাকের জন্য কোনো ঋতুর দরকার হয় না, কারেন্টের দরকার হয়। একটা সুইচ লাগে, তার আর ট্রান্সফরমার লাগে, স্পিকার লাগে। আর অবশ্যই ইলেকট্রিসিটি লাগে। দিবারও ইলেকট্রিসিটি লাগে, নইলে সে অচল। সেও কলিংবেল হয়ে উঠেছে দিনে দিনে। শরতেও কোকিলের ডাক শোনার বাসনাটুকু না থাকলে কলিংবেল থেকে নিজেকে আলাদা করার খুব বেশি তাড়না এখন আর পায় না সে। নিজের শরীরটা একটা তফাত তৈরি করে যদিও। নইলে স্বভাবে আর কর্মে সেও তো কলিংবেল আসলে। ভিতরে একটা ডাক বন্দী করে দুজনেই শরীর হয়ে আছে। কখন কে ডাকবে তা আগাম বলা যাবে না। অজানা কারো ডেকে ওঠার অপেক্ষায় দু জনেই শাহজানপুরের রেলওয়ে কলোনির চার তলা ছাই ছাই বাড়ির তিন তলার পশ্চিম দিকের ফ্ল্যাটে বাস করে। কলিংবেলটা ড্রয়িংরুমে, দিবার নিবাস বেডরুম। রান্নাঘর কিম্বা ড্রয়িংরুমেও তার কাজকারবার চলে। তবে দেবর আফজালের ঘরে যায় কচিৎ। ছেলেটা সোমত্থ হয়ে উঠেছে এখন।

তাদের ঘরের কলিংবেলটার রং ক্রিমি। দিবা কালচে শ্যামলা। কালো ভ্রুযুগল, কালো চোখের মণি, গোল গোল মুখ, পুরু ঠোঁটযুগল দেখলে মনে হবে কত দিনের অভিমান যেন সেখানে জমা আছে। থির থরে একটা কাঁপুনি চোখে ধরা পড়বে। যা বলার কথা তা না বলে অন্য কিছু বলার ভান করলে মুখের যে দশা হয়, দিবার মুখটা অমন। মুখে সুপারি পুরে তার কষ মুখের কুঞ্চনে সয়ে নেয়ার ভনিতাটুকু ওর চেহারায় কেমন যেন পাওয়া যায়। তার মুখের থম ধরে থাকা মেঘ যেমন বৃষ্টি ঝরায় না, ওর তাকায়ে থাকাটা তেমন। যখন অনেক ভিড়, জ্যাম আর গরমের মধ্যে থাকবেন, তখন যে মুখটা আপনেরে প্রশান্তির কথা মনে করিয়ে দিবে, সেই হলো দিবার মুখ।

আগের চাইতে এখন শরীরে মাংস বেড়েছে। ওজন বেড়েছে। নিজের নতুন অবয়বের শরীরটার সঙ্গে এখনও মানায়ে নিতে পারে নাই সে। কিছুটা আলাথালু দশা হয়। আগে সালোয়ার আর কামিজে যেমন চোস্ত চলাফেরা করতে পারতো। এখন আর সেটা পারে না। শাড়ি কেমন পেঁচিয়ে ওঠে শরীরে। আঁচল ঠিক থাকে তো কোমরের কাছটা কেমন লুজ হয়ে যায়। পাড়ের দিকটা মাটিতে ঝুলে থাকে। সালোয়ার পড়লে আঁটসাঁট লাগে। আগের বানানো সালোয়ার আর পড়া যায় না তেমন। নতুন যে কয়টা সেলাই করতে দিয়েছে সেগুলো আনা হয় নাই এখনও। এই শরীরেই তাকে এখন অভ্যস্ত হতে হবে। নতুন শরীরের জন্য নতুন নতুন পণ্য কিনতে হবে। পুরাতনে ফিরে যাওয়া যাবে না। পুরাতন কিছুতেই আর ফিরে যাওয়া হবে না তার। এই ঘর, সংসার, পরিবার করতে করতে দিবা নতুন হয়ে উঠলো। ভাষা, হাসি কথার বিষয়বস্তু তার পাল্টে যেতে থাকলো। ভাদ্রের তাল পাকা গরম অযথা এখনও ঘাম ঝরায়। মাথার উপর ঘুরতে থাকা ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কেমন ভাবনাচিন্তাহীন শরীর হয়ে এলিয়ে পড়েছিল দিবা। কতক্ষণ সে খেয়াল নাই। আলু, লবণ আর গুঁড়া ঝাল আনতে আফজালকে বাইরে পাঠিয়েছে। সে না আসা পর্যন্ত রান্না বন্ধ। গতকাল রাতে ফয়সাল একটা কালিবাউশ মাছ এনেছিল। সেটা আলু দিয়ে রান্না করা হবে। বাসায় করলা আছে। ডাটা দিয়ে ডাল রান্না। দুপুরের জন্য কয়টা কাজলি মাছ তাও কুচি করে কাটা আলু দিয়ে রান্না হবে। আর সেই ডাঁটার ডাল। নিজে কোনোমতে খাওয়া আর রাতে ভালো কিছুর বন্দোবস্ত একটা রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। আফজাল কিম্বা দিবা এতে অভ্যস্ত। উভয়েরই কামাই নাই ফলে স্বাদ আহ্লাদের বাই কম। স্পেশাল কিছু সবসময় কামাই যে করবে তার জন্য তুলে রেখে দিতে হবে। ফলে দুপুরের খাবারটা কোনোরকমে সেরে নেয় তারা। খাওয়ার জন্য এ বেলায় তারা বেঁচে থাকে। রাতের বেলার বেঁচে থাকায় কিছু আনন্দের যোগ ঘটে বৈকি।

তখনই কলিংবেলটা বেজে উঠলো। দিবার যেমন, কলিংবেলেও তেমন অনামা, অজানা কারো ডাকে সাড়া দেয়ায় নিষেধ আছে। অন্যের ডাকে দিবার সাড়া দেয়াটা সংসারের সুখ বিনষ্ট করতে পারে যেমন তেমনি কলিংবেলের ডাক নিরাপত্তা নষ্ট করতে পারে তাদের। তবে দিবা শুরুতে বুঝতে পারে নাই, সে ভেবেছিল আফজাল এসেছে। আর দরজা খুলে ভড়কে গেল। ইদানীং অপরিচিত কাউকে দরজার সামনে দাঁড়ায়ে থাকতে দেখলে মনে হয় বুঝি ডাকাত। যদিও  লোকটাকে দেখে সেই ভয় উবে গেল দিবার সহসাই। এই যুগে কেউ এমন পোশাক পরতে পারে! কাঁধে এমন একটা ব্যাগ আর চুল আর চশমা পরতে পারে?

এসে বললো এখানে কি ছোবহান সাহেব থাকেন? একেবারে শুদ্ধ উচ্চারণ। ঠিক ঠিক বইয়ের ভাষায় লেখা। এখনকার লোকেদের খুব কমই এমন উচ্চারণ করতে পারে। দিবা যেন বলে ফেলেছিল, কোন সোবহান? সে ভেবেছিল হয়তো লোকটা ভুল করে নাই, হয়তো সোবহান নামে তাদের পরিচিত কেউ আছে এই জগত সংসারে। সেউ সুযোগ সে লোকটাকে দিলেও গলা তত পরিশীলিত ছিল না। লোকটা একটু ভড়কে গেল। হতাশার প্রথম রেখা ফুটে উঠেই মিলিয়ে গেল। কালো মোটা ফ্রেমের চশমার ওপারে নিষ্কলুশ কালো চোখের মনি, স্বচ্ছ। সেখানেও ফের জেগে উঠলো আশা। গালভরা দাড়ি। এমন ঘন দাড়ি-গোঁফ এখন রেয়ার বলতে গেলে। ছেলেপিলে সব মাকুইন্দা হয়ে উঠতেছে—মনে মনে ভাবে দিবা।

: আমি বলছিলাম আবদুছ ছোবহানের কথা। দন্তস্য হবে না ছ হবে। দুটোই ছ। আর এটাকি তোরো বাই এ নয়?
: হ্যাঁ তেরো বাই এ, বাট আপনি যারে খুঁজতেছেন তিনি এ বাসার নন। ঠিকানা ভুল করছেন।
লোকটা আবার ঘাবড়ে যায়। কপাল মোছে সাদা রুমাল দিয়ে। সাদা খদ্দরের ফতুয়া, সাদা ফোলা পায়জামা, সাদা রুমাল, ফরসা মুখ, মোটা ভ্রু, কালো চুল, পায়ে চপ্পল একটা পাটের ফুলতোলা ক্রিম রঙের ব্যাগ— এক্কেবারে ষাটের দশক এসে হাজির ভর দুপুরে। বেশ তাগড়া শরীর লোকটার। দিবার চাইতে বছর চার-পাঁচ বড় হবে। চুলগুলো তেল দেয়া এবং কোঁকড়া। একে কোথাও দেখে নাই সেটা যেমন মনে হয় না আবার কোথাও দেখেছে তাও মনে হয় না। একে যেন সে পড়েছে কোথাও। যে লোকটা এমন একটা ঠিকানা হাতে গিয়েছিল পুরানা ঢাকার কোনো নির্জন বাড়িতে। এমনই ভুল ঠিকানায়। তবে ভুল নারীর সামনে সে দাঁড়ায় নাই। এমন কোনো গল্প পড়ে থাকতে পারে দিবা। তার আবার গল্প পড়ার অভ্যাস আছে। অন্যের সঙ্গে গল্প করারও।

ধীরে ধীরে লোকটা চলে যেতে থাকে। তার যাওয়ায় এ সময়ের তাড়া নাই। একটু কম হাঁটু ভাঁজ করে, খুব ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকে। দিবার মনে হয় আরেকবার তাকাবে সে। দিবার চোখ বরাবর। না তাকালো না। তবু তার ভঙ্গিতে চরম হতাশা। হয়তো ক্ষুধাও পেয়েছে লোকটার। এমন গরমে আবারও হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে হবে। আসল ঠিকানার কি আদৌ পাবে লোকটা?

কেন যেন তার কথাই ভাবতে থাকে দিবা। ফ্যানের ঘূর্নিতালে দুপুরের ভাত ঘুমে এলিয়ে দেয়া শরীরটা কেয়ারলেস হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। ঘরে দুপুর বোঝা যায় না তেমন। জানলা খুললে বাইরের কিছুটা দেখা যায়। কলোনির মাঠ, ওপারের দালান, তার ফাঁকে চিকন আকাশটা। শরতের আকাশ দেখতে হয় খোলা জায়গায় গিয়ে, মাঠে শুয়ে। দৌড়ে দৌড়ে সাদা আর নীলের আকাশটা দেখতে হয়, মনে হয় বুঝি ওখানে গেলে পাওয়া যাবে দিগন্ত। তারপর এই যে খোলা আকাশের নিচে আজকের আসা লোকটার মতো পুরুষদের সঙ্গে যে আড্ডা দিত দিবা, তাদের চোখও এমন তাজা থাকতো। তাদের মধ্যে ইলিয়াস বসে থাকতো দিবার জন্য, কবিতা লিখতো লাকটা। দিবার চাইতে বয়সে বড়, পাড়ার ছেলে। কলেজে ডিগ্রি পড়তো। দিবাদের ভবনে আসতো দুপুর করে। হাতে ডায়রি, তাতে কবিতা লেখা, কাঁধে এমন চটের ব্যাগ সেও তো বোধহয় এমন ফতুয়া পড়তো?

বা সোমেন। তার কথাও কেন যেন মনে পড়ছে। ছেলেটার কানের লতিতে একটা তিল ছিল। সামনের দাঁতগুলো বাঁকানো। হোন্ডা কিনেছিল যেদিন সেদিন দিবাকে তাতে চড়িয়েছিল। পাড়ার বাইরের হাইওয়ের শিরীষ গাছের তলায় দিবাকে যে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিল। দিবা চমকে ওঠায় ছেলেটা পরে ভড়কে যায়। এরপর সে কেমন লাজুক লাজুক তাকাতো। সোমেনের সঙ্গে আর তেমন খাতির হয় নাই দিবার। ওর বোধহয় মাথার চুল কোঁকড়া ছিল।

নইলে আজহার। যে চাঁদা চাইতে আসতো দিবার কাছ থেকে। বলতো তাদের দলে যোগ দেয়ার কথা। বলতো এই যে দ্যাখ নারীরা কেমন অবমাননার মধ্যে থাকে। আজহার বোধহয় এখন এনজিওতে কাজ করে। দিবার সঙ্গে সেদিন নিউমার্কেটে দেখা। বয়স হয়েছে, মুটিয়েছে. চাঁদা চাওয়াটাও বাতিল হয়েছে। সে এই লোকটার মতো চপ্পল পরে ঘুরতো। দিবার মনে পড়ে যায়।

একে একে কত কথা মনে পড়তে শুরু করে তার! চুলের বেদনা ভুলে যায়। নইলে এই চুল নিয়ে সে আবার ভাবতো। কী শ্যাম্পু দিবে, কী খাবে। সারাক্ষণ এসব নিয়েই থাকতে হয় দিবাকে এখন। জীবনটা এমন কেনাকাটার বাইরে নিয়ে আসলো লোকটা। হায় ভাদ্রের দুপুর। শরীরে কেমন ঘাম ঝরিয়ে যায়। কলেজের দিনগুলোয় চিটচিটে ঘাম জমা হতো বগলে, উরুর ভাঁজে, কপালে, গালে। বারে বারে মুছতে হতো। তাও ঘরে ফেরার, ফ্যানের নিচে বসার ইচ্ছাটা হতো না। ছিটা ছটা রোদের তলে বন্ধুরা মিলে তাও বসে থাকতো। ঝিরি ঝিরি একটা বাতাস আসলে গা জুড়িয়ে যেত। দুপুর গড়াতে শুরু করলে বাসায় ফেরা হতো। আর ঘামানোর দিন। কিছুতেই ঘাম সহ্য হয় না। গন্ধ জমতে পারে না শরীরে। এটা সেটা কত কী ইয়ুজ করতে করতে নিজে কেমন মুটিয়ে যাচ্ছে দিবা আর বদলাচ্ছে খাসলত।

এসবের সঙ্গেই সে তাল মিলিয়ে চলছে। শরীরের সঙ্গে আঁটিয়ে উঠছে নিজেকে। এই শরীর তার ঠিকানা হয়ে উঠছে। তার অমন আবদুছ ছোবহানকে খোঁজা লাগে না। যার দুইটা ছ। স আর ছ-য়ের তফাতের দরকার হয় না। তার ঠিক ঠিকানা বের করার দরকার হয় না। চেনে না জানে না এমন কারো বাসায় গিয়ে সে কলিংবেল বাজায় না। এই রেলওয়ে কলোনির তেরো বাই এ-কে সে আপন ঠিকানা বানিয়ে তাতে বাসা বাঁধছে। এই ঠিকানাকে নিজের করে তোলার কত চেষ্টা তদবির, মানিয়ে চলা তার। আর লোকটা এখনো ঠিকানাটাই খুঁজে ফিরছে। এরপরের ঠিকানা যেটা হবে সেটা আরো জাঁকালো হবে, সেটা আরো নিজের হবে। যত নিজের করে ওঠানো যায় ঠিকানাকে। এই তো সারাজীবনে শিখেছে দিবা। ঠিকানা খুঁজে ফেরার মতো ভুল দুপুর তার জীবনে সে কখনোই আসতে দেয় নাই। দেবেও না তো।   

আর লোকটা? কি বোকা সে, আর কেমন ব্যাকডেটেড।



বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।