ঢাকা: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ফরাসি সাহিত্যিক পাত্রিক মোদিয়ানো। স্মৃতি-বিস্মৃতি, আত্ম-অনুসন্ধান ও অপরাধবোধের বুননি পাত্রিক মোদিয়ানোর সাহিত্যের উপজীব্য।
বৃহস্পতিবার সুইডেন সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা) সাংবাদিকদের সামনে এ বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে পাত্রিক মোদিয়ানোর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিয়ানোর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১৯৪৫ সালের ৩০ জুলাই মোদিয়ানো প্যারিসের শহরতলী বৌলোনে-বিয়ানকুর-এ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ব্যবসায়ী এবং মা ছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাসের জন্য তিনি প্যারিসের পাঠকমহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
জন স্টাইনবেক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ফকনার, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, উইন্সটন চার্চিল, পাবলো নেরুদা ও আলব্যের কামু’র মতো সাহিত্যিকরা বিভিন্ন সময়ে বিশ্বসাহিত্যের এই সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
পাত্রিক মোদিয়ানোর বেশকিছু সাহিত্যকর্ম ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে; সেগুলো হলো- রিং রোডস: অ্যা নোভেল (১৯৭৪), ভিয়া ত্রিস্তে (১৯৭৭), অ্যা ট্রেস অব ম্যালিস (১৯৮৮), হানিমুন (১৯৯২)।
উপন্যাস ছাড়াও মোদিয়ানো শিশু সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের কাহিনী লিখেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে কানাডিয়ান গল্পকার এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নির্বাচিত হন। মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা সহজ-সাধারণ গদ্যে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতার জন্য মুনরোকে ‘কানাডার চেখভ’ বলা হয়।
বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল প্রচলন করেন এই পুরস্কার প্রথা। ১৯০১ সাল থেকে অনন্য সাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।
বিষয়গুলো হলো: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৪