ঢাকা, রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

স্বপ্ন, নারী ও সংগ্রামের রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ | ফজলুল হক সৈকত

শ্রদ্ধাঞ্জলি / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৪
স্বপ্ন, নারী ও সংগ্রামের রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ | ফজলুল হক সৈকত রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ - ২১ জুন ১৯৯১)

কবিতার সঙ্গে রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা বোধকরি স্পষ্ট এবং স্বীকৃত। দেশ-কালের সংকটে কবিরা সর্বদাই সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকেন।

এদেশে রাজনৈতিক সংকট মানবতাকে বিপর্যস্ত করেছে বারবার। আর তাই সচেতন কবিকেও থাকতে হয়েছে সদা সতর্ক। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে এই দাবি অধিকতর তীব্র হওয়ায় কবিদের ওপর যে-গুরুভার অর্পিত হয়েছে তার বোঝা কাঁধে নিতে যে কজন কবি সামনের কাতারে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (জন্ম: ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬; মৃত্যু: ২১ জুন ১৯৯১) তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সত্তরের কবিদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রুদ্রের কবিতাই সবচে বেশি উচ্চারিত হয় কবিতামঞ্চে, পাঠকের কণ্ঠে। রুদ্রর বিশেষত্ব এখানে যে, তিনি খুব দ্রুত জনতার কবি হয়ে উঠতে পেরেছেন।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে তাঁর কবিতা ছিল সক্রিয়। কবি একাত্তরের স্বাধীনতার স্বাদ ও মর্যাদাকে বিপর্যস্ত হতে দেখেছেন। সেই পুরনো শকুনেরা পুনরায় জাতিসত্তাকে খামছে ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেছে— তা তিনি অনুভব করেন প্রাতিস্বিক-বোধে। তাই রুদ্র লেখেন— ‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই। আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য দেখি/ ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে। ’ (বাতাসে লাশের গন্ধ)। কবির এ বোধ বাঙালি জাতিকে এক প্রবল প্রশ্নের সামনে দাঁড় করায়— বাঙালি কি তবে হারাতে বসেছে তার গৌরবের ঐতিহ্য, শক্তির দৃঢ়তা, প্রতিবাদের শক্তি?

শুধু কবিতা দিয়ে, কবিতা লিখে সামাজিক-রাষ্ট্রিক-সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা সম্পন্ন করা যায় না। প্রয়োজন ব্যক্তিক সক্রিয়তাও। রুদ্র তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন। আর তাই পঁচাত্তর-পরবর্তী এদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনে তাকে তৎপর থাকতে দেখি। মিছিলে, কবিতার মঞ্চে রুদ্রের যাতায়াত ছিল সুদৃঢ়। কবিতা এবং রাজনৈতিক-ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সত্তা হিসেবে বিবেচনা করেও বলা যায, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ এ দুয়ের এক চমৎকার সমন্বয়; সহাবস্থান তৈরির প্রত্যয়ে স্থিতধী কবিসত্তা।

আবৃত্তি-যোগ্যতা রুদ্রের কবিতার অনন্য বৈশিষ্ট্য। কবিতা লেখেন অনেকেই, কবিতা লেখাও হয় প্রচুর। কিন্তু সব কবিতাই আবৃত্তি উপযোগী হয়ে ওঠে না। কবির চেতনসত্তা এবং পরিবেশনশৈলী এক্ষেত্রে অন্যতম অনুষঙ্গ। রুদ্রের কবিতায় সে স্বাদ আমরা পাই। কয়েকটি পাঠ দেখে নেওয়া যেত পারে:

রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে,
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা
স্বাধীনতা সে আমার স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন
স্বাধীনতা সে আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল
ধর্ষিতা বোনের শাড়ি এ আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
(বাতাসে লাশের গন্ধ)

আজীবন বেশ্যাবৃত্তি করে
যে মাতা হারিয়েছে সর্বস্ব
যে মাতার সতীত্ব গ্যাছে
ইংরেজি ট্রাউজারের পকেটে
আমি তারই জারজ
আমার কী দেখতে চাও
আমার কী জানতে চাও।
(আমি ধর্ষিতা মায়ের জারজ)

আমিই ব্যতিক্রম এখানে একমাত্র
কোথাও ভ্রুক্ষেপ নেই বিন্দু, ক্ষ্যাপা চৈত্রের
উন্মাদ ঘোড়ার মতো, সখেদে কখনো
উড়াই সোনালি কেশর প্রচুর বাতাসে।
রাত্রির গাঢ় বুকে পায় পায় হেঁটে যাই
স্পর্শ করি গোলাপের নিভাঁজ গোপন অংগ,
অথবা নিশ্চিন্তে চুমো খাই সোঁদোলে ঘাসে।
(আমিই ব্যাতিক্রম ও একমাত্র)

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ মানুষের মধ্যে শামুক-প্রবণতার প্রাবল্য দেখতে পেয়েছেন। অগণিত মানুষ পৃথিবীর ও জীবনের জাটিল্যে কেবলই যেন নিজেকে গুটিয়ে নিতে চায়। বাধা দেখলেই ফিরে আসে সন্তর্পণে। এগোবার সাহস হারায় ক্রমাগত। যেন নিজেকে গুটিয়ে নিতে নিতে নিজেরই অস্তিত্ব বিলীন করতে সতর্ক-প্রয়াসী মানুষ। কবি এ অবস্থার—মানুষের এ দুর্গতির অবসান প্রত্যাশা করেন। ঝঞ্ঝা এড়িয়ে, বার্ধক্যের মেকি খোলস থেকে মুক্ত করে মানুষকে তিনি সকল ‘পেজগি’ থেকে মুক্ত করে নিয়ে যেতে চান সেখানে, যেখানে “অপেক্ষা কোরে আছে এক নিমগ্ন বাউল স্নিগ্ধ একতারা হাতে/ সেইখানে পাখিদের জন্যে কোনো খাঁচা কেউ ভালোবেসে নির্মাণ করেনি/ সেখানে নদীর নাম ভালোবাসা, তরুদের খোলামেলা ডাক নাম প্রেম/ বিশ্বাস বন্ধুর মতো কাঁধে হাত রেখে হাঁটে, / সেইখানে ফোটে শত ফুল। ” কবি এখানে ঐতিহ্যসচেতন, স্বকীয়তা-সচেতন মানবতাবাদী এক আলোকদিশারির ভূমিকায় দাঁড়িয়ে যেন স্থির। অন্যকে পথ ছেড়ে দিতে বলে, নিজের পথ নির্মাণের পরিকল্পনায় তিনি এক প্রত্যয়ী শিল্পী হয়ে ওঠেন এভাবেই।

মানুষের জীবনে কিছু পরিকল্পনা থাকে, থাকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। হৃদয়ে লালিত হয় ইচ্ছা নামক আচিন পাখি। কিন্তু জগতের নিয়ম মানুষকে প্রতারিত করে, বঞ্চিত করে। আর ইচ্ছেগুলো মরে যেতে থাকে, মরে যেতে হয়; থাকে না করার কিছুই। রুদ্র লিখেছেন:
ব্যর্থ প্রেমের মতো কিছু কিছু ইচ্ছা
স্মৃতির অসুখে ভোগে দীর্ঘদিন,
কিছু কিছু ইচ্ছা স্বইচ্ছায়ই হত্যা করি
ইচ্ছার হননে বিবর্ণ হই বার বার
তবু হত্যা করতেই হয়।
(প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছা)

রুদ্র ব্যক্তিত্ব-সচেতন কবি। রাজনৈতিক, সামাজিক, কিংবা ধর্মীয় কাঠামোয় তিনি আপন বিবর থেকে নিজেকে সমর্পণ করেননি কখনো। জীবনে সংগ্রাম আসে প্রতিনিয়ত, আসে প্রতিবন্ধকতা ভাঙার সুযোগ ও সময়— রুদ্র তা জানতেন। এবং সাবধানে প্রতিকূলতা অতিক্রমের সাহস ও সাধ্যও ছিল তাঁর। পরাভব নামক জন্তুটি তাঁর ঘোরতর শত্রু। আত্মবিশ্বাস তাঁর প্রবল শক্তি। “যেখানে আকাশ অসীম, বলাকারা নিশ্চুপ” সেই শূন্যতার প্রাসাদে তিনি গড়েন কবিতার শরীর, শিল্পের দেহ। শামুক-স্বভাব মানুষের ভীড় থেকে তিনি উঠে আসেন সাহসী, প্রত্যয়ী কবি-পুরুষ হয়ে:
স্বাধীন অস্তিত্ব আমার বিলুপ্ত নয়।
আপন ব্যক্তিত্বকে চাই না দিতে বিসর্জন
ধর্ম কিংবা সমাজের সংস্কারে।
...   ...   ...
আমার আপন সৃষ্টিতে আমি
চির দীপ্তিময়; কারন
আমার সৃষ্টিকর্তা আমি।
(আমি স্রষ্টা)

রুদ্রের কবিতায় যে প্রতিবাদী সুর— তা তাঁর চেতনার গভীর থেকে উত্থিত। সংস্কারমগ্নতা এবং ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তিনি সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার, উচ্চকণ্ঠ। ‘বিপুল বিষ বিদ্রোহ’ আন্দোলিত করে তাঁর সত্তাকে। কড়া নাড়ে মগজের আধাখোলা দরোজায়। রক্তে রক্তে দোলে ‘যুগান্তকারী ইতিহাসের সুউচ্চ চূড়ায়’ ওঠার অনন্ত বাসনা। আর এ সব কিছুর ভেতরও রুদ্রর ছিল প্রেমনিমগ্ন আকুল ভিখারি বাউল মন। মাঝে মাঝে তিনি চাইতেন নির্বাসন। অসংখ্য জীবিত ফ্রাসট্রেশন তাকে অতল অধঃপতনের দিকে যাবার হাতছানি দিত। চারপাশের নোংরামি, অসভ্যতা আর ধূম্রজালে ঘেরা নিশ্চিত গন্তব্যের মুখ থেকে তিনি দূরে থাকতে চাইতেন মাঝে মাঝে। একটু প্রেম, একটু ভালোবাসা যদি দেয় অসীম তৃষ্ণা, যন্ত্রণা নিবারনের সঠিক সূত্র— তাতে মন্দ কী! রুদ্র লেখেন:
এসো না হয় কিছুক্ষন বসি—
শিয়রের খোলা জানালায়,
কিছুক্ষন ভুলে থাকি পৃথিবীর
মরা আকাশ; বাতাসের প্রেম।
(কিছুক্ষন ভুলে থাকি)

রুদ্র কবিতা লিখেছেন অন্তর্তাগিত থেকে, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তাই কবিতার নির্মিতিতে তিনি সাবধানী কারিগর। লিখেছেন প্রচুর ঠিকই। অনেক কবিতা হয়তো সফল, হয়তো অনেকই সফলতা পাবে না শিল্প হিসেবে। কিন্তু কবিতাকে নির্মাণ করতে তিনি চেষ্টা করেছেন আনত সততায়। কবিতার ধ্বনি তাঁর কানে বাজে। হৃদয়ে বাজে। সেই সুর শুনতে শুনতে তিনি অনুভব করেছেন বাংলা ভাষার ধ্বনিগত জটিলতা। উপলব্ধি করেছেন শব্দ গঠনে বর্ণ-প্রয়োগের হিসেব-নিকেশের দরকারিত্ব। আর দেখেছেন দীর্ঘদিনের চর্চিত সংকট। দন্ত ‘ন’ ও মূর্ধণ্য ‘ণ’-এর ধ্বনিগত পার্থক্য মেলাতে পারেননি। তাই এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ-পার্থক্য রাখেননি কবিতায়। তাঁর কবিতায় আমরা সে কারণেই ‘ণ’ (মূর্ধণ্য ‘ণ’)-এর ব্যবহার দেখি না।

রুদ্র নিজেকে আত্মমগ্নতায় সমর্পণ করেছিলেন ক্রমাগত। বিশেষত সাংসারিক-জীবন অবসানের পর তাঁর মধ্যে ভিন্ন চেতনার আবর্ত-নাড়া সৃষ্টি করতে থাকে। তিনি অবসাদে আর হতাশায় পুড়ে খাক হয়ে পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শুরু করেন। তাঁর কবিতায় মদ, গাঁজা, বেশ্যা প্রসঙ্গের অনুরণন শোনা যায়—এটা খুব প্রচলিত কথা। রুদ্র মূলত জীবন-জাটিল্য থেকে, পারিপার্শ্বিক জাঢ্য থেকে আর দাম্পত্য-পাখির উড়াল দেয়ার দৃশ্য থেকে এক গভীর আড়মোড়াযুক্ত অবসাদে ঘুরপাক খেতে থাকেন:
গাঁজা খাওয়ার অভ্যাস বোধহয় করেন নি
মাইরি, ওটা বড় চমৎকার জিনিস।
হে ঈশ্বর একবার আসুন আপনারি নিয়ন্ত্রিত
সুরম্য সুখের অসুখের এই আধুনিক ব্রোথেলে
সঙ্গে কিছু স্বর্গীয় বেশ্যা আনাও আবশ্যক।
(ঈশ্বরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার)

পাত্র হাতে তুমি এক পাক নেচে যেতে
পারো, কেশ থেকে নখাগ্র উলঙ্গ করলেও
আমি এ জাতীয় দুষ্প্রাপ্য মদ পানে
হবোনা দ্বিধাগ্রস্ত যেহেতু মদ মানে
সাকী নয় প্রকৃত মদ অন্য স্বাদের।
(এক পেগ নেশাগ্রস্ত মদ)

মৃত্যু মানুষের অনিবার্য পরিণতি। এ অমোঘতা রেহাই দেয় না কাউকেই। দেয়নি রুদ্রকেও। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে প্রয়াত হন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। জীবনের প্রবাহে যাপিত দিন-রাত্রিতে মৃত্যু ছিল তাঁর নিত্য সহচর। মৃত্যুকে তিনি অনুভব করেছেন মৃত্যুর পূর্বেই। তিনি জানতেন জন্ম মানে মৃত্যু-প্রস্তুতির প্রথম ধাপ অতিক্রমের পাঠ গ্রহণ। তাই তিনি ‘দ্বিখন্ডিত বার্থডে কেকের’ ভেতর মৃত্যুর ছায়া দেখতে পেয়েছেন। আর জন্মদিনে ‘বন্ধুদের করতালির ভেতরেও’ শুনতে পেয়েছেন ‘মৃত্যুর অনাহুত শব্দ’। রুদ্রর অনুভব:
জন্মদিনে আমি মৃত্যুকে ভয় পাই
জীবনের প্রচন্ড করতালির ভেতর
শুনি মৃত্যুর নিঃশব্দ চারন।
(বার্থডে কেকের ভেতর মৃত্যুর পদধ্বনি)

পৃথিবী, নারী, স্বপ্ন, সংগ্রাম আর শিল্পের প্রতি নিমগ্ন কবিতা-কারিগর রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ; বাংলাদেশের কবিতার আপাদমাথা জুড়ে তাঁর সরব উপস্থিতি। প্রেম ও সুন্দরের প্রতি তাঁর আকণ্ঠ অনুরাগ। দ্রোহ ও সংগ্রামের প্রতি তার অনড় বিশ্বাস আর শিল্পিত চর্চা তাঁর কবিতাকে দিয়েছে অনন্য মহিমা; দিয়েছে সাতন্ত্র্য। ইরানের কবি ফখরুদ্দীন ইরাকির মতো রুদ্রও বোধকরি অনুভবজ্ঞানে পরিশুদ্ধ হওয়ার প্রত্যয় বুকে নিয়ে, মনে নিয়ে শিল্পের পরিচর্যায় অনবরত লিখে গেছেন কবিতার দিনলিপি আর রাতপঞ্জি।



বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।