___________________________________
চাই...স্বপ্ন | লেওন ফেলিপে
___________________________________
আমাকে বেশি গল্প শুনিও না,
অনেক দূর থেকে আসছি আমি
সবকটা গল্পও জানি।
আমাকে বেশি গল্প শুনিও না।
আমাকে বলো
আর এইসব স্বপ্ন তোমরা আমাকে মনে পড়িয়ে দাও।
তোমরা ভাঙো,
আমার আয়নাগুলো ভেঙে ফেলো তোমরা।
জলরাশি তছনছ করে দাও,
গিঁটগুলো,
আংটিগুলো,
বৃত্তগুলো,
জালগুলো,
ফাঁদগুলো,
আর সব সমান্তরাল পায়েরা।
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
আমি চাই না আমাকে ঐসব গল্প দিয়ে ওরা ঘুম পাড়িয়ে দিক,
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
আমি চাই না আমার মুখচোখে গল্পের স্ট্যাম্প মেরে বন্ধ করে দিক ওরা।
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
আমি চাই না ওরা আমায় গল্প দিয়ে কবরচাপা দিক।
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
যেসব আমি চাই না,
আমি চাই না গল্পগুলো আমাকে স্বপ্নের পেরেকে বিদ্ধ করে দেয়
আমি চাই না নিজেকে জলের ম্পধ্যে দেখতে,
আমি মাটিতেও নিজেকে কখনোই দেখতে চাই না,
আমি নিজেকে ওর জটায়, বেঁধে রাখা দাড়ির একটি চুলের মতো দেখতে চাই না।
নিজেকে ঝড়ের ভেতর দেখতে চাই,
নিজেকে ঝড়ের ভেতর দেখতে চাই,
নিজেকে ঝড়ের ভেতর দেখতে চাই,
চাই...চাই!...স্বপ্ন...স্বপ্নও!
আমি একটা কৃমি মাত্র যে স্বপ্নটপ্নও দেখে... আর স্বপ্ন দেখি
একদিন আমি আমাকে ঝড়ের বুকে উড়তে দেখবো।
লেওন ফেলিপে (León Felipe)
এই ফ্যাসিস্ট বিরোধী কবি স্পেনের জেনারেশন ২৭-এর একজন উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। গত শতকে ১৮৮৪ সালে তাঁর জন্ম হয় স্পেনে এবং দেহাবসান ১৯৬৮ সালে। প্রাতঃস্মরণীয় চে গেভারা যখন মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী সি আই এ এবং বলিভিয়ান আর্মি’র হাতে গ্রেফতার হন, তখন তাঁর ডায়রিতে এনার ৭ খানি কবিতা পাওয়া গিয়েছিল। ফেলিপের কবিতা চরিত্র হলো এটির ছন্দহীনতা, বাইবেলীয় ধারায় রচনা করা এবং পুনরুক্তি। এটি কিছুটা বিখ্যাত আমেরিকান কবি ওয়াল্ট হুইট্ ম্যানের সঙ্গে মিলে যায়। এটিতে হিব্রু’র ছায়াও দেখা যায়। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় রিপাবলিকানদের তরফে লড়াই করেন। জেল বন্দী ২ বছর কাটান। তারপর অন্যান্য বহু সাহিত্যিকদের মতনই মেক্সিকোয় পালিয়ে যান। আমৃত্যু সেখানেই থেকেছেন।
___________________________________
একটা সরল আর ভালো কবিতা চাই | মিচেলে নাখলিস
___________________________________
একটা সরল আর ভালো কবিতা চাই
রুটির মতো
উষ্ণ আর সুগন্ধী
মানুষের গন্ধমাখা,
ময়দায় তৈরি,
হাতে হাতে উন্মথন করা
আর আকাশের উনুনে গনগন করা এক দাউ দাউ বহ্নি।
আমি তোকে বলতে চাই— আয়,
আমার রুটি তোর
তুই দেখতে পাস না কী ভাবে হাতগুলো দলছে?
দেখতে পাস না ও যে সেই একই প্রেম রেঁধেছিল
আর তোর আমার হাত বেকারিতে পাশাপাশি ছিল?
দেখতে পাস না আমাদের রোপিত প্রথম দানা থেকে
আমরা রুটি চটকাতে থাকি?
আয়—
আমরা ভাগ করে নিই সেই রুটি আর প্রত্যাশা
যদিও যন্ত্রণা কিন্তু দীর্ঘ হতে পারে
আর উদবেগ অনন্ত।
মিচেলে নাখলিস (Michèle Najlis)
কবি, ভাষাতত্ত্ববিদ, কথক, ধর্মতত্ত্ববিদ মিচেলে নাখলিস ১৯৪৬ সালে নিকারাগুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসূত্রে ইহুদি এই মহিলা কবি ফরাসি বাবা মায়ের সন্তান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক হেনরি নাখলিসের বংশজাত তিনি। ১৯৬০ সালে নিকারাগুয়াতে ছাত্র বিপ্লবের জোয়ার আসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকে এটিকে তাঁর সমর্থন জানান। সেই সময়েই মহিলা কবিদের একটি দল সে দেশের সাহিত্যে একটি বৈপ্লবিক ধারা আনেন। তিনি তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। এতাবৎ তিনি বহু কবিতা, গল্প, নীতিবাক্য সংকলন প্রকাশ করেছেন। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত অস্ত্রধারী ঝড় বা এল বিয়েন্তো আর্মাদো, কিংবা ২০০৫ সালে উচ্চনাদী একাকীত্ব বা লা সোলেদাদ সোনোরা ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত বইগুলির অন্যতম।
___________________________________
অসময়ের ভালোবাসা | খুয়ানা ইনেস দে লা ক্রুস
___________________________________
আমার দুটো সন্দেহ আছে যার মধ্যে
বেছে নিতে হবে, জানি না কোনটা বেছে নিতে পারি,
তবে তুমি হয়তো ভাবছো যে আমি বাছতেই চাই না
আর আমি ভাবতে চাই যে আমার ইচ্ছে আছে বাছার।
সেগুলোর সাহায্যে যে কোনও একটা দিকে
আমি যেতে চাই, এবং কাউকে সুখী রেখে দেওয়া
আর অন্য কাউকে অসুখী রেখে দেওয়া তো
বাধ্যতামূলক
তোমরা হয়তো আমাকে পছন্দ করতে যদি সে আমায় আদেশ করতো
অধীনতা, এটা অন্যায়
যদি তোমাদের জন্য ‘তুমি’-র স্বাদ পাওয়া হয়
আমারও তো তাহলে থাকতে হবে কিছু অন্তরে।
আমি বিচার করি না তিনি কে হবেন
যিনি এমন বিচার অনুমোদন করবেন
যেহেতু তা আমার যথাযথ বিচার করবেও না
এই যেমন প্রত্যেককে ‘তুমি’ বলে কথা বলা।
কিন্তু আবার অন্য দিক দিয়ে ভাবি
যে এটা খুব রূঢ় হয়
আমি যে তোমাদের কাছে ঋণী ভালোবাসাতেই
ঘেন্নায় তার দাম দেবো
তবুও এটি যুক্তিহীন ভাবাবেগ দেখায়
এই কাঠিন্য যেহেতু আগেই অনুমিত
আমায় যে ভালোবাসে তাকে যদি অপছন্দ করি
আমায় যে অপছন্দ করবে তাকে তাহলে কী করবো আমি?
জানি না কিভাবে ব্যাপারটা তোমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবো
যাইহোক নিজের সিদ্ধান্তটা নিজেই খুঁজে নিয়ে নিই যে
এই তোমাদের ভালোবাসাটা আমার অখাদ্য লাগে
তোমাদের ভালো না বাসাটাও আমি ভালোবাসি না যে
কিন্তু মাঝামাঝি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে
এইসব সন্দেহগুলো নিয়ে আমি ভান করি,
ইয়ে ভালো না বাসতে বাসতে, তোমাদের করে ফেলি আঘাত,
আবার তোমাদের ভালোবাসতে থাকাটাও আমার না-পসন্দ।
এই রায় টাই হয়ে থাকবে।
কারণ তোমরা অভিযোগও করতে পারবে না
কেননা এতে যে ঘেন্না আর ভালোবাসার মধ্যে
তফাতটাও ঘুচে যায়।
এইভাবে কাঠিন্যের মধ্যে
আরও ভালোভাবে ভালোবাসায় পৌঁছনো,
তোমরা অন্যজনার মুখোমুখি হও না
আর আমিও ভালোবাসার খোঁজ পাই না।
এইসব আলোচনা উপদেশ দিতে থাকে,
তবে এই সুবিধাতে
আমি চটেও থাকি না
তোমরাও অভিযোগ নিয়ে আলাদা হয়ে যাও না।
আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাই ও যে পছন্দের
প্রস্তাব দিই তোমাদের সেই পছন্দ করাটাও
আমি ঘেন্না করি না
এইকথা জেনে যে আমি ভালোও বাসি না।
শুধু এই উপায়টাই যথেষ্ট আমাদের এই
মানিয়ে নেওয়া, তা যদি তোমাদের সুখী করে,
প্রেমিকদের আমি এড়িয়ে যাই তা সত্ত্বেও
তোমরা আমাকে মনোযোগী করে তোলো
আর তাই নিজেই বুঝে রয়ে যাই
এইবার দুটোর মধ্যেই থাকা ভালো;
তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা নিয়ে; আর
আমার সঙ্গে ভালো না বাসাটা নিয়েও।
যদিও এই পরিপূর্ণ স্বাদে একথা কেউ
তলিয়ে ভাবতে আসে না এগিয়ে, এটাই দেখা যায়
যে এই খেলা শুধু সরে যাবার কাজের
মতোই একই থেকে যায়।
খুয়ানা ইনেস দে লা ক্রুস (SOR JUAN INÉS DE LA CRUZ)
ভগিনী খুয়ানা ইনেস দে লা ক্রুস ১৬৫১ সালে মেক্সিকোর সান মিগেল নেপানিভাতে জন্মগ্রহণ করেন। দোন কিখোতে রচয়িতা সেরভান্তেসের মতোই তাঁকেও স্প্যানিশ সাহিত্যের উজ্জ্বল যুগ ‘স্বর্ণ যুগের’ সাহিত্যিক বলা হয়। সেই সময় মেক্সিকো স্পেনের কলোনি ছিল তাই তাঁকে আধুনিক মেক্সিকোর স্প্যানিশ সাহিত্যেরও পথিকৃৎ মানা হয়। তাঁর সৃষ্টি বারোকো রীতি অনুসারী ছিল। নব্য হিস্পানো সাহিত্যে খুয়ান আলারকোন ও কার্লোস গঙ্গোরা’র মতনই তিনি বিশেষ স্থানে আছেন। বারোকো রীতি অনুসারে তাঁর সৃষ্টিতে নব্য স্পেনের সংস্কৃতি ধরা পড়েছে। গঙ্গোরা’র লাতিনীয় ও অত্যন্ত রূপক ধর্মী লিখন এবং কেভেদো ও কালদেরোনের সূক্ষ্ম হিউমার ও সাংকেতিক ধারার মেল্টিং পট তাঁর সাহিত্য। “আমোর এস মাস লাবেরিন্তো” বা “ভালোবাসা একটি মস্ত ধাঁধা”, “লস এমপেন্যিওস দে উনা কাসা” বা “একটি বাড়ির অঙ্গীকারগুলি” ইত্যাদি নাটক তাঁর বিখ্যাত সৃষ্টি। ১৬৯৫ সালে মহামারীতে তাঁর প্রয়াণ হয়।
___________________________________
পথচারী | খাইমে সাবিনেস
___________________________________
লোকে বলে, এই গুজব রটেছে, সেলুনগুলোয় লোকে একথাটা আরও পোক্ত করে বলছে, পার্টিতে, কেউ কেউ বা বেশ কয়েকজনই তাবড় লিখিয়ে পড়িয়ে, বলছে যে খাইমে সাবিনেস একজন মস্ত কবি। অথবা একটু কম ভালো কবি। অথবা একজন দামী ভদ্রসভ্য কবি, কিংবা সাধারণ কথায়, অথবা আসলেই একজন কবি।
খাইমের কাছে একটা খবর পৌঁছল আর সেটা তাকে খুশিও করে দিল। কি অসাধারণ! আমি একজন কবি! একজন গ্রাম্ভারী কবি! আমি একজন ম-হা-ন কবি!
প্রতীত হয়ে, সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো, নতুবা বাড়িতে এসে পৌঁছলো, হুম নিশ্চিত হয়ে। কিন্তু রাস্তায় কেউ নেই, আর বাড়িতে তো আরও কমজন: কেউ পাত্তা দিল না যে সে একজন কবি। কেন যে কবিদের মাথার ওপর কোনও তারা জ্বলজ্বল করে না, কিংবা চোখে পড়ার মতো কোনো জাঁক, অথবা দুইকান দিয়ে একটা রশ্মি বিচ্ছুরিত হয় না?
হে ঠাকুর! খাইমে বললো, আমাকে বাবা কিংবা অন্তত পক্ষে স্বামী হতেই হবে: অন্য যে কোনো লোকের মতো কোনো কারখানায় কাজ করতে হবে। অথবা যে কোনও পথচারীর মতো হাঁটতে হবে।
ওয়াও! খাইমে বললো— আমি কোনও কবি নই! আমি একজন পথচারী।
আর এইবার একটা মিষ্টি শান্ত হাসি নিয়ে নিজেকে বিছানায় ছুঁড়ে দিল আরামসে।
খাইমে সাবিনেস (Jaime Sabines)
সমসাময়িক মেক্সিকান সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র খাইমে সাবিনেস ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। একটি সাহিত্য গোষ্ঠীর হয়ে সাহিত্যকে বাস্তবে আনার কাজ করেন তিনি। তার সাহিত্যে রাফায়েল আলবেরতি, অলডাস হাক্সলি, পাবলো নেরুদা প্রমুখের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত এই কবির কবিতা ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অন্তরদরশন’ বা “ইনত্রোস্পেক্সিওন”। উল্লেখযোগ্য বইগুলির অন্যতম ‘সময়’ বা ‘ওরারিও’, ‘মন্দসময়’ বা ‘মাল তিয়েম্পো’। ১৯৯৯ সালে তার প্রয়াণ হয়।
___________________________________
সাদামাটা ইচ্ছেরা | খিওকোন্দা বেলি
___________________________________
আজ চেয়েছিলাম তোর আঙ্গুলগুলো আমার চুলে গল্প লিখতে থাকুক
আর চাইছিলাম পিঠের ওপর চুমুদের
দুহাতে চটকানো আদর
তুই যদি অনেক সত্যি কথা বলতি
কিংবা অগাধ মিথ্যেদের
যেন আমাকে তুই দারুণ ভালোবাসিস
এত তুচ্ছ
এইসব জিনিস
এইসব পুনরুক্তিরা
আমার মুখে যেগুলো তুই আঁকিস
আর আমাকে তোর চোখের দিকে তাকিয়েই রেখে দিতিস
যেন আমার হাসির ওপর তোর পুরো জীবনটাই নির্ভর করছে
সেটা যেন ফেনার ওপর ফুড়ুৎ করে উড়তে থাকা সীগাল পাখী
এইসব ব্যাপার-স্যাপারগুলোই চাইতাম যাতে
ছায়াময় সুগন্ধী পথ বেয়ে আমার শরীরের ওপর তুই হেঁটে আসিস
যেখানে শীতের প্রথম বৃষ্টি পড়তো
তোর ওপর ধীরে ধীরে ওরকমই ঝরতে ঝরতে
আর তারপর তুমুল ঝাঁপানো পর্যন্ত।
একটা বিরাট নরম ঢেউয়ের মতো আমি এইসব ব্যাপারগুলো চাই
নিজেকে লণ্ডভণ্ড করতে করতে
চারকোলের এক সোরগোল
মুখের ভেতর মাছের এক ঝাঁক
ওইরকম কিছু
ভঙ্গুর আর নগ্ন
সকালের প্রথম আলোয় একটা ফুল মুক্তি পাবার মুহূর্তে
কিংবা সাধারণ একটা বীজ, একটা গাছ
একটু তৃণগুচ্ছ
একটা আদর যা আমায় ভুলিয়ে দিতে পারে
সময়ের পদধ্বনি।
খিওকোন্দা বেলি (Gioconda Belli)
কবি ঔপন্যাসিক খিওকোন্দা বেলি ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। নিকারাগুয়ার এই কবির মা ছিলেন সে দেশের পরীক্ষণমূলক থিয়েটার দলের প্রতিষ্ঠাত্রী। ১৯৭০ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৮ সালে ‘কাসা দে লাস আমেরিকান’ পুরস্কার পান তাঁর ‘লিনেয়া দে ফুয়েগো’ বা ‘আগুনের পঙ্ক্তি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য। প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘লা মুখের ইনআবিতাদা’ বা ‘নারী অধিষ্ঠিতা’র জন্য তাকে বহু পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। বইটি এগারোটি ভাষায় অনূদিত হয়। ৮০’র দশকে নিকারাগুয়ায় একদল মহিলা কবি ‘বামপন্থী ইরোটিক কবিতা’ লিখে অত্যন্ত বিখ্যাত হন। বেলি তাঁদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৪