ভিউ ফাইন্ডারে চোখ
ভালোবাসা শব্দটিকে নিয়ে আমি লিখে যেতে পারি আয়ু সমান ইশতেহার
কতো ফর্মা হলে তুমি ছেপে দিতে পারবে হৃদযন্ত্রে।
মিথ্যে সাদা আর দোদুল্যমান নীলে যে আকাশ নত,
যে কাঁটাতার বিছানো আমাদের সততার প্রতি মাইলে
অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে উত্তরোত্তর যে অবনতি মেনে নিচ্ছে এই নির্বিকার জাতি
তার সব সীমাবদ্ধতা ভেঙে আমরা একদিন ঠিকই মাড়াবো
স্বপ্নের চেয়ে অধিক বাস্তবতার চৌকাঠ।
শুধু তুমি অসময়ে হাই তুলছো বলে এখন অভিযান বিরতি।
পাঠ্যবই দখল করে থাকা প্রবন্ধের ধারে আমাদের শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব নিজ পায়ে দাঁড়াতে চায়,
ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রেখে এতোদিন যেসব ভুল বস্তুকে ফোকাস করেছি
আজ স্বেচ্ছায় তারা চলে যেতে পারে অস্পষ্টতার দিকে।
এই সমকামী অন্ধকারে আলোর শাসন প্রতিষ্ঠায়
যতোটা বিপ্লব দরকার, আমি উসকে দিতে পারি আগ্নেয়গিরির উৎসের মতো
তুমি তাকে কতোটা মেশাতে পারবে হিমোগ্লোবিনে।
ঘুমের রেশ মুছে ফেলো, চলো বিপ্লবী হই।
লিপিবদ্ধের অপেক্ষায়
মানুষের যতো পিপাসা গড়িয়ে যায় তা কেউ যদি লিপিবদ্ধ করতো
তৃষ্ণাব্যস্ত রাতে কাঁটা ভেঙে খসে পড়তো পদ্ম তার পাঁচটি অসীম আঙুলে।
কাঠ কাঁটার পর কাঠুরির, ঢেলা ভাঙার পর কৃষকের
দীর্ঘ তমসা ভেঙে মন পথিকের কি মানসিক তৃপ্তি!
দুর্দশাই তাদের শেষ কথা নয়, তবু আমরা শেষতক দাঁড়াতে পারিনা
বেঁকে থাকি দুর্দশার ভারে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চুমুর কি ক্লান্তিবিষ জমা হয় অন্ধকারের নখে
কোনো প্রেমিকের আশাতুর বুক খতিয়ে দেখেনি তা অন্তিম সাহসে।
কেউ লিপিবদ্ধ করে যায়নি জলরঙের কি সমার্থক
কতো নিভৃত পিপাসা প্রেস থেকে ছাপা হয়ে মিনিট কয়েক উষ্ণ থেকে
মলাটের আচ্ছাদনে মনখারাপের উপকরণ হয় অসংযতভাবে,
সেই সব খবর সাংবাদিকরা পায় না।
কতো ক্ষুধা-তৃষ্ণা সাপের মতো পেঁচিয়ে রেখেছে নিসর্গকে
আমাদের বাস অযোগ্য মৃত পটভূমিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪