ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কথাসাহিত্যিক মাহবুব-উল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৫
কথাসাহিত্যিক মাহবুব-উল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার মাহবুব-উল আলম

ঢাকা: কথাসাহিত্যিক মাহবুব-উল আলমের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (৭ আগস্ট)।

১৮৯৮ সালের পহেলা মে চট্টগ্রামের ফতেহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

পিতা মৌলভী নসিহউদ্দিনের দ্বিতীয় ছেলে মাহবুব-উল আলম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফতেয়াবাদ মিডল ইংলিশ স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। চট্টগ্রাম কলেজে পড়াকালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে তার মনোযোগ চলে যায় যুদ্ধের ময়দানে। ১৯১৭ সালে যুদ্ধ করতে চলে যান মেসোপটোমিয়ায়। ১৯১৯ সালে যুদ্ধ থেকে ফিরে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন তিনি।

প্রথম মহাযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় রচিত ‘পল্টন জীবনের স্মৃতি’ (১৯৪০), ‘বর্মার হাঙ্গামা’ (১৯৪০), আত্মজৈবনিক উপন্যাস ‘মোমেনের জবানবন্দী’ এবং ‘পঞ্চ অন্ন’ (১৯৪৬), উপন্যাসিকা ‘মফিজন’, হাস্য-রসাত্মক গল্প সংকলন ‘গোঁফ সন্দেশ’সহ (১৯৫৩) ৩৪টিরও বেশি বইয়ের লেখক মাহবুব-উল আলম।

তার ‘মোমেনের জবানবন্দী’ বইটি ১৯৪৬ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অন্নদাশঙ্কর রায়ের স্ত্রী শ্রীমতি লীলা রায়। সে সময়ে এ বইটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে তিনি পুরানা আমল, নবাবী আমল ও কোম্পানী আমল নামে বই লিখেছেন। এছাড়া সর্বাধিক তথ্যসমৃদ্ধ চার খণ্ডে রচিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত ‘রক্ত আগুন অশ্রুজল : স্বাধীনতা’ তার উল্লেখযোগ্য বই।

সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৫৩ সালে মাহবুব-উল আলম ‘জমানা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন। এটিই চট্টগ্রামের প্রাচীনতম সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৯৫৬ সালে এটি ‘দৈনিক জমানা’য় রূপান্তরিত হয়।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৭৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।  

১৯৮১ সালের ৭ আগস্ট এ গুণীলেখক মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৫
আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।