ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভিয়েতনামে ভ্রমণ

বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর অগ্নিহুতি | মঈনুস সুলতান (শেষ কিস্তি)

ভ্রমণ / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর অগ্নিহুতি | মঈনুস সুলতান (শেষ কিস্তি)

শুরুর কিস্তি পড়তে ক্লিক করুন

মিঃ কাই’য়ের সাক্ষাতের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার নার্ভাস লাগে। এ সন্ন্যাসীর পূর্ব জীবন সম্পর্কে আমরা তার কন্যা সুইনের কাছ থেকে বিস্তর গল্প শুনেছি।

এক সময় তিনি ছিলেন দক্ষিণ ভিয়েতনামের নামজাদা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের তূখোড় অধ্যাপক। ভিয়েতনামী ও ফরাসী ভাষায় রচনা করেছেন নয়টি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ। ধর্মীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলার জন্য মার্কিন সমর্থিত ডিয়েম সরকার তাকে একাধিকবার কারাগারে প্রেরণ করে। ষাটের দশকের প্রথম দিকে এ মন্দিরের বিখ্যাত শ্রমণ থিক্ কুয়াং ডাক্ অগ্নিতে পুড়ে আত্মাহুতির সময় মিঃ কাই ছিলেন তার পার্শ্বচর। গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে তিনি হোচিমিন নির্দেশিত গেরিলাযুদ্ধের সাথে যুক্ত হন, প্রকাশ করেন মুক্তাঞ্চল থেকে পত্রিকা। ভিয়েতনাম মুক্ত হলে পর তাকে কী কারণে জানি বছর দুয়েক রিএডুকেশন ক্যাম্পে কাটাতে হয়। আমি যখন গভীরভাবে তার অতীত জীবনের কথা ভাবছি তখন তরুণ সন্ন্যাসী এক হাসি মুখে ফিরে এসে আমাদের নিয়ে চলেন অলঙ্কৃত একঝাঁক বৃক্ষের ছায়ায় ছোট্ট এক কুটিরে।



তরুণ সন্ন্যাসী আমাদের কুটিরের সিঁড়ির কাছে পৌঁছে দিয়ে অদৃশ্য হন। মিঃ কাই’য়ের সামনে চীনামাটির পাত্রে রাখা বনসাই বৃক্ষ। শল্য চিকিৎসক যেমন রোগীদের কাটাছেঁড়া সেলাই করেন—সেরকম নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে তিনি ক্লিপার দিয়ে মিনিয়েচার বৃক্ষটির মরা পাতা কাটছেন। আমি ও হল্যেন খানিক সময় অপ্রস্তত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি যেরকম একাগ্রতা নিয়ে গাছটির শুশ্রূষা করছেন তাতে তার মগ্ন ধ্যান ভাঙ্গাতে আমাদের সাহস হয় না।



মাচার মতো করে তৈরি বাঁশ-বেত-ছনের কুটিরটি দেয়ালহীন। পীতাভ্ চাদর পরা মিঃ কাই মাদুরের ওপর বসে আছেন। তরুণ সন্ন্যাসী আমাদের কুটিরের সিঁড়ির কাছে পৌঁছে দিয়ে অদৃশ্য হন। মিঃ কাই’য়ের সামনে চীনামাটির পাত্রে রাখা বনসাই বৃক্ষ। শল্য চিকিৎসক যেমন রোগীদের কাটাছেঁড়া সেলাই করেন—সেরকম নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে তিনি ক্লিপার দিয়ে মিনিয়েচার বৃক্ষটির মরা পাতা কাটছেন। আমি ও হল্যেন খানিক সময় অপ্রস্তত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি যেরকম একাগ্রতা নিয়ে গাছটির শুশ্রূষা করছেন তাতে তার মগ্ন ধ্যান ভাঙ্গাতে আমাদের সাহস হয় না। মিঃ কাই বিকারে ঔষধের মিকচার গুলিয়ে ছোট্ট এক পিতলের বাটি থেকে গাছটির গোড়ায় পরিমিত ঔষধ মিশ্রিত জল ঢালেন। তারপর ঘণ্টাধ্বনি করে জোড়হস্তে মাথা ঝুঁকিয়ে বোধ করি প্রকৃতিকে প্রণাম করেন। এবার আমাদের দিকে তাঁর তাকানোর ফুসরত হয়। তিনি পরিষ্কার ইংরেজিতে আমাদের কুটিরে উঠতে আমন্ত্রণ জানান। মিঃ কাই বৃদ্ধ হয়েছেন বটে কিন্তু তার হাসিটি ভোরের পদ্মফুলের মতো এখনো সতেজ আছে। তিনি নিতান্ত আপনজনের মতো আমাদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন। আমরা কৌতূহলী হয়ে কুটিরের পাটাতনের প্রান্তে রাখা বেশ ক’টি বনসাই বৃক্ষ দেখি।


(চত্বরে শিশু সন্ন্যাসী)

হল্যেন তাঁর কাছে জানতে চায়, “সংসারহীন শ্রমণের জীবন তার কেমন লাগছে?” তিনি নির্লিপ্ত জবাব দেন, “এখানেও তো সংসার, সংসারহীন আর হওয়া গেল কই; এই গাছগুলোকে লালন করছি, জ্যোৎস্না হলে চাঁদ দেখি, আর সারাদিন পান করি অনেক পেয়ালা চা। ” তার কথা শেষ হতেই তরুণ সন্ন্যাসী চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে আসেন। আমাদের মাঝামাঝি ছোট্ট এক নিচু বেতের টেবিল পেতে দিয়ে টিপ্ট ও পেয়ালাগুলো রাখেন। মিঃ কাই হাতলহীন বাটির মতো পেয়ালায় পরিবেশন করেন কমলা লেবু রঙের উষ্ণ তরল। চা পানে আমরা যেন পদ্মফুলের সৌরভ পাই। হল্যেন বোধ করি কোনো কিছু বলার না পেয়ে জানতে চায়, “মিঃ কাই, বনসাই বৃক্ষগুলো সম্পর্কে আমাদের কাইন্ডলি কিছু বলুন?” মিঃ কাই’য়ের কণ্ঠস্বরে খানিক উৎসাহ ফোটে। তিনি বলেন, “এ গাছগুলো ভীষণ রকমের সংবেদনশীল। এই যে হরিদ্রা বর্ণের কুঁকড়ানো পাতার বনসাই ডাল পালায় ত্রিভূজের মতো কোণ সৃষ্টি করেছে—এটি মানব সম্প্রদায়, পৃথিবী ও স্বর্গের ত্রিমাত্রিক সংযোগের প্রতীক। এই বনসাইটির বয়স এক শত তেত্রিশ। যে ভিক্ষু এর লালন করতেন তিনি বিগত হয়েছেন অনেক বছর। তার তিরোধানের পর থেকে এ গাছটি আর কখনো পুষ্পবতী হয়নি। ” আমি প্রসঙ্গ পাল্টে তাকে প্রশ্ন করি, “এই যে অনেকবার কারাগারে অন্তরিন থাকলেন, আপনার জীবনের অনেকগুলো বছর নষ্ট হলো, এ নিয়ে মনে কোন খেদ্ আছে কি?” মিঃ কাই আবার পদ্মফুলের পাপড়ি মেলার মতো সতেজ হেসে বলেন, “ভালো হয় যদি আমরা সব সময় বর্তমানে বাস করতে পারি, সারাদিনে খানিকটা সময় যদি নিসর্গের কাছাকাছি নির্জনে বসে একটু প্রতিফলন করা যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে কি?” মিঃ কাই আবার আমাদের বাটিতে ঢেলে চা পরিবেশন করেন। বিকাল হয়ে আসছে তাই হল্যেন আর চা খেতে না চাইলে মিঃ কাই মুরব্বীদের কণ্ঠে তাকে বলেন, “আরে মেয়ে খাও, এ চাটুকু বৃষ্টির জল ফুটিয়ে তৈরি, এটা পানে স্নায়ু শীতল হয়। ”



মিঃ কাই আবার পদ্মফুলের পাপড়ি মেলার মতো সতেজ হেসে বলেন, “ভালো হয় যদি আমরা সব সময় বর্তমানে বাস করতে পারি, সারাদিনে খানিকটা সময় যদি নিসর্গের কাছাকাছি নির্জনে বসে একটু প্রতিফলন করা যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে কি?” মিঃ কাই আবার আমাদের বাটিতে ঢেলে চা পরিবেশন করেন। বিকাল হয়ে আসছে তাই হল্যেন আর চা খেতে না চাইলে মিঃ কাই মুরব্বীদের কণ্ঠে তাকে বলেন, “আরে মেয়ে খাও, এ চাটুকু বৃষ্টির জল ফুটিয়ে তৈরি, এটা পানে স্নায়ু শীতল হয়। ”



সুইনের কাছ থেকে আমরা গল্পচ্ছলে জেনেছিলাম যে, মিঃ কাই রেঙ্গুনের সেডাগন প্যাগোডায় তীর্থে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তার বিদেশ ভ্রমণে আপত্তি তোলে, তাই আর তাঁর বর্মাতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আমরা কিছুদিন আগে রেঙ্গুনে গিয়েছিলাম, তখন সেডাগন প্যাগোডায় যাওয়ার সুযোগ হয়। আমি কিঞ্চিত ইতস্ততঃ করে শোল্ডার ব্যাগ থেকে সেডাগন প্যাগোডার ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে তোলা ছবির অ্যালবাম বের করি। বিষয়টি বলে তাকে ছবিগুলো দিতেই তিনি বাচ্চারা যে রকম নতুন খেলনা খুঁটিয়ে দেখে সে রকম আগ্রহ নিয়ে আমার আনাড়ি হাতে তোলা ফটোগ্রাফগুলো দেখতে লাগলেন। এক পর্যায়ে চোখ তুলে জানতে চান—আমার কাছে মহাস্থানগড় কিংবা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কোনো ছবি আছে কিনা। উত্তরে আমি দেশে যেতে পারলে তাকে ডাকযোগে পর্যটনের করা পাহাড়পুর ও মহাস্থানগড়ের ওপর পোস্টার পাঠাব বলে প্রতিশ্রুতি দেই। কাজরি অনেকক্ষণ শিশু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে একা একা খেলছে বলে হল্যেন অস্থির হয়ে ওঠে, তাই আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় নিই। বাঁশবনের দিকে যাওয়ার পথে ঘাড় ফিরিয়ে দেখি প্রায় বৃদ্ধ সন্ন্যাসী কুটিরের সিঁড়িতে এসে সেডাগন প্যাগোডার অ্যালবামটি সূর্যালোকে তুলে ধরে একাগ্র হয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।


(সন্ন্যাসীর অগ্নিহুতি)

কাজরিকে পাওয়া যায় শিশু বুদ্ধের পদছাপের চারপাশ দিয়ে ঘেরা কৃত্তিম পদ্মের পাপড়িগুলোর ভিতর দিয়ে একপায়ে অনেকটা এক্কা দোক্কা খেলারত অবস্থায়। তাকে ঘিরে অর্ধবৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে শিশু সন্ন্যাসীদের দল। আমাদের মেয়েটি কুমিরের ছাপ দেয়া বস্ত্রখণ্ড তার গলায় স্কার্ফ করে ঝুলিয়েছে। হল্যেন খানিক সাধ্য সাধনায় তাকে খেলা ছাড়িয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসে। এখনো হাতে খানিকটা সময় আছে বলে আমরা মন্দির চত্বরের ভেতরবাগের দিকে হাঁটতে শুরু করি। এদিকে সারি করে রাখা পর্সোলিনের পাত্রে বনসাই বৃক্ষরাজি। অনেকগুলো প্রাচীন বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে জানতে ইচ্ছা হয় এগুলোর বয়স ও প্রতীকী তাৎপর্য। এক স্থানে সিমেন্টে বাঁধানো গোলাকার কুণ্ডে তরুণ সন্ন্যাসীরা আগুনে পোড়াচ্ছে রাশি রাশি পূজার বাসি ফুল। আমরা পুষ্পমেদ যজ্ঞের পাশ দিয়ে হেঁটে চলে আসি সাদামাটা একটি ঘরের কাছে।

ঘরের এক পাশের দেয়ালহীন অংশে আদ্যিকালের একটি অ্যান্টিক গাড়ি রাখা। আমরা পুরানো গাড়িটিকে দেখতে একটু ক্ষণের জন্য থামি। ষাটের মডেলের অস্টিনখানির পাশে বড়সড় ফলক। আমরা ফলকটি পড়ি, তাতে লেখা, ‘১৯৬৩ সালে এই গাড়িতে চড়ে মহামান্য ভিক্ষু থিক্ কুয়াং ডাক্ সায়গন শহরে যান। গাড়ি থেকে নামামাত্রই মাননীয় সন্ন্যাসী পদ্মাসনে ধ্যানস্থ হয়ে তার শরীরে তরল দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে আত্মাহুতি দেন। তার এ মহৎ স্বেচ্ছামৃত্যু ছিল ডিয়েম সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতি প্রতিবাদ স্বরূপ। ’ তথ্যটি আমাদের কাছে একেবারে নতুন না, সুইনের অভিনিত ফিল্মে এ আত্মহুতির ডকুমেন্টেশন আমরা দেখেছি। তারপরও ফলক পড়ে আমরা নির্বাক হয়ে যাই। গাড়িখানির সামনে থোকা থোকা বাসি ফুল, আধপোড়া ধূপকাটি ও মোম। কাজরি গাড়িটির উইন্ডশিল্ডে লাগানো একটি ফটোগ্রাফ আবিষ্কার করে বলে, “লুক মামী বাপী এ মঙ্ক ইজ বার্নিং এলাইভ্ দেয়ার। ” আমরা গাড়ির আয়নায় গৈরিক বসন পরা এ বৃদ্ধ সন্ন্যাসীকে তীব্র আগুনে জ্যান্ত পুড়ে যেতে দেখি। তার চোখমুখের সমাহিত ভাবের দিকে চেয়ে থেকে আমাদের যেন ঝিম ধরে যায়। কাজরি জানতে চায়, “ইজ হি নট হার্টিং?” সন্ন্যাসী কি দহনজনিত বেদনায় বিচলিত হচ্ছেন না? এ প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারি না, তাই মৌন হয়ে আমাদের মেয়েটির মুখের পানে তাকিয়ে থাকি।



১৯৬৩ সালে এই গাড়িতে চড়ে মহামান্য ভিক্ষু থিক্ কুয়াং ডাক্ সায়গন শহরে যান। গাড়ি থেকে নামামাত্রই মাননীয় সন্ন্যাসী পদ্মাসনে ধ্যানস্থ হয়ে তার শরীরে তরল দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে আত্মাহুতি দেন। তার এ মহৎ স্বেচ্ছামৃত্যু ছিল ডিয়েম সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতি প্রতিবাদ স্বরূপ। ’ তথ্যটি আমাদের কাছে একেবারে নতুন না, সুইনের অভিনিত ফিল্মে এ আত্মহুতির ডকুমেন্টেশন আমরা দেখেছি। তারপরও ফলক পড়ে আমরা নির্বাক হয়ে যাই।



অগ্নিদগ্ধ সন্ন্যাসীর স্মৃতি বিজড়িত গাড়িটি দেখে আমাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আমরা স্নায়ুকে শান্ত করার জন্য চত্বরের পেছন দিকে হাঁটি। এদিকে সরলরেখার মতো লাগানো দুই দিকে দুই সারি পাইন গাছ। আমরা কিছুক্ষণ রক গার্ডেনের মাঝে শাপলা ফোটা চৌবাচ্চার দিকে তাকিয়ে থাকি। অবশেষে ঈষৎ হেঁটে চলে আসি ছাই রঙের পাথরের স্মৃতিসৌধের কাছে। মন্দিরের সীমান্ত অতিক্রম করে দূরে ঢেউ তোলা নীল পাহাড়ের সারি। পাহাড়ের ঢালে অনেকগুলো বাঁধানো কবর। আমরা কবরগুলোর দিকে তাকাই। আশপাশের উঁই ঢিবি থেকে আকাশে উত্থিত হয় অজস্র উঁইপোকা। মনে হয় মৃত মানুষের আত্মারা যেন ক্ষণিকেই মুক্তি পেয়ে আকাশে এলোপাথাড়ি উড়ছে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ওড়ে ফিঙে জাতীয় কালো পাখিদের ঝাঁক। মনে হয় উড্ডীন পাখিদের গোত্রে আজ মচ্চবের ডাক এসেছে। আমাদের পাশ দিয়ে ঘোলাটে চোখের পরিচ্ছন্ন ফতুয়া পরা মানুষটি হেঁটে যান। তার ফতুয়ার পকেটে চপস্টিক ও বাটি। তিনি লাঠি ঠুকে ঠুকে অতি সাবধানে পায়ে চলার পথটি পরখ করে করে হাঁটেন। বেলা শেষের তেরছা সূর্যালোক তার চোখে মুখে পড়লে তিনি কপালে হাত রেখে বাঁধানো কবর, উড়ন্ত উঁই পোকা ও ফিঙের ঝাঁকের দিকে হেঁটে যান।



বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।