ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১২)

ধারাবাহিক রচনা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১২)

পর্ব ১১ পড়তে ক্লিক করুন


জেমস কার্কপ্যাট্রিকের ভালোবাসা |
৮০১ সালের জুন মাস। হায়াদ্রাবাদের কোর্টে লোকে লোকারণ্য।

সবার চোখ আটকে আছে ৬ ফুট লম্বা এক বিলাতি পুরুষের দিকে। তিনি তাঁর আচার আচরণ এমনকি পোশাকেও পুরোদুস্তর ভারতীয়। রহস্যটা কী? কোর্টে উপস্থিত সবাই যুবকটিকে নিয়ে ফিসফাস করছে। একজন ভারতীয় মুসলমান তো তাকে দেখে রীতিমতো রেগেমেগে আগুন। কোর্টে সবার সামনে বলেই ফেললেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন। এদিকে বিলাতি সমাজেও ভারতে সদ্য আগত বিলাতি এই যুবকের প্রতি ঘৃণার দৃষ্টি। কী অপরাধ এই যুবকের? নাম জেমস অ্যাসিলিস কার্কপ্যাট্রিক। বয়স ২৪। বিলেত থেকে উচ্চ পদের একটি চাকরি বাগিয়ে সদ্য ভারতে এসেছেন। ভারতে এসেই যত সব কেলেঙ্কারী! কোর্ট কাচারী আরো কত কী! ভালোবাসা বলে কথা!

কার্কপ্যাট্রিক দেখতে সুদর্শন এবং অসম্ভব মেধাবী একজন বিলাতি সুপুরুষ। আগমনের সাথে সাথেই ভারতে অবস্থানকারী বন্ধু ডেলরিম্প্যাল তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল। হায়াদ্রাবাদ শহরটা মন্দ নয়। জুন মাসের তেরছা রোদে শরীর অবশ হয়ে আসে। তারপরও কার্কপ্যাট্রিকের চোখ মুখে আনন্দ। যাক! অ্যাম্বাসেডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা চাকরি বাগিয়ে ভারতে আসা কম কথা নয়। কার্কপ্যাট্রিকের কথা আগে থেকেই শুনেছিল বন্ধু ডেলরিম্প্যালের ভারতে অবস্থানরত শালিকা বিলাতি নারী মার্গারেট। মার্গারেট কখনো কার্কপ্যাট্রিককে চোখে দেখেনি কিন্তু অনেক গল্প শুনেছে। গল্প শুনে শুনেই তার প্রতি খানিকটা আসক্ত। আবার অন্যদিকে কার্কপ্যাট্রিকও মার্গারেটের মতো সুন্দরী এক বিলাতি নারীকে কাছে পেয়ে বেশ খুশি। অনেকটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। প্রতিদিন সকালে তারা প্রাতরাশে ঘোড়া দৌড়াতে যায়, বিকেলে হায়াদ্রাবাদ বাংলোতে একত্রে চা বিস্কিটের খেতে খেতে গল্প গুজব করে সময় কাটায়। মার্গারেট অনেকদিন যাবত কথাটা বলবে বলবে করেও বলতে পারছে না। কিন্তু আজ সে নিজের সাথেই দিব্যি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিল, কথাটা সে বলবেই।


“না না না, তুমি কিছুই জানো না। তুমি কিছুই আঁচ করতে পারছো না ডেলরিম্প্যাল। তবে শোনো। আমি একটি মেয়ের প্রেমের পড়েছি। ওকে আমি বিয়ে করতে চাই। ”—উদ্‌ভ্রান্তের মতো কথাগুলো বলল কার্কপ্যাট্রিক।
“বাহ! দেখলে, আমি বলেছিলাম না, আঁচ করতে পেরেছি। তুমি যে প্রেমে পড়েছো তা তোমার চেহারা দেখেই বেশ বুঝতে পারছি। আর তোমার প্রেমিকা মার্গারেটও তোমার জন্য পাগল। তুমি জানো সে কথা?”—ডেলরিম্প্যালের চোখে হাসির খেলা।
“না বন্ধু। আমি মার্গারেটের প্রেমে পড়িনি। আমার প্রেমিকার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেসা। সে হায়াদ্রাবাদের এক রক্ষণশীল পরিবারের অসাধারণ এক মেয়ে। সে আমাকে প্রতিদিন উর্দু ভাষা শেখায়, আমাকে কবিতা লিখতে সাহায্য করে। আমি তাকে ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে।


“কার্ক, তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। ”—কথাটা বলতে বলতে মার্গারেটের গোলাপি গাল লাল হয়ে উঠল।

কার্কপ্যাট্রিক একজন বিচক্ষণ বিলাতি পুরুষ। সে জানে মার্গারেট তাকে কী বলতে চায়। চায়ের চুমুক দিতে দিতে ঠোঁটে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে সে মার্গারেটের দিকে তাকায়। না, মেয়েটি দারুণ দেখতে। তার সাথে খুব মানায়। খুব বিচক্ষণ এই মেয়েটি। কী বলতে চায় মারগারেট?
“আচ্ছা বলো, কী বলবে। ”—কার্কপ্যাট্রিক এবার সোজা মারগারেটের দিকে তাকায়।
“দেখো, আমাদের তো অনেকদিন হয়ে গেল। এবার একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ। এভাবেই কি আমাদের সময় যাবে?”—মার্গারেটের চোখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন।

কার্ক এবার নড়েচড়ে বসল। সে নিজেও বিষয়টা ভেবে রেখেছে। এই শীতের আগেই বিয়েটা সেরে ফেলবে। কিন্তু পাকা কথা দেওয়ার সময় তো এখনো আসেনি। কার্কপ্যাট্রিক মাত্র বিলেত থেকে ভারতে এসেছে। এই দেশের মানুষ, সংস্কৃতি, এমনকি ভাষাও তাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করছে।

“দেখ মার্গারেট, আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি। আমাকে আরো ক’টা দিন সময় দাও। অন্তত আরো ছ’টা মাস আমি ভারতকে আরো ভালোভাবে বুঝতে চাই। দেশটা কী অসাধারণ সুন্দর! একই সঙ্গে দেশের মানুষগুলোও। কত সহজ সরল আর কতই না অমায়িক তারা!

কথাগুলো শুনে মার্গারেটের খুব একটা পছন্দ হলো না। “এ তো দেখি নতুন আরেক ভারত প্রেমিক?” মনে মনে এমন ভাবল মার্গারেট।

কার্কপ্যাট্রিকের চোখে তখন শুধুই ভারত আবিষ্কারের নেশা। অফিস থেকে হায়াদ্রাবাদের বিশাল ডাক বাংলোতে এসে একটু জিরিয়ে নিয়ে বিকেলে আবার সে রাস্তায় বের হয়ে যায়। মার্গারেটের সাথেও তার খুব একটা দেখা হয় না ইদানীং। কোথায় যায় কার্ক? মনে মনে এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে মার্গারেট। কিন্তু কোনো উত্তর পায় না। কার্কপ্যাট্রিক তখন কাপড় চোপড়ে রীতিমতো ভারতীয় হওয়ার চেষ্টায় ব্রত। চুড়িদার পাজামার সাথে জরির কাজ করা পাঞ্জাবি পরে সে বিকেলের দিকে ফুরফুরে হাওয়ায় ঘুরে বেড়ায়। অনেক রাত করে বাড়ি ফেরে। কার্কপ্যাট্রিকের এমন আচরণ বিলাতি সমাজের সবার চোখেই পড়ে। কেউ কেউ গোপনে তাকে নিয়ে টিপ্পনি কাটে। “ঢং দেখে আর বাঁচি না। শেষপর্যন্ত ভারতীয় হওয়ার শখ হয়েছে। ” কার্কপ্যাট্রিকের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। ইদানীং সে উর্দু ভাষাও শিখতে শুরু করেছে। কী সাংঘাতিক! গোপনে গোপনে নাকি সে কবিতাও লেখে! বিষয়টা হায়াদ্রাবাদের বিলাতি সমাজে রীতিমত মুখরোচক একটি গল্পে পরিণত হয়।

শেষ পর্যন্ত মুখ খুলল কার্কপ্যাট্রিক নিজেই। বন্ধু ডেলরিম্প্যালকে এক সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ডেকে আনে সে।

“বন্ধু, একটা জরুরি কথা তোমাকে বলব বলে ডেকে এনেছি। খুব জরুরি কথা। তোমার সাহায্য চাই। ” খুব দ্রুত কথাগুলো বলল কার্কপ্যাট্রিক।

ডেলরিম্প্যালের মুখে মুচকি হাসি। তার ধারণা কার্কপ্যাট্রিক মার্গারেটের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এখন সে তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে এবং এ ব্যাপারেই তার সহযোগিতা চাইতে ডেকে এনেছে।

চায়ে চুমুক দিতে দিতে ডেলরিম্প্যাল তার বন্ধুর দিকে মায়াবী দৃষ্টিতে তাকাল। এবং মুখে আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে বলল, “বন্ধু, আমি তোমার জরুরি তলবের বিষয়টা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি। জেনে রাখো, তোমার যেকোন কাজে আমি তোমার পাশে সবসময় আছি। ”
“না না না, তুমি কিছুই জানো না। তুমি কিছুই আঁচ করতে পারছো না ডেলরিম্প্যাল। তবে শোনো। আমি একটি মেয়ের প্রেমের পড়েছি। ওকে আমি বিয়ে করতে চাই। ”—উদ্‌ভ্রান্তের মতো কথাগুলো বলল কার্কপ্যাট্রিক।

“বাহ! দেখলে, আমি বলেছিলাম না, আঁচ করতে পেরেছি। তুমি যে প্রেমে পড়েছো তা তোমার চেহারা দেখেই বেশ বুঝতে পারছি। আর তোমার প্রেমিকা মার্গারেটও তোমার জন্য পাগল। তুমি জানো সে কথা?”—ডেলরিম্প্যালের চোখে হাসির খেলা।

“না বন্ধু। আমি মার্গারেটের প্রেমে পড়িনি। আমার প্রেমিকার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেসা। সে হায়াদ্রাবাদের এক রক্ষণশীল পরিবারের অসাধারণ এক মেয়ে। সে আমাকে প্রতিদিন উর্দু ভাষা শেখায়, আমাকে কবিতা লিখতে সাহায্য করে। আমি তাকে ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে। কিন্ত সমস্যা হলো সে খুব রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। তারা আমাদের বিলাতিদের পছন্দ করে না। যদি জানে মেয়েটা এক বিলাতি যুবকের সাথে গোপনে প্রেম করছে তাহলে তাকে জবাই করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে। তুমি আমাকে বাঁচাও। ”—কথাগুলো বলে শান্তি পেল কার্কপ্যাট্রিক।



এবার বন্ধু ডেলরিম্প্যালের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তার মুখটায় কে যেন হঠাৎ করে এক ছোপ চুনকালি মেখে দিল। হঠাৎ করেই হাসিখুশিমাখা মুখটা চুপসে গেল।

“বল কী? কী সাংঘাতিক কথা! এ তো রীতিমতো পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। শুধুই কি সেই রক্ষণশীল মুসলমানদের নিয়ে সমস্যা? তুমি কি তোমার নিজের সমাজটার কথা ভেবে দেখেছো? বিলাতি সমাজ তোমাকে কিভাবে দেখবে? না না। এই চিন্তা থেকে তুমি বের হয়ে আসো কার্ক। এটা অসম্ভব। তোমাকে কোনো সমাজই মেনে নেবে না। ভুলে যেও না তুমি এখানকার একজন বিলাতি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এমনিতেই ভারতে বিলাতি সমাজ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানান রকম ঝামেলায় ব্যস্ত। তার ওপর তোমার এমন বিষয় নিয়ে খোদ ইংল্যান্ডকেও বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়তে হবে। আমার অনুরোধ তুমি বিষয়টা ভুলে যাও। ”—দৃঢ়কণ্ঠে কথাগুলো বলল বন্ধু ডেলরিম্প্যাল।

“তা সম্ভব নয়। কারণ খায়রুন্নেসাকে আমার বিয়ে করতেই হবে। তাকে আমি ভালোবাসি আর কথা দিয়েছি। সে আমার জীবনের সব। আর তাছাড়া”... কথাটা শেষ করতে পারে না কার্ক।
“তাছাড়া কী?”—পাইপে আগুন ঢালতে ঢালতে চোখ কপালে উঠায় ডেলরিম্প্যাল।
“খায়রুন্নেসা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ” মুখ নিচু করে বলে কার্কপ্যাট্রিক।
ডেলরিম্প্যালের কণ্ঠ থেকে অস্ফুট স্বরে শুধু একটি শব্দই বের হয়ে আসে—“ওহ মাই লর্ড!”

১৮০১ সালের অক্টোবর মাস। হায়াদ্রাবাদের কেন্দ্রিয় মসজিদ মক্কায় জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিদের বিশাল সমাবেশ। খায়রুন্নেসার পরিবার ইতোমধ্যে জেনে গেছে বিলাতি এক লম্পট কর্মকর্তা ভালোবাসার নাম করে তাদের মেয়ের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। খায়রুন্নেসার প্রভাবশালী নানা নওয়াব মাহমুদ আলী খান—যিনি এক সময়ের হায়াদ্রাবাদের নবাব ছিলেন—হায়াদ্রাবাদের মুসলমানদের বিলাতিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে আহ্বান জানান। মক্কা মসজিদে জুম্মার নামাজের পর বিশাল এক জনসভায় তিনি এই বিলাতিদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা করেন। এদিকে খায়রুন্নেসাকে তার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

গোটা হায়াদ্রাবাদ শহরে তখন কার্কপ্যাট্রিক আর খায়রুন্নেসার প্রেমের কাহিনী ভেসে বেড়ায়। বিলাতি সমাজে কার্কপ্যাট্রিককে খুব একটা ডাকা হয় না। এদিকে কার্কপ্যাট্রিক তার সিদ্ধান্তে অটল। খায়রুন্নেসাকে ছাড়া তার জীবন অচল। প্রয়োজনে সে বিলাতি সমাজ ত্যাগ করতেও প্রস্তুত। কার্কপ্র্যাট্রিকের সাথে ভারতীয় নারীর প্রণয়ের খবর খোদ ব্রিটেনের রাজনীতি পাড়াতেও আলোড়ন তৈরি করে। সেই সময়কার বিলেতের উইলসেনের ডিউক কর্নেল আর্থার ওয়েলসি বিলেত থেকে এক চিঠিতে লিখলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে অনুপ্রাণিত সে(কার্কপ্যাট্রিক) তো এখন ভারতীয় নিজামের লোকই হয়ে গেল। সে তো আর আমাদের পক্ষের কেউ রইল না। ”

শেষ পর্যন্ত কার্কপ্যাট্রিকের বিষয়টি হায়াদ্রাবাদের কোর্টে ওঠে। এবং কোর্টে কার্ক অকপটে খায়রুন্নেসার সঙ্গে তার প্রণয় এবং শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, সে তার প্রেমের জন্য যে কোনো শর্তে খায়রুন্নেসাকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখায়। পরবর্তীতে হায়াদ্রাবাদের মুসলমান সমাজ কার্কপ্যাট্রিককে একটি প্রস্তাব দেয় আর তা হলো খায়রুন্নেসাকে পেতে হলে তাকে আগে মুসলমান হতে হবে। মুসলমান হলে প্যাট্রিকের সাথে খায়রুন্নেসার বিয়ে দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

কার্কপ্যাট্রিক আনন্দের সাথে সে প্রস্তাবে রাজি হয় এবং পরবর্তীতে সে শিয়া মুসলমান হয়ে খায়রুন্নেসাকে বিয়ে করে।

কার্কপ্যাট্রিক এবং খায়রুন্নেসার ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ছেলের নাম রাখা হয় মীর গুলাম আলী সাহিব এবং মেয়ের নাম নুর-উন-নিসা সাহিব। অক্টোবর ২৫, ১৮০৫ সালে জেমস কার্কপ্যাট্রিক ভারতে মৃত্যু বরণ করেন। স্ত্রী খায়রুন্নেসাও স্বামীর মৃত্যুর আট বছর পর মাত্র ২৭ বছর বয়েসে মারা যান। মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা ইংল্যান্ডের কেন্ট শহরে দাদার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চলে যান। সেখানে ১৮০৫ সালে মার্চ মাসে দুই ভাইবোনকে সেন্ট মেরি চার্চে খৃস্টান ধর্ম অনুযায়ী বেপটিজম করানো হয় এবং তাদের নতুন নাম রাখা হয়। মীর গুলাম আলীর নাম হয় উইলিয়াম জর্জ কার্কপ্যাট্রিক আর নূর-উন-নিসার নতুন নাম রাখা হয় কেথারিন অরোরা ‘কিটি’ কার্কপ্যাট্রিক।

পর্ব ১৩ পড়তে ক্লিক করুন



বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।