ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১৯)

ধারাবাহিক রচনা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১৯)

পর্ব ১৮ পড়তে ক্লিক করুন


সিপাহী বিপ্লবের দিনগুলোতে বিলাতী নারীরা |
থিত আছে—‘বিলাতিরা যেদিকেই যায় সেখানেই শত্রু তৈরি করে’—কথাটা খুব মিথ্যা নয়। সওদাগরের পোশাক পরে হাজার মাইল দূরের বিলেত থেকে ভারতে এসে রাজ্য শাষণ এত সহজ কিছু ছিল না।

সেই কঠিন কাজটি করতে গিয়ে বিলাতিদের—জীবনের পরতে পরতে খেসারত দিতে হয়েছিল। এটা তো জানা কথা যে, ‘ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। ’ বিলাতিরা খুব ভালো করেই জানত, গায়ের জোরে কোনো দেশ দখল করলেই সেই দেশের আপন হওয়া যায় না। ভারতীয়দের রক্তে তখন ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের হাওয়া বইছে। যেকোন উপায়ে ইংরেজদের দেশছাড়া করা তখন ভারতীয় সংগ্রামী জনতার প্রাণপণ শপথ। বিলাতিরা সে কথা জানত আর জানত বলেই কখনো তারা ভারতীয়দের বিশ্বাসের চোখে দেখত না।

সবচেয়ে বড় ভয় ছিল ভারতে অবস্থানরত বিলাতি নারী এবং তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু ক্ষমতার লোভ থাকলে যা হয়—বিলাতিদের চোখ স্থির হয় ভারতীয় সম্পদের দিকে। ক্ষমতা আর সম্পদের লোভে অন্ধ বিলেতের—ভারতে অবস্থানরত বিলাতি নারী, শিশুর জীবন নিয়ে ভাববার সময় কোথায়!



সিপাহী বিপ্লবের সেই কঠিন সময়ে ভারতীয় সেনারা মেডেলিনের ভাইকে গ্রেফতার করে হত্যা করে। অহঙ্কারী বিলাতি মেম মিসেস মেডেলিনের ভাগ্যে জোটে আরো করুণ পরিণতি। লেফটেন্যান্ট কুকবার্নের বর্ণনায়, “ভারতীয় সেনারা তাকে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার গা থেকে তখন রক্ত ঝরছিল এবং সে তখন প্রায় অর্ধ উলঙ্গ



১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় অনেক বিলাতি নারীকে বিপ্লবীদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে। অনেকের—ভারতে থাকার সুখের স্বপ্নটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। মিসেস ফে ১৭৭৯ সালে শেষবারের মতো ভারতে এসেছিলেন। সিপাহী বিপ্লব চলাকালীন  কালিকুটের গভর্নর তাকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিলাতি নারী মিসেস কেরির ভাগ্যও খারাপ ছিল। তিনি ভারতে এসেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চপদস্থ একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে। বলা হয়ে থাকে, কলকাতায় ‘ব্ল্যাক হোল’ হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য ইংরেজ সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মিসেস কেরিও ছিলেন।

ভারতে তখন জাতীয়তাবাদ আন্দোলন তুঙ্গে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে হিন্দু-মুসলমান সবাই একজোট হয়ে অংশগ্রহণ করে। তবে সবাই নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত। মুসলমানরা মুঘল ঐতিহ্যের স্মৃতি হাতড়ানোয় ব্যস্ত, হিন্দুরা নিজেদের জাত-পাত আর হিন্দুস্তানের ঐতিহ্য নিয়ে মশগুল, উঁচু শ্রেণীর রাজা মাহারাজা ও জমিদাররা যেকোন উপায়ে তাদের ধন সম্পদ রক্ষায় সচেতন। সেই মোক্ষম সময়ে, ১৮৪৮ সালে ভারতে  গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন ডালহাউসি। ডালহাউসি গভর্নর হয়ে এসেই ভারতের বিভিন্নরকম প্রথার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন। বলা হয়, ডালহাউসির আট বছরের শাষণামলে ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিস্তার ঘটে সবচেয়ে বেশি।

১৮৫৭ সালের মে মাসের সকাল। মিরাটের সেনা ছাউনিতে ভারতীয় সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং ব্রিটিশবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে সেনা ছাউনি থেকে অস্ত্র হাতে বের হয়ে আসে। বিদ্রোহের একপর্যায়ে তারা মিসেস ডাউসন নামের একজন বিলাতি নারীকে আটক করে এবং কথিত আছে ভারতীয় সেনারা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মিসেস ডাউসনের প্রতি আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল ভারতীয় সেনাদের। স্বামী মেজর ডাউসন ততদিনে রগচটা সেনা অফিসার হিসেবে বেশ নাম কুড়িয়েছেন। সুযোগ্য স্ত্রী হিসেবে মিসেস ডাউসনও ভারতীয় দেখলেই রেগে উঠতেন, করতেন দুর্ব্যবহার।

সিপাহী বিপ্লবের সময় মিসেস ডাউসনের মতো আরো অনেক বিলাতি নারী আটক হয়েছিলেন এবং জেলেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল। মিসেস মিউটার নামের একজন বিলাতি নারী, যিনি একজন বিলাতি সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, তাকে শেষপর্যন্ত নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। অন্যদিকে দিল্লিতেও সেই একই চিত্র। সেখানে একজন মিশনারির কন্যা এবং তার বন্ধুকে ভারতীয় সেনারা আটক করে হত্যা করে। দিল্লি এবং লন্ডন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের স্ত্রীকেও আটক করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের ভয়ে দিল্লির লাল কেল্লার উঁচু দেয়াল টপকাতে গিয়ে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় বিলাতি নারী মিসেস ফস্টারের। ফস্টার ছিলেন অপর এক বিলাতি নারী এমিলি মেটকালফের দীর্ঘদিনের বান্ধবী। ফস্টারের মৃতুতে শোকগাথায় তিনি লিখেন, “অসম্ভব রকম মর্মান্তিক এবং বোদনাদায়ক। ”

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, যেসব বিলাতি নারী ভারতীয় ‘কুলি’দের বাঁকা চোখে দেখত, তারাও তখন ভারতীয় চাকর-বাকরদের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করতে শুরু করে। ভাবটা এমন, ভারতীয়রা যেন তাদের প্রাণের আত্মীয়। মিসেস ওডের কথাই ধরা যাক। দিল্লি থেকে কুরানলে তার আহত স্বামীর সাথে পালিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। পালানোর সময় ভারতীয় চাকরকে হাতজোড় করে সবরকম সহযোগিতা দেবার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বিপদের উপর বিপদ। সুদূর দিল্লি থেকে গোপনে পালানোর সময় বিলাতি মেমের জুতো জোড়া হারিয়ে গিয়েছিল। বিলাতি মেম মিসেস ওড যখন ছোট শহর কুরানলে পৌঁছলেন তখন তার পা রক্তে রঞ্জিত, অর্ধমৃত। ভারতীয় বিপ্লবী সেনাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েও ততক্ষণে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

১৮৫৭ সালে বিলাতি নারী মেডেলিনে জেকসনের বয়স ১৭ বছর। নাকউঁচু এই বিলাতি তরুণী ছিলেন ভারতবিদ্বেষী। ভারতীয় চাকর বাকরদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতেন। রাস্তায় এমন ভাব নিয়ে হাঁটতেন, মনে হতো দেশটা বুঝি বিলেতেরই একটি অংশ। সিপাহী বিপ্লবের সময় মেডেলিনে লাখনৌর সিতাপুরে তার সামরিক কর্মকর্তা ভাইয়ের সাথে বেশ ঠাটবাট নিয়ে থাকতেন। সিপাহী বিপ্লবের সেই কঠিন সময়ে ভারতীয় সেনারা মেডেলিনের ভাইকে গ্রেফতার করে হত্যা করে। অহঙ্কারী বিলাতি মেম মিসেস মেডেলিনের ভাগ্যে জোটে আরো করুণ পরিণতি। লেফটেন্যান্ট কুকবার্নের বর্ণনায়, “ভারতীয় সেনারা তাকে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার গা থেকে তখন রক্ত ঝরছিল এবং সে তখন প্রায় অর্ধ উলঙ্গ। ” (ওমেন অব দ্য রাজ: দ্য মাদার্স, ডটার্স, ওয়াইভস অ্যান্ড ডটার্স অব দ্য ব্রিটিশ এমপায়ার ইন ইন্ডিয়া। লেখক মার্গারেট ম্যাকমিলান, রেনডম হাউস ট্রেড, ২০০৫)

লাখনৌর বিশাল বাংলো বাড়িতে চিফ কমিশনার হেনরি লরেন্সের চোখে তখন ঘুম নেই। এদিক থেকে, ওদিক থেকে প্রতিনিয়ত খারাপ সব খবর আসছে। ভারতীয় সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, শুধু তাই নয়, বিপুলসংখ্যক বিলাতি সেনাদের ধরে নিয়ে গেছে এবং কেউ কেউ তাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হচ্ছে। হেনরি লরেন্সের কন্যা মিস পালমারের এ নিয়ে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। বাবাকে নিয়ে সবরকম নিরাপত্তা জোরদার করে বাড়ির ভেতরে থাকাটাই শ্রেয় মনে করলেন। এদিকে ঘরে তেমন কোনো খাবার দাবারও নেই। বাথরুমে পানি নেই। ভারতীয় চাকরদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হেনরি লরেন্স প্রমাদ গুনলেন। এবার হয়ত সত্যি সত্যি বাক্স পেটরা গুটিয়ে জীবনটাকে নিয়ে আবার বিলেতেই ফিরে যেতে হবে। কথাটা কন্যা পালমারকে বললেনও। কিন্তু তাদের কথাবার্তা খুব একটা এগোতে পারল না। বাড়ির বাইরে মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি আর সেইসাথে বিলাতি সামরিক কর্মকর্তাদের হম্বিতম্বি। লাখনৌর চিফ কমিশনার হেনরি লরেন্স তার দায়িত্ববোধ থেকে ঘর ছেড়ে বের হলেন। অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললেন এবং ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে আদেশ দিলেন। তবে হেনরি লরেন্সের ভাগ্যদেবতা তার ওপর খুব বেশি প্রসন্ন ছিলেন না। শোবার ঘরের নরম তুলতুলে বিছানায় একটু জিরিয়ে নিতে চোখটা যেই বুঁজলেন, তখনই সব শেষ। ভারতীয় সেনাদের ছোঁড়া একটি কামানের গোলা পড়ল ঠিক তার প্রাসাদের ওপর। হেনরি লরেন্স সাথে সাথেই মারা গেলেন। কন্যা মিস পালমারকে বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হলো। তার একটি পা কামানের গোলায় উড়ে গিয়েছিল। জানা যায়, এক পা নিয়েই মিস পালমার ভারত ছেড়ে বিলেতে পালিয়ে বেঁচেছিলেন।

সিপাহী বিদ্রোহের সেই উত্তাল দিনগুলো বিলাতি নারীদের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল বৈকি! ঘরে খাবার নেই, শিশুদের জন্য সবসময় উৎকণ্ঠা আর স্বামীদের ঘরে না ফেরা অব্দি অনিশ্চিত জীবনের পথে হাঁটা ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তার-ওপর ভারতীয় চাকর-বাকর এবং বন্ধুদের সাথে সামাজিক বিচ্ছেদ তাদের আরো একা করে দিয়েছিল। সত্যি বলতে, সিপাহী বিপ্লবের সেই উত্তাল দিনে এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে, ভারতীয়রা উড়ে এসে জুড়ে বসা এসব বিলাতিদের কী পরিমাণ ঘৃণা করত। শুধু ইংরেজদের নয়, স্বাধীনতাকামী ভারতীয় জাতিগোষ্ঠী কোনো কালেই কোনো প্রভুর ছত্রছায়াকে মেনে নিতে রাজি ছিল না। বিলাতিদের চেহারা ভিন্ন, ভাষা ভিন্ন, সংস্কৃতিও তাই। তার-ওপর বিলাতিরাও কখনো নিজেদের ভারতীয় মনে করতে পারত না এবং ভারতীয়দের তারা মনে প্রাণে সন্দেহই করত।

সিপাহী বিদ্রোহের আঁচ যখন গোটা ভারতে বিদ্রোহের আগুন হয়ে ছড়িয়ে পড়ল, সেই কঠিন সময়ে শত্রু-মিত্র যাচাইয়ের পথটিও পরিষ্কার হয়ে গেল। কঠিন সেই সময়ে বিলাতি নারীরাই সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েও পরিস্থিতি মোকাবেলায় আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল। অনেক বিলাতি নারী মিশনারি তো বটেই, বিভিন্ন হাসপাতালেও আহতদের সেবায় ঝাপিয়ে পড়ে। ১৮৫৭ সালের ১ জুলাই অযোধ্যার ফাইনান্সিয়াল কমিশনার মারটিন গিবন তার বন্ধুকে এক চিঠিতে লেখেন, “এই স্মরণাতীত দুঃসময়ে বিলাতি নারীদের উন্নত চরিত্রটি বেশ উজ্জ্বল আর প্রকট হয়েই আমাদের সামনে ধরা পড়ছে। ” আগস্টের ৮ তারিখ বিলাতি ডাক্তারের স্ত্রী মিস বেটরাম হাসপাতালে বসে ডায়েরিতে লিখলেন, “আহা! মিসেস কে’র আরেকটি সন্তান চলে গেল! কী সুন্দর আর নিরীহ এই মাসুম বাচ্চাটি। ঘরজুড়ে সবার সঙ্গে কত আদরের সাথেই না বসবাস করত। ”

১৮৫৭ সালের ১৭ আগস্ট। লাখনৌ শহরে দিনের বেলায়ও কোনো মানুষের আনাগোনা নেই। গোটা শহরটাকে মনে হচ্ছে যেন সাক্ষাত এক প্রেতপুরী। বিলাতি নারী, পুরুষ, শিশু—সবাই যে যার মতো আত্মগোপন করে আছে। মাঝে মাঝেই রাস্তার কিছু নেড়ি কুকুরের ডাক শোনা যায়। লাখনৌ শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত বিলাতিদের হাসপাতালে  ডাক্তারদের চোখে তখন ঘুম নেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে জখম হয়ে আসা বিলাতি সেনাদের সেবা শুশ্রূষায়া তারা ব্যস্ত। আর ঘুম নেই বিলাতি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা উইলিয়াম ব্রাইডনের স্ত্রী মিসেস ব্রাইডনের। গোটা হাসপাতালে রোগীদের সেবায় তিনি ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। নার্স না হয়েও চিকিৎসা সেবায় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। ডায়েরিতে লিখলেন, “মিস গ্রিন...গত রাতে তিনি মারা গেলেন আর মিস লেভিনের শিশুটি মারা গেল তার আগের রাতে। মেজর বার্ডের শিশুটির কবর দেওয়া হবে আজ বিকেলে। হায় ইশ্বর! এটা কেমন জীবন আমাদের!”

অর্থাৎ, সিপাহী বিপ্লবের কঠিন সময়েও বিলাতি নারীরা তাদের জীবন বাজি রেখে  ভারতের মাটি আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। জীবন তো এমনই! এই সুদীপ্ত আলোর ছটা আবার মুহূর্তেই তমস অন্ধকার! সেই অন্ধকারেও নিত্য টিকে থাকার সংগ্রামের নামই তো জীবন! বিলাতি নারীরা অন্তত তাই মনে করতেন।

পর্ব ২০ পড়তে ক্লিক করুন



বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।