ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ২৬)

ধারাবাহিক রচনা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ২৬)

পর্ব ২৫ পড়তে ক্লিক করুন

ইট ইস পার্টি টাইম |
বিলাতি মেম ন্যান্সি ভেরেন্ডের বয়স কম। বাবা হাইকোর্টের বিচারক।

সারক্ষণ পার্টি, গান বাজনা, বন্ধু বান্ধবদের সাথে হৈচৈ করেই তার সময় কাটে। বাবা-মা দুজনও পার্টি ভালোবাসেন। পার্টিগুলোর নামও বেশ। টেনিস পার্টি, চকলেট পার্টি, গার্ডেন পার্টি, মিউজিক পার্টি, গসিপ পার্টি, কার্ড পার্টি, ডিনার পার্টি আরো কত কী! সেই সময় বিলাতি সমাজে ডিনার পার্টি, গার্ডেন পার্টি আর টেনিস পার্টি বেশ জনপ্রিয় ছিল। টেনিস খেলার ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া দাওয়া আমোদ ফুর্তি আর নাচ গান। চলুন ন্যান্সি ভেরেন্ডের টেনিস পার্টির মেনুতে চোখ বুলানো যাক—“বাটার সহযোগে স্পঞ্জ কেক, ওয়াল নাট সহযোগে চকলেট কেক, স্যান্ডউইচ এবং কারি পাফ। সঙ্গে বিয়ার এবং অন্যান্য পানীয়। ”

যদিও এ বিষয়ে ‘দ্য কমপ্লিট ইন্ডিয়ান হাউসকিপার অ্যান্ড কুক’ একটি সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছিল। বলা হয়েছিল, “ভারতে পানীয় হিসেবে চা বা এ ধরনের হালকা কিছুই ভালো। মনে রাখতে হবে ভারত গরমের দেশ। অতিরিক্ত গরমে কড়া পানীয় বেশি পান না করাই ভালো। ” কিন্তু কে শোনে কার কথা? কড়া পানীয়ই যদি নয়, তাহলে বিলাতি নারী আদিলা ফ্লোরেন্সের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে কেন? সিমলায় এক বিলাতি বাড়িতে মদ খেতে খেতে তিনি এমন মাতাল হন যে, শেষ পর্যন্ত তাকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। বস্তুত, বিলাতি নারীরা পার্টি, নাচ, খেলাধূলা ইত্যাদি আমোদ ফুর্তিতে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন।



কলকাতায় হুগলি নদীর পাড়ে বিলাতি নারীদের বৈকালিক আড্ডা রীতিমতো ঈর্ষণীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। নদীর পাড়েও বিলাতি নারীরা প্রয়োজনীয় পানাহার এবং খাদ্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। আঠার শতকের শেষের দিকে মাদ্রাজে বসবাসকারী বিলাতি নারী মিসেস ফে তেমনি একটি বৈকালিক পার্টির বর্ণনা দিয়েছেন—“সবাই খুব সুন্দর সেজেগুজে, গয়নাগাটিতে নিজেদের সজ্জিত করে পার্টিতে আসতেন। সত্যি বলতে সবার বেশভুষা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে তাদের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকতাম। এটি ছিল আমার ভারত বসবাসের সবচেয়ে আনন্দময় একটি মুহূর্ত



টেনিস পার্টির পাশাপাশি গার্ডেন পার্টিও বিলাতি সমাজে সমানভাবে জনপ্রিয় ছিল। বাড়ির সামনে সুসজ্জিত পরিপাটি বাগানে সাদা চেয়ার টেবিল পেতে রাতভর আড্ডা আর সেই সাথে কড়া পানীয়তে নিমজ্জিত হয়ে চোখ লাল করে হেলে দুলে ভোরের দিকে বাড়ি ফেরা। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিলাতি সমাজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই এসব গার্ডেন পার্টির আয়োজন করতেন। সেসব পার্টিতে নিমন্ত্রণ পেতে বিলাতি হওয়াই যথেষ্ট ছিল না। যত যাই হোক, শ্রেণীভিত্তিক সমাজ বলে একটা কথা আছে না! এসব বিষয়ে বিলাতিদের জ্ঞান কিন্তু খুবই টনটনে। সাধারণত উচ্চপদস্থ বিলাতি কর্মকর্তা ও তোষামোদী ভারতীয় রাজা মহারাজারাই গার্ডেন পার্টির নিমন্ত্রণ পেতেন। সিমলায় লর্ড কার্জনের দেওয়া বিশাল গার্ডেন পার্টি থেকে ঘুরে আসা যাক:

বিশাল বাগানের চারপাশে সতর্ক নিরাপত্তা। বাগানে প্রবেশের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পথ। সেখানে কিছু বিলাতি সরকারি কর্মকর্তা মুখে এক চিলতে মেকি হাসি ফুটিয়ে নিমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত। বাগানের স্থানে স্থানে ব্যান্ড পার্টির ব্যবস্থা। সেখানে বিলেতের রানীর প্রশংসা করে গান বাঁধা হয়েছে। ছোট ছোট বিলাতি শিশুরা সেই গান একসাথে গলা মিলিয়ে গাইছে ‘সেভ দা কিং’... হঠাৎ আগত অতিথিদের চোখে মুখে আনন্দ যেন আছড়ে পড়ল। লর্ড কার্জন এবং লেডি কার্জন দুজনই অতিথিদের মাঝে চলে এসেছেন। লর্ড কার্জন পরেছেন কালো স্যুট আর মাথায় সাহেবি টুপি। কার্জন মশাই বিশেষ কায়দা করে চেয়ারে বসলেন। তার পাশে মুখে গম্ভীর পরিমিত হাসি ফুটিয়ে লেডি কার্জন চেয়ার দখল করলেন। সাথে সাথেই বিশাল উদ্যমে ব্যান্ড পার্টি বেজে উঠল। এদিকে মাথার ওপর লাল সাদা মিশ্রণে সামিয়ানা। সেই সামিয়ানার নিচে অতিথিরা তাদের নিজ নিজ চেয়ার দখল করলেন। ভারতীয় গৃহপরিচালকরা ততক্ষণে অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

সাধারণ বিলাতিদের বিনোদনের একমাত্র জায়গা ছিল স্থানীয় বিলাতি ক্লাব। সন্ধ্যা হলেই সেই ক্লাবে বিলাতি পুরুষদের পাশাপাশি বিলাতি মেমরাও জড়ো হতেন। সেখানে তারা মদ্যপান, খেলাধূলা, খাবার দাবার আর আড্ডায় নিজেদের ব্যস্ত রাখতেন। সবাই তাদের নিজেদের পছন্দ মতো জায়গায় সময় কাটাতে ব্যস্ত। এসব সামাজিক ক্লাবে বিলাতি নারী এবং শিশুদের আসতে কোনো বাধা নিষেধ ছিল না। তবে কোনো কোনো বারে নির্দিষ্ট একটি জায়গা পর্যন্তই বিলাতি নারীরা ঢুকতে পারতেন। সেখানে বড় করে লেখা থাকত ‘Women not admitted beyond this point’. কেমন ছিল ক্লাবগুলো? চলুন না ক্লাবের ভেতরটা এক ছত্র ঘুরে আসি!

অল্প আলো আঁধারি খেলা, হালকা গান বাজনা, ক্লাবের ভেতরেই রয়েছে টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল, এবং সেই সাথে ছোট একটা পাঠাগার। পাঠাগার থেকে পছন্দসই বই বা কোনো ম্যাগাজিন ধার নিতে মানা নেই। ক্লাবে ঢুকতেই ঠিক কপাল বরাবর দেখা যাবে একটি নোটিশ বোর্ড। নোটিশ বোর্ডে ছোট ছোট কিছু বিজ্ঞাপনও আপনার চোখে পড়বে। কী লেখা সেই বিজ্ঞাপনে? মূলত বিক্রির বিজ্ঞাপন। ‘prams, ponies, sewing machines, hats, dress, layettes, hens, goats, decanters, oil stoves, donkeys, rabbits, bicycles, mowing machines, gramophone, mattresses, cars, cradles, saucepans and saddlery’.

বেশ বোঝা যায়, অনেক বিলাতিরা তাদের ঘরের অতিরিক্ত আসবাবপত্র বা কোনো সৌখিন তৈজসপত্র বিক্রি করতে আগ্রহী। তথ্যটি তারা বিজ্ঞাপনের ভাষায় নোটিশ বোর্ডে নাম ধামসহ ঝুলিয়ে দিতেন।

তবে সব বিলাতি মেমরাই যে পার্টি ভালোবাসতেন, তা কিন্ত নয়। অনেকেই নদীর পাড়ে কিংবা বাড়ির সামনে ছোট আঙিনায় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন। কলকাতায় হুগলি নদীর পাড়ে বিলাতি নারীদের বৈকালিক আড্ডা রীতিমতো ঈর্ষণীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। নদীর পাড়েও বিলাতি নারীরা প্রয়োজনীয় পানাহার এবং খাদ্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। আঠার শতকের শেষের দিকে মাদ্রাজে বসবাসকারী বিলাতি নারী মিসেস ফে তেমনি একটি বৈকালিক পার্টির বর্ণনা দিয়েছেন—“সবাই খুব সুন্দর সেজেগুজে, গয়নাগাটিতে নিজেদের সজ্জিত করে পার্টিতে আসতেন। সত্যি বলতে সবার বেশভুষা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে তাদের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকতাম। এটি ছিল আমার ভারত বসবাসের সবচেয়ে আনন্দময় একটি মুহূর্ত। ”

এসব বৈকালিক আড্ডায়ও খাবার দাবারের আয়োজন নেহায়েত খারাপ ছিল না। মিসেস ফে বৈকালিক খাবারের একটি চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন—“আসাধারণ মুখরোচক খাবার। স্যুপ, মুরগির রোস্ট, কারি এবং সাদা সরু চালের ভাত, খাসির চপ, ভেড়ার চপ, নরম রুটি, রাইস পুডিং, পনির, মাখন আর সেই সাথে বিয়ার এবং সবুজ রঙের মোটা কাচের বোতলে ভরা হুইস্কি। ”

আরেক বিলাতি নারী মিসেস হার্বাটের বাড়িতে আয়োজিত পার্টির কথাই ধরুন না। স্বামী সেনা কর্মকর্তা। নিজ বাড়িতে পার্টি দিতে ভালোবাসেন। মিসেস হার্বাটের মুখ থেকেই শুনি—“সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি চলছে তো চলছেই। বন্ধু বান্ধবরা সবাই একে একে পার্টিতে আসছেন। সেই সাথে চলছে অফুরন্ত আড্ডা আর মুখরোচক খাওয়া দাওয়া। তবে এবারের মদটা ছিল অসাধারণ! সবাই খুব পছন্দ করেছে। আর খাবারের মেনুতে ভারতীয় এবং বিলাতি খাবারের মিশ্রণটাও সবার নজর কেড়েছে। আর শুধুই কি খাবার? সবাই আমার বাড়িতে সাজিয়ে রাখা সুন্দর সুন্দর নকশা কাটা তৈজষপত্র দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে রইলেন। ”

ডিনার পার্টি নিয়ে সেই সময় বিলাতি সমাজে একটি কথা খুব চালু ছিল—“একজন ইংরেজের জীবনে ডিনার পার্টির গুরুত্ব অনেক। কারণ এর ওপর নির্ভর করছে সেই ব্যক্তিটির সামাজিক সম্মান। ” তৎকালীন বিলাতি উপন্যাসের লেখক মাউদ ডাইভার তার ‘দি ইংলিশম্যান ইন ইন্ডিয়া’ উপন্যাসে উল্লেখ করেছেন, “ভারত হলো বিলাতিদের খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ ফুর্তির দেশ। এ বিষয়ে যে যত বেশি সার্থক তার তত বেশি সামাজিক মর্যাদা। ” কথা কিন্তু সত্য। গোটা ভূ-ভারতের সর্বত্রই দেখা যেত সেই চিত্র; বিভিন্ন রকম পার্টি নিয়ে বিলাতি মেমরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

ডাইনিং পার্টির দিন বিলাতি মেমরা তাদের ঘরবাড়ি মনের মতো করে সাজাতেন। ডাইনিং রুমে প্রচুর মোমবাতি এবং পেরাফিন দ্বীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। সেই হালকা আলোয়, দেয়ালে বিলাতি মেমদের ছায়া দ্বিগুণ হয়ে ধরা পড়ত। গরমের দিন ডিনার টেবিলের ওপর মস্ত বড় একটি ‘পাঙ্খা’ সারাক্ষণ বিলাতি মেমদের মাথায় ঠাণ্ডা হাওয়া বিলাতে ব্যস্ত। পার্টিতে আসা বিলাতি সাহেব এবং মেমদের সাজসজ্জাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কে কত সুন্দর আর পরিপাটি হয়ে সেজেগুজে আসতে পারেন, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হতো। শহর হোক কিংবা মফস্বল, বিলাতিরা সবসময় নিজেদের পরিপাটি রাখতে ভালোবাসতেন। সাধারণত রাতের পার্টিতে বিলাতি মেমরা সিল্কের আকর্ষণীয় কাপড় পরতে ভালোবাসতেন। বিলাতি নারী রুমার গডেন, যার ছেলেবেলা কেটেছিল তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের (বর্তমানে বাংলাদেশ) নারায়ণগঞ্জে, তার স্মৃতিকথাটি তুলে দিচ্ছি—“রাতের পার্টিতে মা ধূসর আর চেরি রঙের সিফনের কাপড় পরেছিলেন আর খালা মেরি সবুজ রঙের স্কার্ট আর হলুদ রঙের শার্ট পরে পার্টিতে গিয়েছিলেন। ”

ডিনার পার্টিতে টেবিলগুলো সবসময় সাদা কাপড়ের ঢাকা থাকত। মাঝেমাঝে কাপড়ের ওপর সুন্দর হাতে বোনা শিল্পকর্মও স্থান পেত। টেবিলের মাঝখানে রুপালি ফুলদানিতে থাকত বিভিন্ন রঙের ভারতীয় ফুল। ডিনার টেবিলের ওপর ছোট ছোট রুপালি পিরিচে রাখা হতো চকলেট, খেজুর, খোরমা, পেস্তা বাদাম, পনির, মাখন, রুটি ইত্যাদি। একপাশে সাজিয়ে রাখা হতো মদ খাওয়ার দামি কাচের গেলাস। টেবিলের একপাশে ফিঙ্গার আকৃতির পাত্রে শোভা পেত ভারতে তৈরি বিভিন্ন রকম মিষ্টি। গোটা ঘরটিতে বিভিন্ন ফুলের সুগন্ধি করা হতো। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে একটি সাদা কাপড়ে ঢাকা ছোট টেবিলে, এটিকে বলা হতো অভ্যর্থনা কেন্দ্র, আগত অতিথিদের নাম সুন্দর করে লেখা থাকত। সেই নামের পাশে কে কোন চেয়ারে বসবেন চেয়ারের নাম্বারটাও জুড়ে দেওয়া হতো।

তবে অভ্যর্থনা ও চেয়ার বিলির প্রক্রিয়াটি সবসময় সঠিকভাবে সম্পন্ন হতো না। বিলাতি নারী এনি উইলসন এমন একটি অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। বন্ধুকে লেখা এক চিঠিতে তিনি জানাচ্ছেন—“একটি ডিনার পার্টিতে সবার নাম এবং চেয়ারের নাম্বার দেওয়া থাকলেও এক আহাম্মক টাইপের বিলাতি নারী বলা নেই কওয়া নেই একজন কর্নেলের চেয়ারে এসে ধপাস করে বসে পড়লেন। যথা সময়ে কর্নেল মশাই তার চেয়ারে এসে চেয়ারের মালিকানা দাবি করলেন। কিন্তু সেই গবেট বিলাতি মেমটি চেয়ারটি ভদ্রভাবে ছেড়ে না দিয়ে উল্টো তাকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি সত্যি সত্যিই কর্নেল? প্রমাণ কী?’ আর দেখে কে, এই নিয়ে পার্টিতে মহা কেলেংকারি শুরু হয়ে গেল। ”

পর্ব ২৭ পড়তে ক্লিক করুন



বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
টিকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।