রক্তচিহ্ন
অইখানে পড়ে আছে যত রক্তচিহ্ন,
ছায়াভ্রম, জেগে ওঠা দুঃখক্রম—
আর প্রাচীরের শিলালিপি!
প্রান্তরের হাওয়ায়
শাদা ঘোড়া এক উড়িয়ে দ্যায়
তার বন্য কেশর,
চোয়ালে ফেনার দাগে
উঠে আসে তার হর্ষ—হ্রেষা,
দূর থেকে দেখা যায় অই
প্রান্তরের মনুমেন্ট—
দ্যাখো ঘাসের ওপর ঘাস,
তিয়াসার তৃণলিপি—
তার আরো কিছু দূরে পড়ে আছে
যত রক্তাভ কোরক!
সহিসের হাড়ে জমে থাকে বুনো শীতে
শব্দশিকারীরা সব হেঁটে যায়
স্বরময় সরাইখানায়—
জুয়াড়ির ফেনাপাত্রে উড়ে বসে প্রজাপতি;
ভ্রমরের রাতচেরা সুরে
বেজে ওঠে ভগ্ন ভায়োলিন—
রক্তচিহ্ন আছে এই বুকে—
এসো এই ঘুমঘোর কুঠুরির পাশে
হে শীতাভ শ্বেতাভ ঘোড়া।
ঘুমসরোবর
খুলে যায় ঝিনুকের রাতচেরা গান!
স্মৃতিগুলো বিশদ হাতড়ে
খুঁজে পাই সেই রক্তঘুম—কোরকের ওম—
পুরনো পয়ার ঠেলে উঠে আসে
সরোবরের অতল গহীন স্বর!
হারানো তোরঙ্গ ফুঁড়ে আরো পাই
দুধশাদা কবুতর—ধূলিখাম চিঠি—
আর পলাতক পিয়নের কান্না!
পদ্মভাসা সরোবরে খুঁজে পাই
ভেজা স্তনগুচ্ছ, যোনিমুক্তো;
কোমল কাঁচুলি খুলে বের হয়
বর্তুল মাংসের আভা
দ্রুতশ্বাস ওঠানামা
খরগোশ চপলতা আর
পদ্মিনী নারীর
উত্তালছন্দা প্রশস্ত নিতম্বের শোভা!
ঘুমসরোবর থেকে উপচে পড়ছে
যত গোলাপ পাপড়ি;
বেজে ওঠে সরোদের সুরভ্রম—
আর ভেসে আসে
হাওয়ায় হারিয়ে যাওয়া সেই রক্তস্বর!
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
একজোড়া কবিতা | তুষার কবির
কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।