আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে, ১৯১৩ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য সাহিত্যের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল প্রাইজ জিতেছিলেন। তাঁর প্রতিভার সুবিশাল ব্যাপ্তি নোবেল কমিটির লোকদের জানা ছিল না, জানার কথাও নয়; ঐ প্রতিনিধিত্বশীল পুস্তকটির ভিতরেই তারা এই মহান প্রতিভার এমন দীপ্তি ও ঝলক দেখতে পেয়েছিলেন যে আপ্লুত হন, এবং বিশ্ববাসীকে হতবাক করে পশ্চিমী দুনিয়ার বাইরে, একটি উপনিবেশে জন্মগ্রহণকারী একজন কবির কৃতিকে, ঐ গুরুভার সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।
তবে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি, বিশেষ করে ইংরেজি সংস্করণটি প্রকাশিত হবার পরের বছরেই পুরস্কার পাওয়া, কবিগুরুকে যারপরনাই বিস্মিত করেছিল। পুরস্কারপ্রাপ্তির অসম্ভব আনন্দবাহী টেলিগ্রামটি যখন তাঁর হাতে এসে পৌঁছাল, তখনো তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি জগতের সেরা পুরস্কারটি তাকে দেওয়া হয়েছে। স্টকহোমে নোবেল বক্তৃতায় তিনি সে বিস্ময় লুকাননি, অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁদের প্রতি যারা তাঁর সৃষ্টিকে বুকে তুলে নিয়েছেন আর তাঁকে, ভারতবর্ষকে, এমনকি এশিয়াকেও বিরল সম্মান এনে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গভীর বিশ্বাস ছিল গীতাঞ্জলির অন্তর্নিহিত বাণী বিশ্বদরবারে, বিশেষ করে পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে, পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। আর সে তাগিদ থেকেই তিনি এর ইংরেজি অনুবাদে মগ্ন হন।
গীতাঞ্জলির এ গানগুলো রচনার পরে, যা ছড়িয়ে আছে তাঁর বেশ ক’টি কাব্যে, কবিগুরুর এ কথা মনে হয়েছে যে এর মর্মবাণী বিশ্বের দরবারে পৌঁছানো প্রয়োজন, কেবল পূর্বে নয় তা ছড়িয়ে দিতে হবে পশ্চিমে। অনেকটা সাধনার ভিতরে দিয়ে নির্মিত, অন্তরের গভীর থেকে উচ্চারিত সত্যের মতো ঐ গানসমূহের গুরুত্ব এর স্রষ্টা ঠিকই বুঝেছিলেন। বস্তুত রবীন্দ্রনাথ যদি কোনো ধর্মগুরু হিসেবে আবির্ভূত হতেন তবে এই গানগুলো হয়ে উঠত তাঁর দর্শনের ভিত্তি। তাঁর অগণিত ভক্তের মুখে মুখে তারা তো আজও, প্রত্যহই, উচ্চারিত হয় এবং অনাবিল আনন্দ সঞ্চার করে।
গীতাঞ্জলির অনুবাদের পাণ্ডুলিপি নিয়ে তিনি ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে পৌঁছান এবং সেখানকার বুদ্ধিজীবীদের পাণ্ডুলিপিটি দেখান। তাদের মাঝে বইটি বেশ সমাদৃত হয় এবং তারা তাঁর লেখাকে আন্তরিকভাবেই গ্রহণ করেন। ডব্লিউ বি ইয়েটস এর একটি প্রশংসাসূচক ভূমিকা লিখে দেন এবং ঐ বছরই ১০৩টি গান নিয়ে গীতাঞ্জলির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বাংলায় প্রকাশিত মূল ‘গীতাঞ্জলি’তে কবিতা আছে ১৫৭টি; রবীন্দ্রনাথ তা থেকে বেছে নেন ৫২টি যা ইংরেজি গীতাঞ্জলির অর্ধেক, এ ছাড়া তিনি ‘গীতিমাল্য’ থেকে ১৭টি, ‘নৈবেদ্য’ থেকে ১৫টি ও ‘খেয়া’ থেকে ১১টি কবিতা নেন, বাকি ৮টি কবিতার উৎস অন্যান্য বই। ইংরেজি অনুবাদগুলো অনেক সময়েই মূলের অনুরাগী থাকেনি। কখনো তিনি কোনো কোনো কবিতার বিরাট অংশ পুরোপুরি বর্জন করেছেন, কখনো বা কোনো কোনো অংশ বদলে নিয়েছেন, আবার একটি েেত্র দুটি কবিতাকে মিলিয়ে একটি কবিতা করেছেন। বোঝা যায় পাশ্চাত্যের পাঠকদের কথা মনে রেখেই তিনি তা করেছিলেন।
তাঁর নোবেল পুরস্কার বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি রচনার পটভূমি বলতে গিয়ে এমন একটি সময়ের কথা বলেন যখন তিনি কলকাতার কোলাহলময় পরিবেশ থেকে অনেক দূরে, পূর্ববাংলার এক অত্যন্ত নির্জন গ্রামে; সবুজে-ঠাসা যে গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ভরাবুক পদ্মা নদী, সেখানে এক নিঃসঙ্গ জীবনে প্রায়নির্বাসিত কবি। একাকীত্ব কাটাবার জন্য তিনি শিশুদের একটি বিদ্যালয় খুলেছেন, আর তাঁর সমস্ত দিন কেটে যায় ঐ শিশু-কিশোরদের শিাদানে, তাদের সাথে হৈ-চৈ, আনন্দে-আড্ডায়। দিনের শেষে যখন প্রশান্ত সন্ধ্যা নেমে আসত, যখন তিনি একাকী হতেন আর চোখ মেলে তাকাতেন প্রকৃতির দিকে, তখন তাঁর ভেতরে এক অনির্বচনীয় নৈসর্গিক বোধ জেগে উঠত। তাঁর কুঠির বাইরে, কিছুটা দূরে মাঠে খেলাধুলোরত শিশু-কিশোরদের হর্ষধ্বনি, আনন্দ-চিৎকার কানে ভেসে আসত; সন্ধ্যার অপসৃয়মাণ আলোর ভিতর দাঁড়ানো গাছগুলোকে মনে হতো পৃথিবীর আত্মা থেকে উত্থিত হয়ে আকাশের বুকের দিকে উঠে যাওয়া এক একটি আকাক্সক্ষার মূর্তি। এর ভিতরে কবি খুঁজে পেলেন মানবাত্মার আনন্দধ্বনির নীলিমায় প্রকীর্ণ অসীমের সঙ্গে মিলিত হবার বাসনাকে। ঐ বয়স্ক শিশুদের উল্লাসধ্বনি অসীমের নিকট মানবাত্মার উচ্চাকাক্সক্ষাকে পৌঁছে দেবার এক প্রয়াস বলেই তাঁর কাছে প্রতিভাত হয়েছিল। তাঁর মনে হয়েছিল প্রকৃতির এক দুর্দমনীয় শক্তি ঐ বৃরাজির ঊর্ধ্বগমন, ঐ প্রবাহিত আলোকমালার ভিতর প্রস্ফুটিত। ঐ অলঙ্ঘনীয় সৌন্দর্যের ভিতরেই ভর করেছিল গীতাঞ্জলির গানগুলির রচিত হবার অনুপ্রেরণা।
গীতাঞ্জলির অন্তর্নিহিত সুর বিনম্র নিবেদনে ঢার্হ্য, প্রবল প্রেমানুভূতিতে ভরপুর এবং অপার শান্তির বাণীসম্বলিত। যুদ্ধ-বিগ্রহ ও হানাহানিতে তবিত ইউরোপের ছিল শান্তি-অন্বেষণ, মানসিক প্রশান্তির জন্য তীব্র আকুতি। তাদের অশান্ত প্রাণে এই বই অন্যরকম সুর তুলেছিল, জাগিয়েছিল ভিন্ন আবেদন। কবিতারূপী এ সকল গান মূলত স্রষ্টার প্রতি কবির সমর্পণ বা অঞ্জলি। বলা হয়ে থাকে যে রবীন্দ্রনাথের সকল গানই বিশ্বস্রষ্টার প্রতি নিবেদিত, এমনকি তার প্রেমের গানগুলোও মূলত ভক্তির, তাদের গন্তব্য কোনো মর্ত্যরে নারী নয়, এমনকি নয় কোনো স্বর্গের দেবীও, তাদের যাত্রা পরম স্রষ্টার দিকেই। রবীন্দ্রনাথের এই ভক্তিমার্গ ‘গীতাঞ্জলি’তে পরিপূর্ণ রূপ লাভ করেছে। এর ইংরেজি সংস্করণের নাম তিনি করেছেন- ঝড়হম ঙভভবৎরহমং। যেহেতু গানগুলো ভক্তির, অনেকটা পূজার নৈবেদ্যের মতো, এদেরকে প্রার্থনার স্তবও বলা যেতে পারে। এই নিবেদনের সুষমা, অন্তর্নিহিত মাধুর্য ও আধ্যাত্মিক উচ্চতা জাগতিক বিষয়াদি ও হানাহানিতে লিপ্ত ইউরোপবাসীর মনে ধরেছিল। রবীন্দ্রনাথের সৌভাগ্য এই যে তিনি এমন একটি সময়ে গীতাঞ্জলির অনুবাদ করলেন যখন পশ্চিম প্রাচ্যের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে তার দর্শন, তার বাণী থেকে শান্তি পাবার আশায়; আর গীতাঞ্জলির ছত্রে ছত্রে সেই বাণীই গুঞ্জরিত, এর প্রাণে ুদ্রকে ছাড়িয়ে বৃহতে সমর্পণের আকুতি মর্মরিত। পাশ্চাত্যের আদর্শ খুঁজে বেড়ানো, অতি বস্তুগত জীবনের চড়ায় এর সুর অপার্থিব জ্যোৎস্নার মতো মুগ্ধকর ঠেকেছিল।
স্বর্গীয় প্রেমের যে নমুনা গীতাঞ্জলিতে বিধৃত তার উদাহরণ অবশ্য পাশ্চাত্যের সাহিত্যে বিরল নয়। স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির মিলিত হবার এই আকুতি পশ্চিমের সাহিত্য ও দর্শনে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের এই গানগুলিতে যা আলাদা তাৎপর্য বয়ে এনেছে তা হলো, তিনি বিধাতার প্রতি তাঁর প্রেমকে প্রকাশ করেছেন মর্ত্যরে মানব-মানবীর প্রেমের মধ্য দিয়ে। তবে মধ্যযুগে রচিত বৈষ্ণব পদাবলিতে, যেমন বিদ্যাপতি বা জয়দেবের রচনায়, স্বর্গীয় প্রেমে নরত্ব আরোপ বেশ প্রচলিত কাব্যরীতি হিসেবেই বিকশিত। গীতাঞ্জলির ৭ সংখ্যক কবিতায় কবি যখন লেখেন, ‘আমার এ গান ছেড়েছে তার সকল অলঙ্কার’ তখন প্রেমাস্পদ তার সকল জড়োয়া, অলঙ্কার খুলে ফেলছেন, কেননা স্বর্গীয় মিলনের পথে সেসব জড়োয়া বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্রষ্টার সাথে এ সকল পঙক্তিমালায় নিরন্তর কথা বলে গেছেন রবীন্দ্রনাথ, তাঁর অনুকম্পা চেয়েছেন, তাঁর শর্তহীন ভালোবাসা চেয়েছেন, চেয়েছেন জেগে উঠবার শক্তি, যা প্রয়োজন ছিল পরাধীন ভারতবাসীর। ‘আমাকে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা/সহিতে পারি শক্তি যেন রয়’। এমনকি যেসব গানে প্রকৃতির বন্দনা রয়েছে, সেখানেও সূক্ষ্মভাবে সৃষ্টিকর্তা উপস্থিত। পরমাত্মার সাথে মিলিত হবার তীব্র, সুতীব্র আকাক্সক্ষাই এ গ্রন্থের মূল চেতনা-- যে চেতনা এক অনুপম নিবেদনের ভাষায় স্ফুরিত, এক অননুকরণীয় ছন্দে দোলায়িত।
গীতাঞ্জলির ইংরেজি সংস্করণের ভূমিকায় ডব্লিউ বি ইয়েটস রবীন্দ্রনাথের কবিতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা তাঁর মননে যে আলোড়ন তুলেছে, বহু বছরের মধ্যে অন্য আর কিছুই তেমন আলোড়ন তোলেনি। ঠাকুরের কবিতাকে তাঁর কাছে মনে হয়েছে প্রাচুর্যপূর্ণ, স্বতঃস্ফূর্ত ও দুর্নিবার আবেগসম্পন্ন। এসব কবিতার ছন্দের নিগূঢ়তা, বর্ণের অবর্ণনীয় সূক্ষ্মতা ও মাত্রার নতুনতর দোলা তাকে মুগ্ধ করেছে। এখানে এ কথা স্মতর্ব্য যে, গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের আঙ্গিক গদ্য, সুতরাং ইয়েটসের পে এসব বাংলা কবিতার ছন্দ বা মাত্রার দোলা অনুভব করার কথা নয়। তিনি তা জেনেছেন তখনকার বিলাতে বসবাসরত ভারতীয় বাঙালিদের কাছ থেকে, যাদের কাছে কবিগুরু প্রায় দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত। একজন কবির প্রতি সাধারণের ঐ প্রগাঢ় ভক্তি ইয়েটসকে মুগ্ধ করেছিল। তিনি আপে করে এ কথা জানাতেও ভোলেন না যে পাশ্চাত্যে ভক্তির ব্যপারটি নেই বললেই চলে, আর সেখানে সবকিছু, এমনকি গম্ভীর সমস্ত বিষয় নিয়েও, ঠাট্টা-মশকরা করা হয়। গীতাঞ্জলির কবিতার প্রবল আবেগ, স্বর্গীয় প্রেমের অনুভূতি আর সারল্য তাকে চমকে দিয়েছিল। কেবল তাকে নয়, তা চমকে দিয়েছিল পুরো ইউরোপীয় বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজকে, যাদের কাছে এর বাণী ছিল স্বর্গীয় করুণার মতো। আর এর কাব্যিক আবেদন ছিল কেবল অশ্র“তপূর্বই নয়, অভূতপূর্বও। ঝঞ্ঝাুব্ধ ইউরোপ এমন কিছুই খুঁজছিল।
রবীন্দ্রনাথের আশিভাগ রচনাই বাংলায়, কিন্তু নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর তিনি আর বাংলার কবি রইলেন না, হয়ে উঠলেন বিশ্বের কবি; আমন্ত্রণ পেলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, ফলে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে গেলেন, ব্যক্তিগত দেখা ও যোগাযোগ ঘটল তৎকালীন সময়ের অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক ও মনীষীর সাথে। এই আমন্ত্রণ, ভ্রমণ ও যোগাযোগের কারণে কবিগুরু অনেক রচনা লিখলেন, বা বলা যায় লিখতে বাধ্য হলেন, অকৃত্রিম ইংরেজিতে। তাঁর এই ইংরেজি রচনা মূলত বিবিধ বক্তৃতা, চিঠিপত্র, প্রবন্ধ ও মন্তব্য আকারে লিখিত এবং তাদের পরিমাণও কম নয়। বস্তুত রবীন্দ্রনাথ হচ্ছেন পৃথিবীর অন্যতম দ্বিভাষিক কবি, নিজ মাতৃভাষার বাইরে যাঁর বিপুল পরিমাণ লেখা অন্য একটি ভাষায় রচিত। বাংলার কবির এই দ্বিভাষিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি কিন্তু শুরু হয়েছিল গীতাঞ্জলির অনুবাদের মধ্য দিয়েই।
আমরা জানি সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথের পদচারণা ঘটেনি। তাঁর অলোকসামান্য প্রতিভায় আলোকিত হয়ে উঠেছিল সাহিত্যের সকল অঞ্চল, এমনকি চিত্রকর্মেও তিনি নিজ বৈশিষ্ট্যের স্বার রেখে গেছেন। তবু তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি আর শতবর্ষ পেরিয়ে তার কবিতাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে গান। ধারণা করা যায়, আরো একশ বছর পরে তাঁর গানগুলোই তাকে বাঙালির প্রাণে, বাঙালির উৎসবে বাঁচিয়ে রাখবে। আর তার এই সঙ্গীতধর্মী গানগুলোর সেরা নিদর্শন তো গীতাঞ্জলি কাব্যই। এর প্রচুর গান বাঙালির মুখে মুখে, যা নিয়ত তাদের অনুপ্রাণিত করে আর প্রশান্তি জোগায়।
বাংলা কবিতার সবচেয়ে বিখ্যাত, সবচেয়ে সমাদৃত কাব্যটি একশ বছর পরেও পরম গৌরবে বাংলা ভাষাভাষী ও কবিতাপ্রেমীদের হৃদয়ে ঠাঁই করে আছে। ধারণা করা যায়, এ কাব্যের মৃত্যু হবে না কোনোদিনই, কেননা তা এখন ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত এবং তার আবেদন চিরকালীন। গীতাঞ্জলি আমাদের ঐতিহ্য ও অহঙ্কারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি সেই মহান কবিকে, যিনি আপন প্রতিভায় বাংলাভাষাকে এগিয়ে দিয়েছেন এক শতাব্দী আর বাংলা সাহিত্যকে তুলে এনেছেন বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদার আসনে, এ বছর যাঁর জন্মের একশ পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো!
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩৩০, আগস্ট ০৬, ২০১০