ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপন্যাস

ধারাবাহিক উপন্যাস

মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৪)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৬
মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৪)

৪.
পথে পথে হলুদ রোদ,
যা দিয়েছ করবো শোধ।

মাটির পৃথিবীতে পরী দেখলাম প্রথবারের মতন।


আমার স্বপ্নে পরী আসে। তাবিজ এনে দিয়েছিলো মা। আমি সুন্দর বলে নাকি পরীদের বদ নজর পড়েছে এমন ধারণা তার।
তাবিজ থাকলে কোহেকাফ নগরে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব!
পরী-ফরি না, রোগটা হলো বোবাভূতে ধরা। এমন অনেকেই বলেছে।
এই রোগ নিরাময়যোগ্য না। তাই আমার ঘুম হয় যন্ত্রণার। অনেকটা ভয়ের।
পরীর মতন মেয়েটাকে দেখলাম। এতো সুন্দর কীভাবে হয়?
‘এই শহরের ছেলেরা হাবাহুবা। মেয়েগুলো সুন্দর। ’ আমার দিকে তাকিয়ে বলে আকাশ মামা।
‘হুম’। আমার মুখ থেকে আর কোনো শব্দ বের হয় না। কিছু সুন্দরে থমকে যেতে হয়। ভাবতে হয়।
কালো ফতুয়ার মতো কিছু একটা পরা মেয়েটা। কোমরে সামান্য মেদ। চুলে দু’টো বেণি দু’দিকে বেসামাল হয় বারবার। দুধসাদা গায়ের রঙ। ঠোঁটে লিপস্টিক নেই। এতোটাই গোলাপী যে লিপস্টিক দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে হয় না। চোখে একটু কাজল। প্রসাধনী বলতে এতোটুকুনই। জিন্স পরা। হাতে লাল সুতোর মতো কিছু একটা। এর বেশিকিছু নেই। তবুও অনেক বেশি বেশি মনে হয়। বেশিই সুন্দর।
‘কী হেল্প করতে পারি বলো?’ বলে মেয়েটা।
‘জ্বি, কিছু না। ’ থতমত খাই কথা বলতে গিয়ে। কী করতে এসেছি সেটাই ভুলে গিয়েছি। আর কলকাতার লোকদের হুটহাট ‘তুমি’ বলাটা একদমই পছন্দ না। নার্ভাস করে দেয়।
‘আপনার নাম ম্যাডাম?’ আকাশ মামা কানের পাশ থেকে বলে। আমার বিরক্ত লাগে। কী দরকার কথা বলার। মেয়েটাই বলুক না। আহ্, কণ্ঠটাও সুন্দর। মাহবুবার কণ্ঠ এতো সুন্দর না। কোনো মেয়ে দেখলেই আমি মাহবুবার সঙ্গে তুলনা করি। এটা ভালো না।
‘আমার নাম বুনো। বলো কী লাগবে?’ বলে মেয়েটা।  
বুনো কেমন নাম? এমন নাম মেয়েদের হয়? কিন্তু সুন্দর। এই মেয়ের সবকিছু সুন্দর। তার নাম যদু মধু কদু হলেও আমার খারাপ লাগতো না মনে হয়।
‘একটা রিকোয়েস্ট করতে এসেছি। পেমেন্টটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে কিন্তু রোগীর চিকিৎসা তো আটকে রাখা যায় না কী বলেন?’ বুনোকে বলে আকাশ মামা। এই মেয়ে অ্যাকাউন্টসের দায়িত্বে রয়েছে। এমন সুন্দর একটা মেয়ে রসকষহীন কাজ করছে। অ্যাকাউন্টস বিষয়টাই আমার কাঠখোট্টা মনে হয়।
‘ডিটেইলস বলো?’ বলে বুনো। তার চোখে কী মায়া! তার চোখ দেখি। তিরতির করে কাঁপা চোখের পলক দেখি। কী সুন্দর নাক। স্কেল দিয়ে মেপে মেপে কাটা যেনো। ইচ্ছে করে নিখোঁজ হই। এই মেয়ের সৌন্দর্যে হারাতে ইচ্ছে করে।

‘আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কিছু পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে পারি নাই। টাকা দেশ থেকে পাঠাতে একটু দেরি হচ্ছে। দুই-চার দিন। এই সময়ে ট্রিটমেন্ট যাতে চালায় যায় এইটা একটু দেখতে হবে। ’ বলে আকাশ মামা। আমাকে খোঁচায়। আমি যেনো কিছু বলি এটা চায় সে।
‘আমাদের রুলস্-এ এমন নিয়ম নেই। কতোটুকু হেল্প করতে পারবো জানি না। হিস্টরিটা দেখি আগে তোমাদের। ’ বলে বুনো। তারপর নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। আমরা যে সামনেই দাঁড়ানো এটা যেনো জানেই না।
‘একটু তাড়াতাড়ি দেখুন। ’ শেষ এ কথাটি বলে আকাশ মামা আমাকে নিয়ে বের হয়ে যায়। তার কণ্ঠ কেমন জানি রুঢ় শোনায়।
হাসপাতালের বাইরে গলা শুকানো রোদ। ভেতরে এসিতে ঠাণ্ডা ছিলো। বাইরে আসতেই ছ্যাৎ করে লাগলো গরম রোদ। গ্রিল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। লিমকা খেয়ে নিলাম আমি আর আকাশ মামা। রুবিও সঙ্গে আছে। বড়মামা আজ মায়ের দেখাশোনা করছে। চিকিৎসা থেমে রয়েছে। বাবা টাকা না পাঠানো পর্যন্ত কিছু করা যাচ্ছে না। বুনো মেয়েটা কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এই শহর শুধু টাকার কথাই শোনে।
বাবা দেশে। বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ঢুকেছে। একবারই ফোনে কথা হয়েছে আমার সঙ্গে। বাবা আকাশ মামার সঙ্গে সব আলাপ-আলোচনা করছেন। তার চোখে বড়মামা একজন অপদার্থ কিসিমের মানুষ। আকাশ মামার ওপরেই তিনি ভরসা করতে পারছেন। আমরা কেউ কিছু তেমন জানি না। বাবার এই কাজে মামা বিরক্ত হচ্ছেন। চেহারা দেখে বোঝা যায়। মুখে তেমন কিছু বলছেন না। শুধু বলছেন, ‘আমারে অপদার্থ মনে করে? আমি অপদার্থ না। অপদার্থ না’। এই কথা বলার সময় তিনি প্রতিবারই ফোস ফোস আওয়াজ করেন নাক দিয়ে। মনে হয় খ্যাপা ষাঁড় কোনো। বড়মামার নাকে পলিপ আছে। নাকের হাড় কিছুটা বাঁকানো। এমনিতে স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিলেই তিনি আওয়াজ করেন। রাগের সময় এই আওয়াজ বেড়ে হয় দ্বিগুণ।
বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় আমার ফনিক্স সাইকেলটার কথা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিলো। সাহস পাইনি। সাইকেলের শরীরে ধুলো জমেছে নিশ্চিত। কলকব্জায় জং পড়েছে হয়তো। গিয়েই গ্যারেজে নিতে হবে।
মাহবুবার আঁকাআঁকি চলছে কিনা জানি না। অনেক এবড়ো-থেবড়ো, অযথাই হোমওয়ার্ক দেওয়া আছে। মাহবুবা কী আমার কথামতো কাজ করছে! ওর বাবা হয়তো এই সুযোগে মেয়ের ছবি আঁকাই বন্ধ করে দেবে কিংবা মাহবুবার মা খুঁজে নেবে নতুন কোনো ড্রইং টিচারকে।  
মাহবুবার জন্য আমি মাঝে মধ্যে নিয়ে যাই নকুলদানা। চিনি আর বাদাম দিয়ে তৈরি। মেয়েটা মিষ্টির ভক্ত। মিষ্টি পেলে তার খুশি আর ধরে না। বাড়িতে মেয়ে বলে তার আবদার তেমন একটা কেয়ার করে না কেউ। আমি ছোটখাট দু’-একটা ইচ্ছে পূরণ করে দিলে কতোই না খুশি হয়! তার হাসি-খুশি মুখটা বারবার মনে পড়ে যায়।
কীর্তনখোলার তীরে নতুন দোকান হয়েছে কয়েকটা। ফাস্ট ফুডের। সেখানকার চাওমিন খুব পছন্দ মেয়েটার। কোনো একদিন সাইকেলের পেছনে বসিয়ে ওকে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। চাওমিন আর সবশেষে আইসক্রিম। খুব বেশি টাকা তো নয়!
দেশে গিয়েই এবার ওকে নিয়ে যেতে হবে। তবে মাহবুবার মা আমার সঙ্গে মেয়েকে যেতে দেবে বলে মনে হয় না। মাহবুবার কলেজ শেষে গোপনে তাকে তুলে নিতে হবে।
রুবির জন্য বাবল গাম কিনে দিতে হয়। মেয়েটা দিনকে দিন বেয়াড়া হয়ে উঠছে। আবদার না শুনলে বিরক্ত করে খুব। বাবল গামের বড় প্যাকেট কিনলেই কমিকসের বই ফ্রি। রুবি কমিকসের ভক্ত। চাচা চৌধুরী, বিল্লু, পিঙ্কী তার মাথা খারাপ করে দেয়। কমিকসের বই কিনে কিনে জমানো এই মেয়ের শখ।
সময় তাড়াতাড়ি যাচ্ছে আজ। কোঠারি হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে আমরা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করি। বড়মামা আসে। জানায় মা সুস্থই রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া করেছে। ডাক্তার আসেনি। পেমেন্ট ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত আসবেন বলে মনে হয় না।
আকাশ মামা সব শুনে আবার বুনোর সঙ্গে কথা বলে। আমি আর বড়মামা দূর থেকে তাদের কথা শুনি। একটু কথা কাটাকাটি হয়। আকাশ মামাই চিৎকার করে। বুনো বোঝানোর চেষ্টা করে। লোকজন জড়ো হয়।


সমাধান মেলে। পরশুর ভেতর সব পেমেন্ট ক্লিয়ার করা হবে এই শর্তে ডাক্তার মাকে দেখতে রাজি হন। বুনোর সঙ্গে বড়মামার আলাপ হয়। বড় মামা মিশুক আছেন। কয়েক মিনিটের ভেতরেই তাদের আলাপ জমে ওঠে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে।
জানা যায়, বুনোর নানাবাড়ি কুষ্টিয়াতে। তার মায়ের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশেই। বুনো কখনও বাংলাদেশে যায়নি। দেশ দেখার খুব ইচ্ছে তার। বুনোর বাবা নিখোঁজ। রাজনীতি করতেন। অনেক অনেক আগে শিলিগুড়িতে একটা রাজনৈতিক মিটিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক চেষ্টা করেও তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অর্থের খুব একটা সমস্যা নেই পরিবারে। বুনোর বাবা বাড়ি করে রেখে গিয়েছেন। সেটাই ভাড়া দেওয়া হয়েছে। চলে যাচ্ছে এতে।
তবুও বুনো চাকরি করছে। মেয়েদের ঘরে বসে থাকা তার একদম পছন্দ নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি চালিয়ে যাচ্ছে বেশ। বড়মামা বুনোর মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়। যেকোনো প্রয়োজনে ফোন করা হবে। বুনো হাসিমুখে বলে, ‘অলওয়েজ। আমার দাদুবাড়ির লোক তোমরা। হেল্প করতে পারলে ভালো লাগবে’।
চুপচাপ দর্শক হয়ে আমরা সব শুনি, দেখি। আকাশ মামা ব্যস্ততার কথা বলে একটু বের হন। তার রোগীর অবস্থা নাকি ভালো না। আমরা যেতে চাইলে ‘না’ বলেন।
আকাশ মামা চলে যাওয়ার পর শুধুই অপেক্ষা। বুনোর সঙ্গে গল্প শেষ হয় বড়মামার। তাকে খুব সন্তুষ্ট মনে হয়। আমাকে বলে, ‘মেয়েটা কী সুন্দর দেখেছিস? পরিচিত ভালো ছেলে থাকলে মেয়েটার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেশে নিয়ে যেতাম। এতো ভালো মেয়ে নিজের দেশে থাকা উচিত কী বলিস’? বড়মামার কথার আগামাথা বুঝি না। এলোমেলো বকেন তিনি। ‘হু, হু’ করে যাওয়াই নিরাপদ। তাই মামার সব কথার উত্তরে ‘হু’ বলে যাই শুধু।
দেরি করে হলেও দুপুরে খেয়ে নেওয়া হয় সামান্য। রুটি আর ভুনা ডিমের ঝোল। এরপর আবারও কোঠারি হাসপাতালের নিচতলায় বনসাই গাছগুলোর পাশে রাখা সিটে বসে অপেক্ষা। আকাশ মামার খোঁজ নেই। ফোন করেও পায় না বড় মামা। আমি আর রুবি বিকেলের চেহারা পাল্টানো দেখি। দুপুর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে বিকেলের দিকে যায় সময়। তারপর আবার বিকেল থেকে সন্ধে। কেমন কালশিটে পড়া আকাশ। কংক্রিটের দেয়াল ফুঁড়ে বের হওয়া অপুষ্টিতে ভোগা শহুরে মেঘ।
রুবির সঙ্গে ঝগড়া, বেনি ধরে টান দেওয়া, রুবিকে কাঁদানো এসব করতে করতে অপেক্ষার সময়গুলো শেষ হয় কখন টের পাওয়া যায় না।
বাবার ফোন আসে দেশ থেকে। জানায়, টাকা পাঠিয়েছে। আকাশ মামাকে বলা আছে। তিনি টাকা তুলবে। তার কাছ থেকে টাকা তুলে পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে হবে। বাবার ঝামেলা যাচ্ছে। ধার-দেনা করে যে অস্থির অবস্থা হয়েছে সেটা সামাল দিতে হবে আগে।
আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসা হবে তাহলে। মা সুস্থ হোক।
খুশি মন নিয়ে বাড়ির পথ ধরি। বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মামা আকাশ মামাকে খুঁজতে বের হবে। টাকা তুলতে হবে।
মামা বলে, ‘আকাশ ছেলেটা ভালোই রে। ওর রোগীর জন্য একদিন কিছু নিয়ে যেতে হবে। তোর মায়ের জন্য মাগুর মাছ আর বাসমতী চাল এনেছে। আমরা কিছু নিয়ে না গেলে খারাপ দেখায়’।  
আমারও মনে হয় কিছু একটা নিয়ে যাওয়া উচিত। বাড়ি পৌঁছাতে দেরি হয় না। আমাদের রুমের দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজার তালা ভাঙা। মামা ‘হায়। হায়। ’ বলে রুমের ভেতরে ঢোকেন। লণ্ডভণ্ড সব।
আমাদের লাগেজ খোলা। দামি যা কিছু ছিলো নেই কিছুই। লুট হয়েছে। রুবি দৌড়ে গিয়ে দেখে তার কমিকসের বই ঠিকঠাক আছে কিনা। চোর নেয়নি দেখে সে খুশি হয়। সাত রাজার ধন যেনো!
দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে সমস্যা হয় না। মামা বাবাকে ফোন করে। আমি দেখি ফোন কানে নিয়ে মামা কাঁদছে। বলছে, ‘হায় হায় আমার বোনের চিকিৎসা হবে এখন কেমনে? অভিশাপ দিলাম আকাশরে। বিচার হবে’। বাবার ওপাশ থেকে বলা কথাও শোনা যায় স্পষ্ট। তিনিও কাঁদছেন। তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য। মামার কান্না দেখে রুবিও বোকার মতন ভ্যাঁ করে কাঁদতে শুরু করে।
আমি এইসবের মধ্যে নাই। ঘর থেকে বের হই রাস্তায়। আমার মায়ের চিকিৎসা হতেই হবে। চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন।
এই অচেনা শহর কলকাতায় বের হই আমি। আকাশ মামাকে খুঁজে বের করতে হবে।
আকাশ মামা, আপনি কই? আমাদের সঙ্গে এমন কেন করলেন? জানেন তো, আমরা এমনিতেই অনেক দুখী।
আরও দুঃখ বাড়িয়ে কী লাভ। ধুর!
চলবে…

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
এসএনএস

আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-
**মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৩)

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।