‘নিরন্তর চর্চা, প্রতিভার বিভা আর ভূ-রাজনীতিক কাল সৈয়দ শামসুল হককে উঁচুমাপের বহুমাত্রিক লেখক হিসেবে তৈরি করেছে। নান্দনিকতার চর্চায় সৈয়দ হক ছিলেন শ্রমনিষ্ঠ ও নিরন্তর সৃষ্টিশীল।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব সদস্য কবিদের সংগঠন কবিতাপত্র আয়োজিত মাসিক সাহিত্য সভায় সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে স্মরণ করে এ কথা বলা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গীতিকবি কে জি মোস্তফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি সাংবাদিক শাহীন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠের শুরুতে সৈয়দ শামসুল হকের স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন- গীতিকবি কে জি মোস্তফা, লেখক-সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ, কবি লিলি হক, কবি রওশন ঝুনু প্রমুখ।
সৈয়দ শামসুল হকের স্মৃতিচারণ করে কে জি মোস্তফা বলেন, ১৯৬৭ সালে কামাল আহমদ পরিচালিত একটি ছবির চিত্রনাট্য লেখেন সৈয়দ হক। শাহবাগ এলাকার এক হোটেলে এ চিত্রনাট্যের পর্ব লিখতেন আর ছবির সহকারী পরিচালক হিসাবে আমাকে সেগুলো শুনে মন্তব্য দিতে হতো। দীর্ঘ সম্পর্কের সুবাদে প্রেসক্লাবে এলেই তিনি আগে আমার খোঁজ করতেন।
লেখক-সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ বলেন, প্রতিভার বিভা আর নিরন্তর নান্দনিকতা চর্চার পাশাপাশি তিন তিনটি ভূ-রাজনীতিক কাল সৈয়দ হকের মতো একজন বহুমাত্রিক লেখককে তৈরি করেছে। শরীরি বিদায় তার মতো লেখকের চিরবিদায় নয়। তিনি চলে গেলেও রয়ে গেছে তার বিশাল সৃষ্টি।
লিলি হক বলেন, সব্যসাচীর চলে যাওয়া জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
রওশন ঝুনু বলেন, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার চেয়ে তার সৃষ্টিকে জানা ও আলোচনা বেশি প্রয়োজন।
কবিতাপাঠে অংশ নেন- জাহাঙ্গীর ফিরোজ, নরেশ ভূঁইয়া, সালাম জোবায়ের, নুরুল হাসান খান, কামরুজ্জামান, মেহেরুন নেসা ইসলাম, জীবন ইসলাম, রুহুল গণি জ্যোতি, আবদুল মান্নান, রফিক হাসান, মনিরা মিম্মু, ইসমত শিল্পী, নূর আল ইসলাম, সুমি সৈয়দা, জলি ফেরদৌসী, আশরাফী হক সাকী, সৈয়দা ফরিদা খানম, কমল চৌধুরী, মসিউর রহমান, শিবুকান্তি দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এসএনএস