ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

উপমা-খোলাচিঠি কবিতা উৎসব এবার বাংলাদেশে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
উপমা-খোলাচিঠি কবিতা উৎসব এবার বাংলাদেশে

বাংলাদেশের পিয়াল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স এর সাহিত্য পত্রিকা উপমা এবং ভারতের সাহিত্য পত্রিকা খোলাচিঠি’র যৌথ উদ্যোগে এ কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপমা-খোলাচিঠি আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব-২০১৬ এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পিয়াল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স এর সাহিত্য পত্রিকা উপমা এবং ভারতের সাহিত্য পত্রিকা খোলাচিঠি’র যৌথ উদ্যোগে এ কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

গত ৩০ বছর পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক শহর ও প্রত্যন্ত শহরতলীতে আন্তর্জাতিক এ কবিতা উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশকে তারা ভেন্যু হিসেবে বেছে নেন। এর আগে, বাংলাদেশের উপমা সাহিত্য পত্রিকার স্বত্বাধিকারী সৈয়দা নাজমুন নাহার, ২০১৫ সালের আগস্টে পুরীতে অনুষ্ঠিত ৩০তম কবিতা উৎসবে ভারতের কবিদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

তিনটি অংশে সাজানো অনুষ্ঠানটিতে ছিলো- বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের সম্মাননা দেওয়া, গ্রন্থ ও সিডির মোড়ক উম্মোচন এবং সাংকৃতিক অনুষ্ঠান। এ বছর সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় বাংলাদেশের বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যে বিশিষ্ট সাহিত্যিক গৌর মিত্র (ভারত), প্রবাসী লেখক ক্যাটাগরিতে বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক রূমানা চৌধুরী (কানাডা), ভাষাসৈনিক হিসেবে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. জসীম উদ্দিন, সম্পাদনা ও সাহিত্য সংগঠনে তারক দেবনাথ (ভারত), গবেষণায় আকমল হোসেন খোকন, কবিতায় বিশিষ্ট কবি ও বাচিক শিল্পী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় (ভারত), ফিচার ও শিশুসাহিত্যে আবু সালেহ মোহাম্মদ সায়েম এবং কবিতা শাখায় সম্মাননা পেয়েছেন কবি বজলুর রশিদ সবুজ ও প্রবন্ধে মওদুদ আহমেদ মানিক।  

এছাড়াও সম্মান জানানো হয়েছে ভারত থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথি- হরেন্দ্রনাথ গোস্বামী, শৈলেন দে, গৌরাঙ্গ মজুমদার, সূর্যকান্ত দেবনাথ, রনধীর দে, শিখা চক্রবর্তী, স্বদেশ মুখোপাধ্যায়, কমলেশ কর, অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়, গোপালকৃষ্ণ দত্ত, নির্মলচন্দ্র পাঠক, জয়ন্তী হালদার, প্রদীপ হালদার, দীপেন ভাদুড়ী, চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ড. কৃষ্ণা ভৌমিক, দিলীপ চাকী, শ্যামল তালুকদার, সনাতন সেন, অনিলচন্দ্র পাল, মাজরুল ইসলাম, অনিতা চট্টোপাধ্যায়, মধুছন্দা তরফদারকে।

সম্মান জানানো হয়েছে বাংলাদেশর আমন্ত্রিত অতিথি- এ এফ এম আখতারুজ্জামান, মো. আব্দুল জলিল, মনিরুল ইসলাম, কবিতা, কাজী সাইফুল্লাহ্, মনিরুল ইসলাম মনির, নূরুল ইসলাম, এবিএম আফছারুজ্জামান, মীর কায়ছার সাদিক, ফারুক সুমন, ফারহানা আজাদ, মুজতবা মাহমুদ, জান্নাতুল মাওয়া প্রিয়াংকা, মাহনূর জাবীন শর্মী, সাদিয়া হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সেলিমা সাঈদ। এর উদ্বোধন করেন বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশিদা জামান, কবি ও গবেষক বেগম রাজিয়া হোসাইন।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক আকমল হোসেন খোকন বলেন, প্রতিবারই আমরা দাওয়াত পাই, আমরা অতিথি হিসেবে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যাই এবং আতিথেয়তা নেই। বাৎসরিক এই মিলনমেলার ৩১তম আসর আমরা স্বদেশের মাটিতে আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যেই মূলত এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এসএনএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।