ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিদেশি কালচারের আগ্রাসনে ঝুঁকিতে দেশজ সংস্কৃতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
বিদেশি কালচারের আগ্রাসনে ঝুঁকিতে দেশজ সংস্কৃতি বক্তব্য রাখছেন প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: হলিউড-বলিউডসহ বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে দেশীয় সংস্কৃতি  হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি মনে করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় লোকজ সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা দরকার। এজন্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ারও তাগিদ দেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিত্যশালা মিলনায়তনে রোববার (২১ মে) সন্ধ্যায় লোকজ ও আঞ্চলিক গানের দল উজানের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে নিজেদের সংস্কৃতির বিকাশ না হওয়া সত্যিই দুঃখজনক।

অবশ্যই দুঃখজনক। তরুণ প্রজন্ম আজ বিপথে যাচ্ছে। এর কারণ নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে তারা বিচ্যুত। তারা নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে।  

দেশজ সংস্কৃতি চর্চায় সবার দৃষ্টি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে মর্যাদা দিতে পারি না বলেই দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ নেই।  
 
এসময় তিনি আমদানি সংস্কৃতির সমালোচনা করে বলেন, আজকাল কি যে গায়... বাজনা বাজায়, কিছুই বুঝি না। গানের আগে নাইচা ফালায়। এসবই হলিউড-বলিউড, বিদেশি কালচারের আগ্রাসন।   
একজনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্যান্যরা।  ছবি: রাজীন চৌধুরীবাবা-মা’র অবহেলায় ছেলে-মেয়েরা জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ছে মন্তব্য করে চুন্নু বলেন, ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায় কী করে বাবা-মা খোঁজ রাখেন না। শুধু টাকা থাকলেই সন্তানরা মানুষ হয় না। তাদের সঙ্গে মিশতে হবে, কোথায় কী করে খোঁজ রাখতে হবে।  

এসময় নিজের সন্তানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার ছেলে ব্যারিস্টার, ক’দিন আগে বিয়া করাইছি। তারপরও রাত ৯টার পর বাইরে থাকলে পাগল হয়ে যাই।  
 
দেশের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গত অর্থবছরে ৩৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছি। এরমধ্যে গার্মেন্টস শিল্প থেকে আয় এসেছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। আমাদের বঞ্চিত মা-বোনেরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন খাদ্যের অভাব কী জিনিস বুঝেছি, ১৯৭৫ সালে তখন গ্রামের মানুষের গায়ে কাপড় থাকতো না,  নেংটি পরতো। আমি ঢাবিতে পড়ার সময় গুলিস্তানের কাটার মার্কেট, নিক্সন মার্কেটে অল্টার করা প্যান্ট এনে পড়তাম। এখন খাদ্যের অভাব নেই, কাপড়ের অভাব নেই। দেশ অনেক উন্নত হয়েছে, হচ্ছে।
 
উজানের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এসএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।