ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

যন্ত্রের সুরের মূর্ছনায় এক বিকেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
যন্ত্রের সুরের মূর্ছনায় এক বিকেল রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ১৪২৪ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তারা ; ছবি- কাশেম হারুন

ঢাকা: ব্যানার ঝুলছে। বড় অক্ষরে লেখা রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ১৪২৪। বিকেল তখন সাড়ে চারটা। একের পর দর্শক প্রবেশ করছেন শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে।

মঞ্চ সাজানো শেষ। অনুষ্ঠান ঠিক পাঁচটায় শুরু হবে।

প্রথমে থাকবে যন্ত্রসঙ্গীত। তাই চলছে নানা প্রস্তুতি। গিটারের টুংটাং শব্দ তুলছেন যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা। রাজু বসু দেখে নিচ্ছেন গিটারের সব খুঁটিনাটি জিনিস। পাশেই টেবিলে রাখা তবলাটা দেখে নিচ্ছেন তুলসী সাহা।

ঘড়ির কাঁটায় যখন পাঁচটা তখনই উপস্থাপক মঞ্চে। ঘোষণা আসলো যন্ত্রসঙ্গীত শুরু হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। আবু জাফর, সিদ্দিকুর রহমান বকুল, রাজু বসু, তুলসী সাহা উঠে এলেন মঞ্চে।

কি-বোর্ড বাজছে, তবলা বাজছে। বাঁশির সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ছে মিলনায়তনের কোনায় কোনায়। গিটারের ছন্দ ভেঙে দিচ্ছে পিন ড্রপ সাইলেন্স। যন্ত্রের সুর ছাড়া এতোটুকু শব্দ নেই কোথাও। ১৫ মিনিটের টানা যন্ত্র সঙ্গীতে দর্শকরা মুগ্ধ।

যন্ত্রসঙ্গীত শেষ হতে না হতেই দর্শকের করতালিই যেন প্রমাণ করে যন্ত্রের সুরে কতোটা মুগ্ধ উপস্থিত দর্শকরা।

যন্ত্র সঙ্গীত শেষে মঞ্চে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। মঞ্চে উপস্থিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি, জাহাঙ্গীররনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমেল বরকত, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ড. সফিউদ্দিন আহমদ।

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি বলেন, একটা অস্থির সময় পার করছি আমরা। মূলত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই অস্থিরতা বেশি লক্ষ করা যায়। নজরুল, সুকান্ত তরুণ প্রজন্মের প্রতীক। তরুণদের নজরুল ও সুকান্ত সম্পর্কে জানাতে হবে। তাদের চেতনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছ্যেদ্য অংশ। নজরুলই একমাত্র কবি যে কবিতা লিখে জেল খেটেছেন।

বর্তমানের তরুণ প্রজন্মদের নিয়ে ড. হিমেল বরকত বলেন, এখনকার তরুণরা স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকে। তারা এক সাথে আড্ডা দিলেও সবাই ব্যস্ত থাকে ফোন নিয়ে। এক সাথে থেকেও একে অন্যের থেকে পৃথক থাকছে। সব সময় মোবাইলের দিকে মাথা নুইয়ে থাকে তারা।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরই নৃত্যের ঝংকারে ফের সরব হয়ে ওঠে মঞ্চ। চলে আবৃত্তি ও নাটক। এভাবেই উৎ যাপন করা হয় রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ১৪২৪।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
ইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।