‘জসীমউদ্দীন এর অজানা পরিচয়’ শীর্ষক এক পাবলিক লেকচারে এ কথা বলেছেন বক্তারা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এই লেকচারের আয়োজন করে রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ। আলোচনায় অংশ নেন আরিফ খান, জুলফিকার ইসলাম, মারুফ মাহম, রাশেদ রাহম, ইফতেখারুল ইসলাম ইফতি। আরও কথা বলেন কথাসাহিত্যিক আহমেদ আব্বাস, প্রাবন্ধিক ইমাম মেহেদী, কবি রকিব রুবাইয়্যাত রহমান, কবি মারুফ কামরুল, হাসানাত কিরণ প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, জসীমউদ্দীন তার সাহিত্যে তাদের কথাই বলেছেন, যাদের কথা ‘আধুনিক’ ভদ্রসাহিত্য বলে না। আধুনিক ভদ্রসাহিত্যে পাশ্চাত্য-সাহিত্যের এবং জীবনচেতনার প্রভাব সম্পর্কে তিনি ছিলেন পুরোপুরি সচেতন। ‘আধুনিক’ সাহিত্য যে নিচ থেকে ওপরের সাধনা করেনি, ওপর থেকে নিচের সাধনা করেছে, অথবা অধিকাংশ সময় শুধু ওপরের সাধনাই করেছে- সে বিষয়ে জসীমউদ্দীন সচেতন থেকেই সাহিত্য চর্চা করেছেন।
আলোচকরা আরও বলেন, বিশ্বগ্রামের যুগে কেউ জসীমউদ্দীনকে কেবল পল্লীকবি হিসেবে প্রচার করলে তা হবে সাহিত্যচিন্তার চরম সংকীর্ণতা। তিনি গ্রামের সহজ-সরল মানুষের প্রাত্যহিক ভাবনাকে আধুনিক মনে অমায়িক দরদ দিয়ে বাঙালি জীবন বর্ণনা করেছেন। বাংলার এই অসামান্য রূপকারকে বৈশ্বিক সমীকরণে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে—কাব্য-ভাব, ভাষা, চিন্তা, যুক্তি, শিল্পমানের গভীরতা, ভাষা ও কাহিনীর বুনন, কাব্য চয়ন, চিত্রকল্প, উপমা, উৎপ্রেক্ষা, রূপক এবং প্রতীক বিনির্মাণে তিনি ছিলেন সত্যিকারের জীবনশিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এইচএ/