সে যেনো আসে তার ঝরাপাতার কাব্য নিয়ে। তাতে যেমন বিদায় আছে, বিষাদও।
তাতে সমীরণে খানিকটা হুহু বেগ পায়, মধুকর গুন গুন, অমুয়ামঞ্জরী, কানন ছায় ফুল-পাতায়, হৃদয় প্রেমে। মালতী আঁখি মেলে চায়।
“বায়ু আসি কহে কানে কানে, ‘ফুলবালা, পরিমল দাও’।
আনন্দে কাঁদিয়া কহে ফুল, ‘যাহা আছে সব লয়ে যাও’। ”
এ এক এমনই ডাক এসেছে দ্বারে, চিত্ত হলো উতলা। তারে তারে নবরাগ পরানের তানপুরায়। গান দুলিছে নীল আকাশে। খোঁজ নাও কবি, এই উত্তর ফাল্গুনে আর কে দুলিছে হৃদয়-দোলায়…
কান পেতে শোনো, মনোবীণায় কে তুলিছে মিলনের সুর? সেইখানে তোমার প্রাণের পরশখানি নিয়ে যাও কবি। সে যে তোমার উতল পথের চিহ্ন ধরে অধীর, ব্যাকুল। তারে দেখা দাও। বাণী দাও আর দু’হাতে সঁপে দাও ফাগুন পারিজাত। ফাগুনের নিটোল ছোঁয়া দিয়ে তার কবিতাখানি ছন্দে বেঁধে দাও।
বরণের মালা গেঁথে বাসন্তী যে বসে আছে। তাতে গোলাপ জবা পারুল পলাশের পরম সুবাস।
“আজ কোকিলে গেয়েছে কুহু মুহুর্মুহু,
কাননে ওই বাঁশি বাজে।
মান ক’রে থাকা আজ কি সাজে…”
কবি?
দেখা দাও তারে। শৈত্য রিক্ততা মুছে দিয়ে তার অন্দরে গাও বসন্তের গান। যাও কুঞ্জমাঝে। ভালোবাসা হোক। ফুল ফুটুক। যে মায়ায়, ক্ষণে ক্ষণে পুলক লাগে, বারে বারে গানের মুকুল আপনি ঝরে…
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসএনএস