শনিবার (১০ মার্চ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট জানায়, তারা সালমান রুশদিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবেন। আগামী ২৯ মার্চ 'ইন্ডিয়া রিমিক্সড: গ্লোবাল আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ফেস্টিভ্যাল'-এ তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
যদিও 'মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ঝুঁকি গ্রহণ ও সাহসের জন্য' ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় সালমান রুশদিকে সম্মাননা দিচ্ছে, তথাপি এই লেখক আক্রমণাত্মক রচনার জন্য সমালোচিত। তার লেখায় মুসলমানদের অমূলক নিন্দা ও নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কুৎসা রটনা করার অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে সালমান রুশদির লেখা নিয়ে নানা সময়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে এবং ইরান তার বিরুদ্ধে চরম ফতোয়াও দিয়েছে।
৪০ বছরের লেখক জীবনের শেষ ভাগটি সালমান রুশদি নিরাপত্তার কারণে এক ধরনের আত্মগোপনেই কাটাচ্ছেন। তবে এতে তার লেখালেখি থেমে থাকেনি এবং তিনি পাশ্চাত্যের পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও বঞ্চিত হননি। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট লাভের আগে তিনি ব্রিটিশ সরকারের 'নাইটহুড' উপাধি লাভ করেন। ফলে তিনি তার নামের আগে 'স্যার' ব্যবহার করতে পারেন।
লেখক হিসাবে সালমান রুশদি প্রথম আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন 'মিডনাইটস চিলড্রেন' উপন্যাসের জন্য। ১৯৮১ সালে তিনি এজন্য 'ম্যান বুকার পুরস্কার' লাভ করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত পরবর্তী উপন্যাস 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর জন্য তিনি বিশ্ব মুসলিমের প্রতিবাদ ও নিন্দার সম্মুখীন হন।
তারপর থেকে নিরাপত্তার কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে ও প্রহরীবেষ্টিত জীবনযাপন করলেও সালমান রুশদির লেখালেখি বন্ধ হয়নি। এ যাবৎ তিনি ১৩টি উপন্যাসসহ অনেক ছোটগল্প ও নন-ফিকশন গ্রন্থ রচনা করেছেন। যেসবের মধ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য ১৯৯০ সালে লেখা 'হারুন অ্যান্ড দ্য সি অব স্টোরিজ', ১৯৯৫ সালে রচিত 'দ্য ম্যুরস লাস্ট সাই' এবং ১৯৯৯ সালে লেখা 'দ্য গ্রাউন্ড বিনিথ হার ফিট' উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এমপি/জেএম