মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ছায়ানট মিলনায়তনে পহেলা বৈশাখের প্রভাতী অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের সভাপতি সানজীদা খাতুন, নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী এবং সহ-সভাপতি খাইরুল আনাম শাকিলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এবারের বর্ষবরণের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’।
এ ব্যাপারে ছায়নটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু হলো প্রকৃতি এবং মানুষ। বিশ্বায়নের এ যুগে জাতীয় সংস্কৃতি যেন কিছুটা হুমকির মুখে। তবে আমরা চাই আকাশপানে তাকালেও আমাদের পদযুগল যেন বাংলার মাটিতে থাকে। বাঙালি যেন পরিপূর্ণ বাঙালি হয়ে ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেড়শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে এবারের আয়োজনে থাকছে ১৬টি একক গান, ১২টি সম্মেলক গান, ২টি আবৃত্তি এবং ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুনের শুভেচ্ছাকথন।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বটমূলে থাকবে মঞ্চ মহড়া। বটমূলসংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া গোটা অঙ্গনই থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল http://bit.ly/chyntbd-এ। এছাড়া ইউটিউবে বর্ষবরণ ১৪২৫ অনুসন্ধান করে যেকোনো সময় আয়োজনটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন, পাকিস্তানি আমলের প্রতিকূল পরিবেশে ১৯৬১ সালের রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী কেন্দ্র করে ছায়ানটের যাত্রা। এ যাত্রা বাঙালির আপন সত্তাকে জাগিয়ে তোলার জন্য, আপন সংস্কৃতিকে বাঁচানোর ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তাই 'কায়মনে বাঙালি' হওয়ার প্রত্যয়ে পাঁচ দশক ধরে বাংলা বছরের প্রথম লগ্ন পহেলা বৈশাখের প্রত্যুষে মানুষের ভালবাসাধন্য সংগঠনটি সংস্কৃতির অনুষ্ঠান পরিবেশন করে আসছে।
তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে রমনার বটমূল ও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলা নববর্ষ আজ বিশ্বময় বাঙালির সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। একটি আমাদের জাতীয় উৎসব। এ উৎসব বাঙালির হৃদয়কে প্রাণিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি