রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রখ্যাত এই কবিকে শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। হাসপাতালের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ কোরেশীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
কবি বেলাল চৌধুরীর বড় ছেলে আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ চার মাস ধরে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার অবস্থার আরো অবনতি ঘটায় বাবাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের তথ্যানুযায়ী, বেলাল চৌধুরীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরী পরিবারের পক্ষ থেকে বেলাল চৌধুরীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরী ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘ভারত বিচিত্রা’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। রুপালী গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেন। বেশ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’- এ চাকরি করেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস