সোমবার (১৪ মে) ছিল এ কথা সাহিত্যিকের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজন করে স্মরণ সভার।
সভায় শওকত ওসমানকে নিয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক এবং ড. বেগম আকতার কামাল। শওকত ওসমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার কণিষ্ঠ পুত্র জানেসার ওসমান।
সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, শওকত ওসমানের জীবন ছিল সংগ্রামী। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন। এ লেখক নিজে প্রগতির পথে হেঁটেছেন এবং জাতিকে সে পথে নিতে চেষ্টা করেছেন। একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি জাতির মননকে বুঝে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করেছেন।
লেখক রূপকধর্মী লেখা লিখতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’ আদমজী পুরস্কার পায়। অথচ তারা বুঝতেই পারেনি এ লেখা তাদের বিরুদ্ধেই। শওকত ওসমান সবসময়ই রূপকধর্মী লেখা লিখতে পছন্দ করতেন। তার সাহিত্যপাঠের মধ্য দিয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো উচিত।
বেগম আকতার কামাল বলেন, শওকত ওসমান জীবনে আশাবাদী ও ইতিবাচক ছিলেন। তিনি সময়কে নিয়ে চমৎকারভাবে খেলা করেছেন তার লেখনীর মধ্যে। এ লেখক প্রকৃতি ও প্রযুক্তি, দু’টো বিষয়েই সচেতন ছিলেন এবং মানবমুক্তির জন্য সাধনা করেছেন আজীবন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শওকত ওসমানের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের কিপার শিহাব শাহরিয়ার।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও চিফ কন্ট্রোলার মাসুদ আহমেদ, জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী, কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. রকিবুল ইসলাম লিটুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংবাদ পাঠিকা মেরিন নাজনীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস