বুধবার (৪ জুলাই) ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড: সেকাল একাল’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (সিএআরএএসএস)’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি। এটি ছাড়া সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সংস্কৃতি চর্চা তেমনভাবে হয় না বললেই চলে। এর অন্যতম প্রধান কারণ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নেই বা সেগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে সংস্কৃতি চর্চা শুধু নিছক বিনোদন ছিল না, এটি ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। তখন যে মানের সংস্কৃতি চর্চা হতো, এখন আর তা দেখা যায় না।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানোর লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করেছি। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিএআরএএসএস-এর পরিচালক ও গ্রন্থের সম্পাদক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
এইচএমএস/এএইচ/আরআইএস