বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় গুণি এ শিল্পীর শ্রদ্ধাঞ্জলীর আয়োজন করে অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
মন্ত্রী এসময় স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার গানকে বোঝা ও আবিষ্কার করা শিল্পী অজিত রায়ের কাছ থেকে শেখা। গানের প্রতি, বিশেষ করে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি আমার যে ভালো লাগা, তা এ গুণি শিল্পীর কাছ থেকেই তৈরি হয়েছিল। তিনি রবীন্দ্র সংগীত, হেমন্তের গান ও গণসংগীত খুব ভালো গাইতেন।
তিনি বলেন, আমি অজিত রায়কে চারণশিল্পী হিসেবে অভিহিত করব। কেননা তিনি আদমজী জুটমিল ও খুলনার খালিশপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের সামনে গান গাইতেন।
আয়োজনে মন্ত্রী জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ হবে যার মাধ্যমে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের তালিকা তৈরিপূর্বক তাদের নামে পর্যায়ক্রমে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নিয়মিত বরেণ্য শিল্পীদের জন্মোৎসব পালনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী।
তারা বলেন, সমাজে আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। এ সময়ে অজিত রায়ের মতো শিল্পীদের খুবই প্রয়োজন। বিভিন্নভাবে অজিত রায় সমাজ ও সংগীত অঙ্গনকে আলোকিত করেছেন। তার কণ্ঠ ছিল কলুষবিহীন সুরের পিয়াসী।
অজিত রায় ছিলেন একাধারে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক। প্রথীতযশা কন্ঠ শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভুবনে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চার দশক কালেরও অধিক সময় ধরে তার দৃপ্ত পদচারণায় মুখরিত ছিল বাংলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস