বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বহ্নিশিখার আয়োজনে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে এমটাই বলছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন সাজানো হয় সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও কথামালায়।
আয়োজনের শুরুতেই ছিল দলীয় সঙ্গীত। বহ্নিশিখার শিল্পীরা প্রথমেই কণ্ঠে তুলে নেন নজরুলের ‘গগনে সঘন চমিকেছে দামিনী’। এরপর তারা গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো’।
আরো ছিল বহ্নিশিখার শিল্পীদের দলীয় নৃত্য। তারা ‘গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। দলীয় কণ্ঠে পরিবেশিত হয় নজরুলের ‘মোর ঘুম ঘোরে এলো মনোহর’, ‘মেঘের ডম্বরু ঘন বাজে’ ও ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন’ এবং রবীন্দ্রনাথের ‘তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে’।
রবীন্দ্রনাথের ‘শাওন গগন ঘোর ঘনঘটা’ ও ‘মেঘ বলেছে যাবো যাবো’ এবং নজরুলের ‘সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচে নটরাজ’ গানগুলোর সঙ্গে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য।
একক কণ্ঠে শিমুল সাহা নজরুলের ‘সুরের ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি’, আসিফ ইকবাল সৌরভ রবীন্দ্রনাথের ‘এসো শ্যামল সুন্দর’, আবিদা রহমান সেতু নজরুলের ‘পরদেশি মেঘ যাও রে ফিরে’ ও অমিতেষ দাশ অমি গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘আমার হিয়ার মাঝে’। এর পাশাপাশি যুগল কণ্ঠে আবিদা রহমান সেতু ও অমিতেষ দাশ অমি গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে’ গানটি।
রবীন্দ্রনাথের ‘পরিচয়’ কবিতা আবৃত্তি করেন মাহফুজা আক্তার মীরা এবং তাসরুম জাহান জুঁই নজরুলের ‘সাম্যবাদী কবিতা পাঠ করেন।
সবশেষে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান ও কবিতা নিয়ে একটি কোরিওগ্রাফি পরিবেশন করেন বহ্নিশিখার সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা। পুরো আয়োজনটি পরিকল্পনা করেন আবিদা রহমান সেতু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বহ্নিশিখার সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এইচএমএস/এএ