রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণ করতে গিয়ে এমনটাই বললেন নাট্যজন আতাউর রহমান।
সোমবার (৬ আগস্ট) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
বিকেলে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ‘আজকের বিশ্বে রবীন্দ্রসৃজনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন নাট্যজন আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
আতাউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের পূর্ববঙ্গেরও। কারণ পূর্ববঙ্গে অবস্থান তাকে পরিপূর্ণ রবীন্দ্রনাথ করেছে, মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধনে বেঁধেছে। রবীন্দ্রনাথের নাটকে আমরা লক্ষ্য করি আগল ভাঙার পালা।
স্বাগত ভাষণে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করে রবীন্দ্রনাথ আমাদের ঋদ্ধ করেছেন, ঋণী করেছেন। বাঙালি জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রকে রবীন্দ্রনাথ তার সৃষ্টির ঐশ্বর্যে আলোকিত করে রেখেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিকতাবাদের সাধনার সূত্রে রবীন্দ্রনাথ আজ ও আগামীতে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছেন। তার প্রাসঙ্গিকতার বহুক্ষেত্রের মধ্যে শিক্ষাভাবনা ও পল্লী পুনর্গঠন চিন্তা অন্যতম।
আয়োজনের সাংস্কৃতিক পর্বে ‘ওই পোহাইল তিমির রাতি’ শীর্ষক গীতি নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা কেন্দ্র রক্তকরবী। রবীন্দ্রনাথ থেকে আবৃত্তি ও পাঠ করেন রাশেদ হাসান। নৃত্য পরিবেশন করেন সাধনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি