শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বরেণ্য বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ক্ল্যাসিক্যাল শিল্পীরা যা জানেন তার প্রকাশ সবাই পছন্দ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিত্রশিল্পী হাশেম খান বলেন, ক্ল্যাসিক্যাল বাঁশি, গান এমন এক মনোমুদ্ধকর জগতে নিয়ে যায়, যেখানে ফিরে আসা সত্যি খুব কষ্টসাধ্য। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শ্রোতা কম। তবে ধীরে ধীরে বেশ শ্রোতা তৈরি হচ্ছে। বেঙ্গল ক্ল্যাসিক্যাল উৎসবে ৪০ হাজার শ্রোতার মধ্যে তরুণরাই বেশি। এই শিল্পের প্রতি আরও জোর দেওয়া উচিত। কেননা, ভালো গান, সুর মানুষের মনের কলুষতাকে দূর করে।
‘বাঁশিতে সকালের রাগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজন করে সরগম। অনুষ্ঠানে সরগম সম্পাদক কাজী রওনক হোসেন, নির্বাহী পরিচালক উল্কা হোসেনসহ সঙ্গীতপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বাচিক শিল্পী মুনা চৌধুরী।
ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম রাগ ভায়রো দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর ঝাঁপতাল ও ত্রিতালের গদ বাজিয়ে শোনান। পরবর্তীতে পরিবেশন করেন রাণা জৈনপুরী। খেয়াল ধরনের প্রথমে বিলিম্বত ও পরে একতাল এবং ত্রিতাল বাজিয়ে তিনি আগতদের মুগ্ধ করেন। এরপর ছোট করে রাগ ললিত ও চন্দ্র মৌলি পরিবেশন করেন।
রাগ ভৈরবী বাজিয়ে শেষ করেন অনুষ্ঠান। ভৈরবীর সুরের মুর্ছনায় উপস্থিত সঙ্গীতমোদীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন।
অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন হাশেম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
ইইউডি/আরআর