সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার।
স্মারক বক্তা অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, মাহবুব উল আলম চৌধুরী আকস্মিকভাবেই একুশের ঘটনার ভেতর জড়িয়ে পড়েননি। দেশবিভাগ পরবর্তী সময়কাল থেকেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যে অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি হচ্ছিলো তারই অভিঘাতে একজন মাহবুব উল আলম চৌধুরীর আবির্ভাব। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যে স্ফূরণ তার হৃদয়বন্দর মাতিয়ে রাখতো সেখানে ছিলো দেশ ও জাতির জন্য ভালোবাসা। তাই যখনই ভাষার প্রশ্নে সংকট তৈরি হয়েছে তখনই তার মুক্তি পিয়াসী মন দেশ ও ভাষার অস্তিত্বের টানে ছুটে এসেছে। সম্পৃক্ত করেছে ঐতিহাসিক মুহুর্তের সঙ্গে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাহবুব উল আলম চৌধুরী ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক কবিতার জন্য খ্যাত হলেও তার কৃতিত্বও কম নয়। বিশেষত তার সম্পাদিত ‘সীমান্ত পত্রিকা’ আমাদের সাময়িকপত্রের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তার আত্মজীবনী, প্রবন্ধ, নাটক এবং সামগ্রিক জীবনসাধনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল সমাজ গঠনের আকাঙ্খা ব্যক্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মাহবুব উল আলম চৌধুরীর স্ত্রী লেখক জওশন আরা রহমান, শিল্পী জাহানারা ইসলাম, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এনটি