মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১০ অক্টোবর) সকালে সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমে শিল্পীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মাজার জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল, কোরানখানি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আঞ্জুমান আরা বেগম, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি এনামূল কবীর টুকু প্রমুখ। সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় নড়াইলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ ছেলে-মেয়ে অংশ নেয়।
১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়া এলাকার মেছের আলী ও মাজু বিবির ঘরে জন্ম নেন শেখ মোহাম্মদ সুলতান সংক্ষেপে এস এম সুলতান।
১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন এই চিত্রশিল্পী। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রেসিডেন্ট আর্টিস্টের স্বীকৃতি পান। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা লাভ করেন তিনি।
এছাড়া তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যান অব দ্য ইয়ার, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট ও এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এস এস সুলতান। নড়াইলের কুড়িগ্রামে তাকে শায়িত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসআই