তিনি বলেন, শামসুর রাহমানের কবিতা ধারণ করেছে আমাদের সমাজসত্তার সামগ্রিক বিবর্তন। তিনি আমাদের চেতনার কাব্যিক রূপকার।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান একথা বলেন।
কবি শামসুর রাহমানের ৯০তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
শেহাবি উপাচার্য ড. রফিকউল্লাহ বলেন, আমাদের চেতনার কাব্যিক রূপকার কবি শামসুর রাহমান। তার কবিতা ধারণ করেছে আমাদের সমাজসত্তার সামগ্রিক বিবর্তন। তিনি নির্জনতা ও নিঃসঙ্গতা থেকে যেভাবে কবিতাকে জনতার স্বাধীনতাকামী ময়দানে নিয়ে এসেছেন তা বাংলা কবিতার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, যতদিন বাংলা ভাষা ও কবিতা বহমান থাকবে ততদিন উচ্চারিত হবে কবি শামসুর রাহমানের অমর নাম।
অনুষ্ঠানে সভা-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বাংলা একাডেমির ফেলো কবি আসাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমাজমানসের বিবর্তনের সঙ্গে শামসুর রাহমান কবিতাকে জনপ্রিয় করেছেন। শিল্পমান অক্ষুণ্ন রেখেও কবিতাকে যে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়— সে সত্য তার হাতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
‘উদ্ভট উটের পিঠে স্বদেশকে চলতে দেখেও তিনিই সেই কবি— যিনি বলতে পারেন ‘বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে। ’
অনুষ্ঠানে শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন শিমুল মুস্তাফা।
এসময় অন্যদের মধ্যে কবি আসাদ মান্নান, হালিম আজাদ, লিলি হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এমএ/