মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মন্দিরের গঙ্গাসাগর দীঘির পাশে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। আয়োজনের প্রথম দিনে মঞ্চস্থ হয় দুইটি নাটক।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের গল্প অবলম্বনে সৈয়দ শামসুল হক রচিত চম্পাবতী নাটকের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় ত্রিনয়নী নাট্যোৎসবের। শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র প্রযোজিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন খোরশেদুল আলম।
প্রহসনের যন্ত্রনার চাপে গয়া সাপুড়ে বাধ্য হয় কালসাপকে নিয়ে খেলা করতে। ফলাফলে দংশন এবং মৃত্যুর শেষ সীমানায় পৌঁছে তার স্ত্রী চম্পাবতীর আত্মদান। স্বামী গয়ার দেহের বিষ স্ত্রী চম্পাবতী চুষে নিজে আত্মহুতি দিয়ে বাঁচান স্বামীকে। এভাবেই এগোয় নাটকের কাহিনী।
অন্যদিকে, মাদক-সন্ত্রাস-অবিচার নির্মূল করে স্বপ্নের ঢাকার অন্বেষণে এক যুবকের নিরন্তন লড়াইয়ের গল্প নিয়ে উৎসবে মঞ্চস্থ দ্বিতীয় নাটকের শিরোনাম ছিল ‘ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই’। নারায়ণ চন্দ্র দাসের রচনায় অগ্নিবীণা প্রযোজিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস।
উৎসব সম্পর্কে বরদেশ্বরী ত্রিনয়নী নাট্যোৎসবের আহ্বায়ক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস জানান, ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিকড়সন্ধানী ছয়টি প্রযোজনা নিয়ে সাজানো হয়েছে তিনদিনের আয়োজন। শারদীয় নাট্যোৎসবের ধারাবাহিকতায় শ্যামা পূজায় এবার ছয়টি দলের নতুন ছয়টি প্রযোজনা উপভোগ করবে তিন সহস্রাধিক দর্শক। আমাদের বিশ্বাস উৎসব এবং আনুষ্ঠানিকতা পরস্পরের পরিপূরক।
তিনি জানান, বুধবার (৭ নভেম্বর) উৎসবের দ্বিতীয় দিন রাত সাড়ে ৮টায় মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের নাটক ‘গুণজান বিবির পালা’। রচনার পাশাপাশি প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী। এদিন রাত ১০টায় মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের প্রযোজনা ‘আমিনা সুন্দরী’। এস এম সোলায়মানের রচনা থেকে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী।
উৎসবের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় মঞ্চস্থ হবে নাট্যদল সাধনার প্রযোজনা ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’। সায়মন জাকারিয়ার রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নাজনীন হাসান চুমকী। এদিন রাত ১০টায় মঞ্চস্থ হবে চারুনীক নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘মহিয়সী রোকেয়া’। বজেন্দ্র কুমার দে’র রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর